বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বাগেরহাটে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দিচ্ছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির নেতা-কর্মীরা। রবিবার সকালে দলটির বাগেরহাট জেলা শাখার উদ্যোগে শহরতলীর পুটিমারির বিলের দুইজন কৃষকের ধান কাটার মাধ্যমে এই কর্মসূচি শুরু হয়। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল, সদস্য জাহিদুল ইসলাম জাদু, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলাল হোসেন বিদ্যাসহ দশজন নেতা কর্মীরা বিলের বর্গাচাষী অনিক হাসান ও শাহানারা বেগমের ৬ বিঘা জমির ধান কাটছেন। পর্যায়ক্রমে আরও অনেক চাষীর ধান কেটে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন নেতাকর্মীরা।
এদিকে দেশের এই সংকটের সময় বিনা পারিশ্রমিকে স্বেচ্ছাশ্রমে এভাবে ধান কেটে দেওয়ায় খুশি এলাকাবাসী ও কৃষকরা।
কৃষক অনিক হাসান বলেন, ধান কাটার সময় সাধারণত ৪‘শ থেকে ৫‘শ টাকা পারিশ্রমিকে শ্রমিক পাওয়া যেত। করোনা পরিস্থিতিতে এক হাজার টাকায়ও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে। তাই পাকা ধান নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। হঠাৎ করে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা ধান কেটে দেওয়ার কথা বলেন। সকালে এসেই ধান কাটা শুরু করেন। আমি খুবই আনন্দিত।
স্থানীয় আবুল কালাম বলেন, ধান রোপন ও ধান কাটার সময় কৃষকরা এক ধরনের শ্রমিক সংকটে ভোগেন। করোনা পরিস্থিতিতে কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা এই ভাবে কৃষকদের পাশে দাড়িয়েছেন। এ জন্য আমরা তাদের প্রতি কৃতজ্ঞ।
বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাগেরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ফররুখ হাসান জুয়েল বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জাতি এক ধরণের ক্রান্তিকাল পাড় করছেন। এই পরিস্থিতিতে মাঠের বেশিরভাগ কৃষকের ধান পেকে গেছে। শ্রমিক সংকটে চাষীরা ধান কেটে ঘরে ওঠাতে পারছেন না। তাই আমাদের দলের নেতাকর্মীদের নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে গরীব, হত দরিদ্র ও বর্গা চাষীদের পাকা ধান কেটে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছি। এটা চলমান থাকবে। সমাজের অন্যান্যদেরও অসহায় কৃষকদের পাশে দাড়ানোর আহবান জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।