পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে দেশের পাঁচ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে দেশে যাতে খাদ্য ঘাটতি না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছে সরকার। বর্তমানে ৫০ লাখ মানুষকে রেশন কার্ড দেয়া হচ্ছে। আরো ৫০ লাখ লোককে রেশন কার্ড প্রদানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এটি বাস্তবায়ন হলে এক কোটি পরিবার খাদ্য সহায়তা পাবে। এই এক কোটি পরিবারে পাঁচজন করে সদস্য হলে ৫ কোটি লোক খাদ্য সহায়তার আওতায় আসবে।
আজ শনিবার একাদশ জাতীয় সংসদের সপ্তম অধিবেশনের সমাপনী ভাষণে এ সকল তথ্য তুলে ধরেন তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্বল্পতম সময়ের এই অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, অনেক সময় আমি নিজেও এসএমএস পাই, এসএমএস করে- ‘আপা আমার ঘরে খাবার নাই।’ সাথে সাথে আমরা উদ্যোগ নিই।
শুধু তাকে নয়, আশেপাশে কোথাও কেউ কষ্টে আছে কিনা, যারা হাত পাততে পারবে না। ঘরে খাবার নেই, চাইতে পারছে না। তাদের ঘরে খাবার পৌঁছে দেয়ার সেই ব্যবস্থাটাও করছি। মানুষের খাদ্যের অভাব যাতে না হয়, সে ব্যবস্থা সরকার করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সকল ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। আমাদের হাসপাতালগুলোকে আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। অনেক বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলায় পৃথক আইসোলেশন হাসপাতাল খোলা হয়েছে। ভবিষ্যতের জন্যও ইতিমধ্যে কিছু উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রত্যেক জেলা হাসপাতালের উন্নত ধরনের চিকিৎসা যাতে পায়, সেই ব্যবস্থাটাও করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সকল ব্যবস্থাপনা আমরা নিচ্ছি। আমরা প্রত্যেকটা জায়গায় বিশেষ করে স্থলবন্দর, বিমানবন্দর, নৌবন্দরসহ সব জায়গায় করোনা পরীক্ষার জন্য থার্মাল স্ক্যানার ও ইনফারেড থার্মোমিটারের মাধ্যমে স্কিনিং করা শুরু করেছি। এছাড়া স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নেতৃত্বে সকল সেক্টরকে অন্তর্ভূক্ত করে একটা জাতীয় কমিটি করে দিয়েছি। করোন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সংস্থা থেকে সহায়তা করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, ইউকেএইড, ইউএসএইডসহ বিভিন্ন দাতা সংস্থা বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করছে।
করোনার নমুনা সংগ্রহে কীটের কোন সঙ্কট নেই জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ পর্যন্ত আমরা ৯২ হাজার পরীক্ষার কীট সংগ্রহ করেছি। তারমধ্যে থেকে ২০ হাজার কীট বিতরণ করা হয়েছে এবং ৭২ হাজারের মতো কীট এখনও মজুদ রয়েছে। কীট সংগ্রহ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কাজেই করোনা পরীক্ষায় কীটের কোনো অভাব হওয়ার কোন লক্ষণ নেই। প্রতিটি জেলা হাসপাতালে আইসিইউ স্থাপন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।