Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কুষ্টিয়ায় ‘মজা’ করতে গিয়ে তরুণী কারাগারে

কুষ্টিয়া থেকে স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৩৩ পিএম

কুষ্টিয়ায় করোনা নিয়ে জেলা প্রশাসকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তি কপি করে নিজের নাম ব্যবহার করে ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে প্রচার করছিলেন এক তরুণী। বিষয়টি জেলা প্রশাসনের নজরে এলে ওই তরুণীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে। মামলায় তাঁকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে জেলা প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বাদী হয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলাটি করেন। মামলায় মীর মনিরা (২২) নামে ওই তরুণীকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে। মনিরা কুষ্টিয়া শহরের কোর্টপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি ঢাকায় একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন।

মামলা সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার এক চিকিৎসকের মাধ্যমে জানতে পারেন যে, মীর মনিরা নামের একজন কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসক পরিচয় ব্যবহার করে বিভিন্ন ডকুমেন্ট তৈরি করে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে প্রচার করছেন এবং নিজেকে কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সময়ে মানুষকে ভয়ভীতি দেখাচ্ছেন। মীর মনিরার পরিচয় জানার পর তাঁকে তাঁর আত্মীয়ের সঙ্গে গতকাল শুক্রবার জেলা প্রশাসকের বাংলোয় ডাকা হয়।সেখানে জিজ্ঞাসাবাদে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লুৎফুন্নাহারের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন মনিরা। মনিরা জানান, তাঁরা সাত বন্ধু মিলে ম্যাসেঞ্জারে ফটোশপের মাধ্যমে বিভিন্ন বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রদান করে থাকেন।মামলার বাদী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের জেষ্ঠ্য সহকারী কমিশনার মুহাম্মদ মুছাব্বেরুল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি করোনা বিষয়ে জেলা প্রশাসক প্রতিদিন সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জেলা প্রশাসনের ফেসবুকে পোস্ট দিতেন। ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির কপিতে জেলা প্রশাসকের নাম ও স্বাক্ষর এডিট করে সেখানে মীর মনিরা নাম ও স্বাক্ষর দিয়ে সেটা তাঁর পরিচিত ব্যক্তিদের কাছে পাঠাতেন। এটা তিনি মজা করে করতেন বলে জানিয়েছেন।

কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, আইসিটি আইনে মামলায় ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১০:৪৪ পিএম says : 0
    এই সংবাদটা আমাকে খুবই আনন্দ দিয়েছে। আমাদের দেশে কয়েক লক্ষ লেখা পড়া জানা মেধাবী ছাত্র ও ছাত্রীরা ইন্টারনেটে পারদর্শী হয়ে ফেসবুকে এসে নানা রকম ভাবে দেশের জনগণকে ভাঙ্গিয়ে ফয়দা লুটতেছে এটাই সত্য। আমি দেখেছি এমনকি আমি নিজেও ভিক্টিম হয়েছি সেটা হচ্ছে দেশের দারিদ্রতা দেখিয়ে বিদেশে অবস্থান রত বাংলাদেশীদের নিকট থেকে অর্থ নিয়ে তাঁর কিছুটা দান করে ছবি তুলে সেই একই ছবি বার বার বিভিন্ন জনকে পাঠিয়ে তাদের কর্মকাণ্ডকে ফলাও করে দেখিয়ে আমাদের পকেট খালি করে নিজেদের পকেট ভরেছে। আমিও এভাবে ইউনিভার্সিটির ছেলে ও মেয়েদের আবেদন পেয়ে পয়সা পাঠিয়ে পরবর্তীতে দেশে গিয়ে যখন এদের সাথে দেখা করতে চাই তখন এনারা আমার পাতা থেকে হাওয়া হয়ে গেছেন। এনারা এতই পারদর্শী যে, এনাদেরকে ধরাও যায়না। কাজেই এখন এদেরকে ধারা বাহিক ভাবে পাকড়াও করতে হবে এবং আইনের আওতায় নিতে হবে। তবে আদালতে সোপর্দ করার আগে পুলিশি কায়দায় এদের সাথে ব্যাবহার করতে হবে যাতে পরবর্তীতে কিছু করতে কিংবা নতুনরা এধরনের ধাপ্পাবাজি করতে সাহস না পায়। আল্লাহ্‌ আমাদের দেশের পুলিশদেরকে সত্য কথা বলা ও সততার সাথে চলার যোগ্যতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ