Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাম্পার ফলনের পথে বোরো

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ১৮ এপ্রিল, ২০২০, ১:০৫ পিএম | আপডেট : ১:০৫ পিএম, ১৮ এপ্রিল, ২০২০

করোনার মহাদুর্যোগে প্রায় সব সেক্টরেই খারাপ খবরের মধ্যে সুখবর দিচ্ছে কৃষি সেক্টর। নানা সমস্যার মধ্যেও বাম্পার ফলনের পথে বোরো। সারাদেশের মাঠে মাঠে এখন সবুজ আর সোনালীর সঙমিশ্রনে নয়নাভিরাম দৃশ্য। মাঠ ভরে গেছে পাকা ধানে। আল্লাহর রহমতে কোনরূপ ক্ষতি হয়নি ধানের। করোনায় কর্মহীন ঘরবন্দি মানুষের এই মুহুর্তে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন খাদ্য। সেই খাদ্যের কোন দুশ্চিন্তা থাকছে না আল্লাহর রহমতে। প্রায় ২ কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হচ্ছে বোরোতে। হাওর অঞ্চলে ইতোমধ্যে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে। বোরোতে টার্গেটের চেয়েও অধিক ফলন হবে। সারাদেশে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে সামনের সপ্তাহ থেকে। গতকাল মুঠোফোনে এসব তথ্য দৈনিক ইনকিলাবকে জানালেন, কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ ড. আবদুল মুঈদ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে ৪৭লাখ ৫৪হাজার ৮শ’ হেক্টরে বোরো আবাদ হয়েছে। সরকারি হিসাবে চালে উৎপাদন হয় ৪ মেট্রিক টন প্রতি হেক্টরে। সেই হিসাবে প্রায় ২কোটি মেট্রিক টন চাল উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। মাঠে মাঠে ধানের অবস্থা দেখে কৃষকরাও খুবই খুশী। ঝড়-বৃষ্টি এবং ধান কাটার শ্রমিক পাওয়া নিয়ে কিছুটা শঙ্কা আছে। গতকাল দেশের বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ নিয়ে মাঠে বোরো ধানের প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের গত সপ্তাহে অবসরে যাওয়া পরিচালক (ফিল্ড সার্ভিস উইং) কৃষিবিদ চন্ডিদাশ কুÐ। তিনি বললেন, ধানের অবস্থা এবার খুবই ভালো। বৈশ্বিক করোনা সংকটে খাদ্য ঘাটতি মোকাবেলা আমাদের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হচ্ছে দেশ।
মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তা যশোরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান জানান, বোরো আবাদ মৌসুমে দু’বার বৃষ্টি হওয়ায় সেচ খরচ সাশ্রয় হয়েছে কৃষকদের। সাধারণত এই সময়ে বøাস্ট রোগ দেখা দেয়। এবার কোথাও রোগ-বালাইয়ের উপদ্রব হয়নি। তার কথা, আমরা সার্বক্ষণিক মাঠে তদারকি করেছি। এখনও পর্যন্ত বোরো ধানের ব্যাপারে কোন দুশ্চিন্তা নেই।
ফরিদপুরের নগরকান্দার কৃষক আশরাফ উদ্দীন, কুষ্টিয়ার কামারখালীর তসারফ আলী ও যশোরের ঝিকরগাছার কায়েমকোলার চাষী মমতাজ আলীর বললেন, সন্তানের মতো সার্বক্ষণিক যতœ নিয়ে নজর দিয়ে ধান আবাদ করেছি এই দুর্যোগের মধ্যেও। ধানের অবস্থা ভালো ইনশাআল্লাহ। আমাদের কথা, ধান ওঠার সময় যাতে ন্যায্যমূল্য পাওয়া যায়, সেদিকে সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তাদের লক্ষ্য রাখতে হবে। তা না হলে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে।



 

Show all comments
  • লিয়াকত হোসেন খান ২০ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪১ পিএম says : 0
    কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কাজ সঠিক ভাবে তুলে আনায় অসংখ্য ধন্যবাদ
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ