পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারি সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে আগামী ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। তাই ২৬ এপ্রিল থেকে তৈরি পোশাক কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বিজিএমইএ। সে অনুযায়ী প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছিল। কিন্তু সমালোচনার পরে সিদ্ধান্ত থেকে সড়ে দাঁড়াল সংগঠনটি। বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বিজিএমইএ’র সভাপতি ড. রুবানা হক।
জানা গেছে, আগামী ২৬ এপ্রিল থেকে কারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তৈরি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যন্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন(বিজিএমইএ)। এজন্য ঢাকার বাহিরের ময়মনসিংহ, গাজীপুর, সাভার টাঙ্গাইল, রংপুরসহ বিভিন্ন জেলা থেকে শ্রমিক আনার জন্য বাস চলাচলের অনুমতি চেয়েছিল বিজিএমইএ। এজন্য গত ১৫ এপ্রিল বিআরটিসির কাছে এক পত্র দিয়েছিল বিজিএমইএ।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। সরকারও চিন্তা করছে ছুটি হয়ত বৃদ্ধি করা লাগতে পারে। সেই মনোভাবেই এগোচ্ছে সরকার। বিষয়টি গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হয়। এই সময়ে বিজিএমইর এমন উদ্যোগ ফের সব মহলে সমালোচনার শিকার হয়।
এর আগে গত ৪ এপ্রিল মালিকপক্ষ কারখানা শ্রমিকদের বাধ্য করেছিল ঢাকায় ফিরতে। বেতন ও চাকরি বাঁচানোর তাগিদে লক্ষ লক্ষ শ্রামক করোনা ঝুঁকি উপেক্ষা করে ঢাকায় ফেরে। গণপরিবহন বন্ধ থাকায় পায়ে হেটেঁ ঢাকায় আসে তারা।
শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিজিএমইএর সভাপতি রুবানা হক গণমাধ্যম কর্মীদের নিশ্চিত করে বলেন, আমরা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সিদ্ধান্ত বদলিয়েছি। আমরা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছি। আগামী ২৬ এপ্রিল কারখানা খোলা হবে না। আমরা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
তিনি বলেন, কিন্তু কোনো মালিক যদি শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য কারখানা খুলতে চান, তাহলে শিল্প পুলিশের অনুমোদন ও বিজিএমইএকে জানাতে হবে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ক্রেতাদের ক্রয়াদেশ থাকা স্বাপেক্ষে কারখানা খোলা রাখা যাবে।
এর বাইরে যেসব প্রতিষ্টান পিপিই ও করোনা মোকাবেলার সামগ্রী উৎপাদন করছে, সেসব কারখানাও খোলা রাখা যাবে। গত ১৪ এপ্রিল এ সংক্রান্ত এটি নির্দেশনা জারি করা হয় অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে। একই সঙ্গে নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, ১৬ এপ্রিলের মধ্যে কোনো কারখানা শ্রমিক-কর্মচারিদের বেতন পরিশোধ না করলে ব্যবস্থা নেবে সরকার।
সূত্র জানিয়েছে, কারখানা শ্রমিকদের অবস্থান ও বেতন সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন সরকারের কাছে দিতে যাচ্ছে অধিদপ্তরটি। আগামী ২০ এপ্রিলের মধ্যেই এটি দেয়ার পরিকল্পনা করা হচ্ছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।