Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চাপে স্বাস্থ্যব্যবস্থা

চিকিৎসকদের আক্রান্তের হার উদ্বেগজনক, সুরক্ষা জরুরি

হাসান সোহেল | প্রকাশের সময় : ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫১ পিএম

মহামারী করোনায় টালমাটাল বিশ্ব। এর প্রভাব বাংলাদেশেও পড়ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা। গত কিছুদিন থেকে দেশে জ্যামিতিক হারে বাড়ছে করোনা রোগী। সাত দিন আগেও আক্রান্তের সংখ্যার ৫০-এর ঘরে ছিল। এখন সে সংখ্যা ৩৫০ ছুঁই ছুঁই। এক সপ্তাহ আগে গত ৮ এপ্রিল যেখানে এক দিনে আক্রান্ত হয়েছিল ৫৪ জন। সেখানে গতকাল একদিনে সর্বোচ্চ রেকর্ড করে এ সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৪১ জনে। একই সঙ্গে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। গতকালও ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬০ জনের। গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। এক মাস পর ৮ এপ্রিল মোট রোগী ছিল ২১৮ জন। অথচ গত এক সপ্তাইে আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৩৫৪ জন। রোগী বৃদ্ধির পাশাপাশি করোনা ছড়িয়ে পড়ছে সারা দেশে। প্রতিদিনই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে নতুন নতুন এলাকায়। বিশেষ করে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে করোনার সংক্রমণ উদ্বেগজনক সংখ্যায় পৌঁছেছে।

আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে চরম সমন্বয়নহীনতা দেখা দিয়েছে স্বাস্থ্য সেবা সেক্টরে। কর্তৃপক্ষের উদাসীনতা ও রোগীদের রোগ আড়ালের প্রবণতার ফলে এখন পর্যন্ত ৮৫ জন চিকিৎসক, ৩১ নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে ১ জন চিকিৎসক ও ১ জন স্বাস্থ্যকর্মী মারা গেছেন। আক্রান্তদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ জন। এ ছাড়া কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন প্রায় ২ শতাধিক চিকিৎসকসহ সহ¯্রাধিক নার্স, আয়া, পরিচ্ছন্নতাকর্মী। হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসক-নার্স, টেকনোলজিস্টদের খাবার সরবরাহ নিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে।

অব্যবস্থাপনার কারণে গত বুধবার মৃত্যুবরণ করা চিকিৎসক ডা. মঈন উদ্দিন তার নিজ কর্মস্থলে সিলেট এম এ জি ওসমানি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেই চিকিৎসা সেবা পাননি। এমনকি দেশের জেলাগুলোর মধ্যে সবেচেয়ে ভয়াবহ গার্মেন্টস অধ্যুষিত নারায়ণগঞ্জের বিশেষায়িত খানপুর হাসপাতালে এখনোও সম্ভব হয়নি করোনা পরীক্ষা করানো। আর তাই নারায়ণগঞ্জে করোনা ল্যাব স্থাপনের জন্য গতকাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

এমন অবস্থার জন্য সমন্বয়হীনতাকে দায়ী করেছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক নিয়মানুযায়ী যেকোনো ধরনের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কাউকে নিয়োগ দেওয়ার আগে তাকে ভালোভাবে বিষয়টি জানাতে হয়। এ ক্ষেত্রে অনেকে সন্ত্রস্ত্র হয়ে পড়লে তাকে সময় দিতে হয়। যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না, সে বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়মিত খোঁজখবর নিতে হবে। তাদের সাহস জোগাতে হবে। আর এসবের অভাবেই স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। বিশেষজ্ঞরা বলেন, চিকিৎসকদের পাশাপাশি করোনার প্রথম সারির যোদ্ধা নার্স-টেকনোলজিস্টসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ যতœ নিতে হবে। এক্ষেত্রে উদাহরণ হিসেবে বলেনÑ হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়ে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন তার যতœ নেয়া নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন, তারা দিনরাত আইসিইউতে তার পাশে ছিলেন। তারা এতো তৎপর হয়ে সেবা না দিলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। অর্থাৎ মারা যেতে পারতেন বরিস জনসন। এক্ষত্রে দুই নার্সের কথা উল্লেখ করেন বরিস জনসন। আর এতেই বোঝা যায় করোনার সেবায় নার্সরা কতোটা গুরুত্বপূর্ণ। একইভাবে করোনা থেকে বাঁচতে হাসপাতাল পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা পরিচ্ছন্নতাকর্মীরও গুরুত্ব রয়েছে।

বৈশ্বিক মহামারী করোনার থাবায় দিন দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এসব রোগীর চিকিৎসা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হচ্ছেন প্রথম সারির এই যোদ্ধা চিকিৎসকরা। করোনাভাইরাসে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৬৫ জন চিকিৎসক যোদ্ধার আক্রান্ত হওয়ার কথা জানিয়েছে দেশের চিকিৎসকদের সংগঠন বাংলাদেশ ডক্টরস ফাউন্ডেশন (বিডিএফ)। একই সঙ্গে চিকিৎসা সেবার সঙ্গে জড়িত দুই শতাধিক স্বাস্থ্যকর্মীও কোভিড-১৯ এ সংক্রমিত হয়েছেন। বিডিএফ’র চিফ এডমিনিস্ট্রেটর নিরুপম দাস এই তথ্য জানান। তিনি বলেছেন, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকে আক্রান্ত চিকিৎসাকর্মীদের এই সংখ্যাটি তারা পেয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, গত তিন মাস ধরে করোনা মোকাবেলার প্রস্তুতি নেয় সরকার। এ সময় পর্যাপ্ত প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে বলে বার বার গণমাধ্যমে ঘোষণা দেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। মার্চ মাসের শুরুতে দেশে প্রথম করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত করা হয়। এরপর ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা। এর মধ্যে প্রাইভেট হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলো কার্যত বন্ধ করে দেয় মালিকরা। এতে বিপাকে পড়ে সাধারণ রোগী ও স্বজনরা। বিনা চিকিৎসায় দেশের বিভিন্ন স্থানে রোগী মৃত্যুর ঘটনা ঘটতে থাকে। এতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চরম অব্যবস্থাপনার চিত্র ফুটে ওঠে। পরে বেসরকারি ৬৯টি হাসপাতাল সাধারণ রোগীদের সেবায় এগিয়ে আসলেও এখনো সেভাবে সেবা মিলছে না। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মুখে পর্যাপ্ত প্রস্তুতির কথা বললেও সারাদেশের সরকারি হাসপাতালগুলোকে সেভাবে করোনা চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত করতে পারেনি তারা।

করোনার এমন পরিস্থিতির মধ্যে দেশে এখন আক্রান্তের চেয়ে মানুষের ভয় বেশি রোগটির চিকিৎসা নিয়ে। কারণ প্রতিদিনই করোনা রোগীর চিকিৎসা ও রোগ শনাক্তে নমুনা পরীক্ষা নিয়ে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে মানুষকে। এসব মানুষ একদিকে যেমন রোগটি শনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছে; তেমনি আক্রান্ত হলে চিকিৎসা পেতেও বেগ পেতে হচ্ছে। করোনা পজিটিভ আসার পরও বিভিন্ন জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রথমেই ভর্তি না করিয়ে বাসায় রাখা হচ্ছে। পরিস্থিতির অবনতি হলে ভর্তি করা হলেও হাসপাতালে চিকিৎসায় অবহেলা করা হচ্ছে। করোনা সন্দেহে হাসপাতালে ভর্তি রোগী মারা গেলে তার নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বজনদের অপেক্ষা করতে হচ্ছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। বিশেষ করে করোনা সন্দেহের উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতালে যাওয়া রোগীরা চিকিৎসা না পাওয়ার অভিযোগ করছেন। দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে গত এক মাস ধরেই এসব অভিযোগ করে আসছিল মানুষ। কিন্তু এতদিন তা আমলে নেয়নি সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগ। সর্বশেষ গত কয়েক দিন ধরে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় সরকার নির্ধারিত রাজধানীর কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থা নিয়ে হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সরা মুখ খুললে করোনা চিকিৎসায় অব্যবস্থাপনার চিত্রটি স্পষ্ট হয়ে ওঠে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর রাজধানীর আটটি হাসপাতালকে নির্ধারণ করেছে করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য। হাসপাতালগুলো হচ্ছে কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতাল, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতাল, শেখ রাসেল গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, রেলওয়ে হাসপাতাল, মহানগর জেনারেল হাসপাতাল, মিরপুর লালকুঠি হাসপাতাল, রিজেন্ট হাসপাতাল উত্তরা ও মিরপুর এবং কাঁচপুর ব্রিজ সংলগ্ন সাজেদা ফাউন্ডেশন।

এসব হাসপাতালে কর্মরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এদের ৩/৪টি বাদে অন্য হাসপাতালের এখনো রোগী ভর্তি করানোর মতো প্রস্তুতি নেই। শুধু তাই নয়, যে কয়টি হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদান করা হচ্ছে সেগুলোতেও নেই পর্যাপ্ত জনবল, নার্স ও ইকুইপমেন্ট।

নারায়নগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. সামসুদ্দোহা সঞ্জয় বলেছেন, করোনার জন্য বিশেষায়িত খানপুর হাসপাতালে করোনার পরীক্ষার জন্য কোন পিসিআর ল্যাব এখনো বসানো হয়নি। খানপুর হাসপাতালের তত্ত¡াবধায়কসহ ১৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। করোনার চিকিৎসা সেবা দেওয়া চিকিৎসকদের এন-নাইনটি ফাইভ মাস্ক নেই। তারা ঝুঁকি নিয়েই করোনা রোগীদের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তাই আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

এদিকে রাজধানীর ইমপালস হসপিটালে এই দুর্যোগের সময়ে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত চিকিৎসকের দায়িত্ব না নিয়ে বরং তাকে মানসিকভাবে হয়রানি করছে প্রতিষ্ঠানটি। হসপিটালটি গাইনি বিভাগের ওই নারী চিকিৎসকের মার্চ মাসের বেতন আটকে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। এমনকি ওই চিকিৎসকের পাশে দাঁড়নোয় ওই বিভাগের সহকর্মীদেরও বেতন আটকে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। সূত্র মতে, হাসপাতালের সকল চিকিৎসকের বেতন হলেও এখনও বেতন হয়নি গাইনি বিভাগের চিকিৎসকদের। তবে বিডিএফ ওই চিকিৎসকসহ ইমপালস হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসকদের বন্ধ থাকা বেতন পেতে হসপিটালটির সঙ্গে কথা বলে দ্রæত ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছে।

চিকিৎসকরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন কেন জানতে চাইলে বিডিএফ চেয়ারম্যান ডা. মো. শাহেদ রাফি পাবেল বলেন, চিকিৎসকদের বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মান নির্দেশিত পিপিই ও এন-৯৫ মাস্ক সঙ্কট। একই সঙ্গে অনেক রোগী করোনার লক্ষণ গোপন করে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। তার সংস্পর্শে এসে চিকিৎসকরা আক্রান্ত হচ্ছেন। এছাড়া একটি হাসপাতালে একজন আক্রান্ত হওয়ার পর তার সংষ্পর্শে থাকা অন্য চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের কোয়ারেন্টাইন না করে দায়িত্ব পালন করানো এবং পরীক্ষা না করোনোয় চিকিৎসকরা আক্রান্ত বেশি হচ্ছে। ডা. মো. শাহেদ রাফি পাবেল চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের অবহেলা না করে গুরুত্ব দেওয়ার তাগিদ দেন তিনি। এভাবে স্বাস্থ্যকর্মীরা আক্রান্ত হলে দেশের স্বাস্থ্যব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়বে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এ ব্যাপারে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ও ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ ও চিকিৎসায় খাপছাড়া কাজ হচ্ছে। প্রতিদিনই ট্রেনিংপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা প্রচার করছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। কিন্তু এদের কী ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, তা জানা যাচ্ছে না। চিকিৎসক-নার্সদের ভালো করে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। হাসপাতালে সব সুযোগ-সুবিধা রাখতে হবে রোগী ও চিকিৎসক-নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য। তিনি বলেন, হাসপাতালে রোগীদের দুই ধরনের চিকিৎসা দিতে হবে। যারা সামান্য আক্রান্ত, তাদের আলাদা রাখতে হবে। আর যাদের সংক্রমণের মাত্রা বেশি, তাদের হাইকেয়ার ওয়ার্ডে রাখতে হবে। ঘণ্টায় ঘণ্টায় রোগীর কাছে যেতে হবে। খোঁজ নিতে হবে। চিকিৎসার পাশাপাশি তাদের সাহস দিতে হবে। প্রফেসর ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, রোগীরা এখন হাসপাতালে যেতে ভয় পাচ্ছে। আক্রান্ত বাড়লে তখন এ পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। হাসপাতালে যাবে না। বাসায় থেকে ছড়াবে। তাই রোগীরা যাতে হাসপাতালে যায়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমান খান বলেন, কুয়েত-বাংলাদেশ মৈত্রী হাসপাতালের ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেখানে পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। একই সঙ্গে করোনায় আক্রান্তদের সেবা দেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের খুব ভালোভাবে রাখার জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রস্তুতিও নেয়া হচ্ছে রোগী বাড়লেও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা পেতে কোন সমস্যা হবে না।

 

 

 



 

Show all comments
  • কামাল রাহী ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪১ এএম says : 0
    করোনার আতংক থেকে মনকে জয় করুন, সৃষ্টিকর্তার উপর অটুট বিশ্বাসের শক্তি দিয়ে। আর নিজেকে সর্বাত্মক সচেতন রাখতে চেষ্টা করুন, অন্তত আপনার প্রিয়নজনদেরকে ভালো রাখতে। অনেক সময়.. বনের বাঘে খাবার আগে আমাদেরকে, মনের বাঘেই খেয়ে ফেলে। তাই মনের আত্মশক্তি হল একজন মানুষের জন্য বড় শক্তি।..
    Total Reply(0) Reply
  • Anu Mostafa ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    এভাবে দীর্ঘদিন ঘরে বসে থাকার কারণে মানসিক সমস্যা প্রকট হচ্ছে। মানুষের মাঝে থাকা উদ্যোম কাজের শক্তি ক্ষয় হচ্ছে। বাংলাদেশের আর্থ সামাজিক পরিবেশ তো আরও ভয়ংকর। দিনান্তিক কষ্ট বেদনা নিয়ে রাতের জীবন আরও ভয়ংকর। মানুষ ঘুমাতে পারছে না। এ কেমন জীবন। সৃষ্টিকর্তাই একমাত্র এই মহাপ্রলয় থেকে মানব জাতিকে বাঁচাতে পারেন। ]
    Total Reply(0) Reply
  • Shah Jahan Ali ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৩ এএম says : 0
    অামি চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মানুষিক চাপ কমাতে একমাত্র মাধ্যমের হচ্ছে নামাজ পড়া, কুরআন পড়া, তথা ইবাদত বন্দেগী করে মহান অাল্লাহ কাছে সাহায্য চাওয়া।
    Total Reply(0) Reply
  • আরিফুর রহমান ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৪ এএম says : 0
    একমাত্র মহান আল্লাহ্ তায়ালার উপর পূর্ণ আস্থা রেখে দৈনন্দিন জীবনের ধর্মীয় আমলগুলো(যেমন নামাজ, জিকির, কুরআন শরীফ তেলাওয়াত ইত্যাদি) করতে থাকা ও প্রয়োজনীয় কাজকর্ম করার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে খোশগল্পের সময়কে অতিবাহিত করলে ভালো হয়। আলহামদুলিল্লাহ, আমরা ভালো আছি।
    Total Reply(0) Reply
  • Mousumi Mou Mousumimou ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৬ এএম says : 0
    আল্লাহ ভরসা আল্লাহ চাইলে সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন, আল্লাহ নিশ্চয়ই আমাদের এই মহামারী থেকে মুক্তি দিবেন ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply
  • Subhash Sinha Sb ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    এই মহামারী অতি সহজে শেষ হবে বলে আমি মনে করছি না ۔আমাদের মধ্যে এখনো অনেক সচেতন এর অভাব রয়েছে ۔এই পরিস্থিতিতে খাদ্যের অভাব দেখা দেবে যার দরুন ۔খাদ্য জোগাড় করতে গিয়ে অনেক হিংসা-বিদ্বেষ ঘটবে মানুষে মানুষে ۔জানিনা এই মহামারী থেকে কবে আমরা নিষ্পত্তি পাব ۔۔۔?
    Total Reply(0) Reply
  • স্বপন আলী ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৪৭ এএম says : 0
    এই দুর্ভিক্ষের কথা পৃথিবীর কোনো দিন ভুলতে পারবে না। হে আল্লাহ তুমি এবার তোমার বান্দাকে রহমত করো মাফ করো এই করোনা ভাইরাস তুমি তোমার কুদরতি হাতে ধ্বংস করো আমিন
    Total Reply(0) Reply
  • Tareq Sabur ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ১:৪৪ এএম says : 0
    May Allah save us. However, what Zahid Malik is doing there? Why is he a Minister still? Base on what quality he is Health Minister? It's a shame for nation that such a useles shit is our Health Minister.
    Total Reply(0) Reply
  • ash ১৭ এপ্রিল, ২০২০, ৩:৪১ এএম says : 0
    NA GUNE E AI OBOSTHA, GUNLE HOY TO KOYEK HAJAR HOBE
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: স্বাস্থ্য


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ