প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
‘আমার পরিবারের সবাই এখন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে। তাদের কথা ভেবে খুব চিন্তা হচ্ছে। আর বেশি খারাপ লাগছে আমার ১৩ বছরের বাচ্চাটার জন্য। আমি আমার কাজকে যতটা ভালোবাসি ঠিক ততটাই পরিবারকে। এক কথায় সামাজিক ও মানসিকভাবে ভীষণ চাপে আছি।’-এভাবেই বলছিলেন চলচ্চিত্রের শক্তিমান খল অভিনেতা মিশা সওদাগর।
বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতির দায়িত্ব কাঁধে রয়েছে মিশা সওদাগরের। ইনকিলাবের সাঙ্গে আলাপকালে এই সঙ্কটময় সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া শিল্পীদের নিয়ে নানান পরিকল্পনা ও প্রত্যাশার কথা জানাতেও ভুলে যাননি এ অভিনেতা।
শিল্পী সমিতির এই সভাপতি বলেন, এর আগে দুই দফায় নিম্ন আয়ের শিল্পীদের মাঝে খাবার বিতরণ করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী রোজার আগমুহূর্তে ৪০০ শিল্পীর মাঝে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করবো। এছাড়া রোজার মাঝামাঝি সময়ে আর্থিক সহায়তার কথাও ভাবছি। এই মহামারির মাঝেও যেন ঈদটা সবাই ভালোভাবে কাটাতে পারেন।
এদিকে শিল্পীদের চিকিৎসার কথা মাথায় রেখে সমিতি পক্ষ থেকে একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। এ বিষয়ে মিশা সওদাগর বলেন, আপনারা জানেন ইতোমধ্যে শিল্পী সমিতির উদ্যোগে চলচ্চিত্র শিল্পীদের চিকিৎসার জন্য মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। শিল্পীদের কোনো সমস্যা হলে তারা সেখানে দ্রুত প্রাথমিক চিকিৎসা নিতে পারবেন। পরবর্তীতে সমস্যা বড় হলে সেটা চিহ্নিত করে বিশেষজ্ঞ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এদিকে ভক্ত ও দেশবাসীর উদ্দেশ্যে মিশা বলেছেন, নিজ নিজ ঘরে থেকে নিজেরা ভালো থাকুন এবং অন্যকে ভালো রাখুন। একটু ধৈর্য ধরার চেষ্টা করুন। আল্লাহ অবশ্যই আমাদের এ পরিক্ষায় উত্তীর্ণ করবেন। আর এই যুদ্ধে যারা জীবনকে বাজি রেখে দেশকে রক্ষা করছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করার ভাষা নেই। শুধু বলবো আপনাদের এই আত্মত্যাগ জাতি ভুলবে না। দোয়া করি আল্লাহ যেন সব সময় আপনাদের হেফাজতে রাখেন।
উল্লেখ্য, করোনার এই মহামারিতে শুটিং বন্ধ হওয়ার আগে বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন মিশা। যেগুলো মুক্তির অপেক্ষায় দিন গুনছে। এরমধ্যে রয়েছে ‘ক্রিমিনাল’, ‘শান’ ও ‘মিশন এক্সট্রিম’-এর সিক্যুয়েল। অন্যদিকে নতুন আরও বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয়ের কথা রয়েছে এই অভিনেতার। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নতুন সেসব চলচ্চিত্রের শুটিং আরম্ভ হবে বলেও জানা গিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।