Inqilab Logo

বুধবার ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১, ০৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সারা দেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৮:২০ পিএম | আপডেট : ৮:৩২ পিএম, ১৬ এপ্রিল, ২০২০

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ায় সারা দেশকেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে আজ বৃহষ্পতিবার (১৬ এপ্রিল) জারি করা এক ঘোষণায় বলা হয়, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকায় এই রোগের সংক্রমণ ঘটেছে এবং জনসাধারণের মধ্যে মেলামেশা নিষিদ্ধ করা ছাড়া এই মুহুর্তে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব নয় তাই সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন এর ক্ষমতাবলে সমগ্র বাংলাদেশকে সংক্রমণের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা হলো।

সংক্রমণ প্রতিরোধে আজকের এই ঘোষণায় তিনটি নির্দেশ কঠোরভাবে অনুসরণ করতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এগুলো হলোÑ করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রশমনে জনগণকে অবশ্যই ঘরে অবস্থান করতে হবে। অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হওয়া যাবে না। একই সঙ্গে এক এলাকা হতে অন্য এলাকায় চলাচল কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা। এছাড়া সন্ধ্যা ৬টা থেকে সকাল ৬টা পর্যন্ত কেউ ঘরের বাইরে যেতে পারবে না।

এই আদেশ অমান্যকারীর বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় ঘোষণায়।



 

Show all comments
  • *হতদরিদ্র দিনমজুর কহে* ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৯:০৫ পিএম says : 0
    বিনীত নিবেদন এইযে,আমি এক হতদরিদ্র দিনমজুর।দেশের এই ক্লান্তিকালে রেডিও টেলিভিশনের সব ধরনের বিঙ্ঞাপন অনুষ্ঠান স্থগিত রেখে শুধু সংবাদ বূলেটিন আর আল্লাহর দরবারে পানা চেয়ে আবেদন নিবেদন পাঠানো হোক।আল্লাহ ই পারেন এই মহামারী থেকে রখ্খা করতে।।
    Total Reply(0) Reply
  • Maksudur Rahman ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ১১:০৯ পিএম says : 0
    অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের জন্য সাহসী কিছু করার ইতিহাস সৃষ্টি করতে এটাই সরকারের সেরা সময়। লকডাউনে স্তব্ধ অর্থনীতির চাকা।দেশের বিপুল সংখ্যক মানুষের ভবিষ্যৎ ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা। ১.অর্থনীতির এই থমকে যাওয়া, দেশের বিরাট সংখ্যক মানুষকে দারিদ্র আর অনাহারের পথে ঠেলে দেবে না তো? ২.করোনার মতো অতিমারির ক্ষত সামলে ওঠার আগে মুখ থুবড়ে পড়বে না তো অর্থনীতি? এমন জোড়া সঙ্কটের মোকাবিলায় কী পদক্ষেপ সরকারের সামনে এ নিয়ে অর্থনীতি জ্ঞান সম্পন্ন মানুষের ভাবনা; করোনার মতো বিপুল চাপ কাটাতে বুদ্ধিমানের মতো খরচ করা উচিত সরকারের। যাঁদের সত্যিই প্রয়োজন তাঁদের ক্ষেত্রে খরচে যেন কার্পণ্য না করা হয়। করোনার আগে থেকেই ধুঁকছিল উন্নয়নে ঝুকিপুর্ণ দেশের অর্থনীতি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সমীক্ষায় দেশের জিডিপি-র হার পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হয়েছিল। এমন সময়ে করোনার মতো মহামারীর হানা যেন মরার উপর খারার গাঁ বলে অর্থনীতিবিদদের কাছে মনে হওয়া স্বাভাবিক। গোটা দুনিয়ায় করোনার তাণ্ডবলীলা দেখেই দেশ জুড়ে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। আর তাতে গতিহীন হয়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। এমন পরিস্থিতি থেকে উঠে আসার জন্য কী করণীয়! তা নিয়ে আমার মত সাধারন মানুষ যাদের আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থায় কাজ করায় অর্থনীতি বিষয় কিছুটা জ্ঞান আছে তাদেরকে গভীরভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। সংক্রমণ রোখার জন্য দেশে সম্পূর্ণ অথবা আংশিক লকডাউন চলবে। কিন্তু এই সময়ে দেশের বিরাট অংশের মানুষ যেন দারিদ্র বা অনাহারের গহ্বরে না পরে , সে ব্যাপারেও সতর্ক করতে চাই সংশ্লিষ্টদেরকে । ব্যত্যয় ঘটলে লকডাউনের বিধিও লঙ্ঘিত হতে পারে, কারণ ওই শ্রেণির মানুষের হারানোর কিছু নেই। তেমন ঘটনা ঘটলে তা হবে ট্র্যাজেডি। তাই সমাজের ওই অংশের মানুষের ন্যূনতম চাহিদা যাতে পূরণ হয় সে ব্যাপারে সরকারকে সতর্ক থাকতে হবে। সমাজের নিচুতলায় বাস করা মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর সামর্থ্য বর্তমান সরকারের আছে । দেশের মজুত করা খাদ্য ভাণ্ডার কম নয়। এমনকি ওই খাদ্যশস্যের পরিমাণ 'বাফার স্টকে' বোরো ও আউশ মজুত হলে তার পরিমাণ আরও বাড়বে। তাই দেশে এমন জরুরি পরিস্থিতিতে মজুত থাকা খাদ্যশস্য থেকে করোনায় বিপদেপরা মানুষকে বিলিয়ে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ । ইতিমধ্যে আগামী তিন মাসের জন্য প্রত্যেক ব্যক্তিকে মাসে পাঁচ কেজি করে খাদ্যশস্য গণবন্টন ব্যবস্থার মাধ্যমে দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরুও করা অতি আবশ্যক। দরিদ্র মানুষ আর করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে খোঁজার প্রক্রিয়ার মধ্যেও ফাঁক রয়েছে বিরাট। যাঁরা পেশাদার দরিদ্র এদের বাইরে বহু রয়েছে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত। সরকারের প্রাইমারী স্কুলগুলিতে পড়ুয়া শিশুদের বাড়ি বাড়ি খাবার পৌঁছে দেন। এই সময়ের প্রকৃত গরীব বা করোনায় ক্ষতিগ্রস্তদের পেয়ে যাবেন। রাজনৈতিক কর্মীদিয়ে সবকাজ হয় না, করানো ও ঠিক না। স্কুল শিক্ষক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ( তরুনদের সাংস্কৃতিক,ক্রীড়া সংগঠন ইত্যাদি) গুলিকে কাজে লাগান। কসবা উপজেলার পাশে ত্রিপুরায় করোনা অসহায় মানুষের ঘরের সামনে ত্রানের প্যাকেট রেখে সেচ্ছাসেবকরা দরজায় টুকা দিয়ে চলে যাচ্ছে । আমার কাজের লোকটি কিছুক্ষন আগে তিরস্কারের ভাষায় বলল ' ওদের কাছ থেকে কি এরা শিখতে পারে না।' মনে রাখবেন আসল সমস্যা লুকিয়ে রয়েছে অন্যত্র। বহু মানুষের আয় এখন শূন্যে নেমে গিয়েছে। আর এই সঙ্কটের দিকেই অঙ্গুলি নির্দেশ করেছেন অর্থনীদিবিদরা। তাঁরা বলেছেন এই সময় খাবার নিশ্চিত করা গেলেও, কৃষকদের চাষাবাদে ও পশুপালনে, টাকার দরকার। মুদিখানার দোকানদারের নানা পণ্য কিনতে অর্থের প্রয়োজন। এ ছাড়াও অনেকের মাথায় ঋণ পরিশোধের চিন্তা রয়েছে। এই সব বিষয়গুলিকে কখনও উড়িয়ে দিয়ে দেশের মঙ্গল কামনা করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে সরকারের কার্যক্রম অনেকটা ভারসাম্য্যহীন মনে হয়। কারন খুব কম সংখ্যক মানুষের হাতেই ত্রান পৌঁছে দিতে পেরেছে সরকার। আর তার পরিমানও কম। শুধু কৃষক নয়, শ্রমিকদের হাতেও সরকারি অর্থ পৌঁছতে হবে , লকডাউনের শুরু থেকেই দীর্ঘ দিনের কাজ বন্ধ। তাই অনেকের হাতেই টাকা নেই। তাই বলছি , মুক্তিযুদ্ধের মত চ্যালেঞ্জ বা সাহসী কিছু কাজ হাতে নেয়ার থাকলে সরকারের এটাই শ্রেষ্ট সময়। যার ধারাবাহিকতায় করোনা পরবর্তী কম বৈষম্যপুর্ণ বিশ্ব গঠনের ভুমিকায় বাংলাদেশ যেতে পারবে শীর্ষে। --- ড. মুহম্মদ ইদ্রিছ ভূইয়া, সাবেক কনসালটেন্ট এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক। J
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ