Inqilab Logo

শনিবার, ১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মুক্তাগাছায় চাল আত্মসাত: একজনের জেল, তিনজনের নামে মামলা

বিশেষ সংবাদদাতা, ময়মনসিংহ | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ৪:১৮ পিএম

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচীর আওতায় ১০ টাকা কেজি দরের ১১ বস্তা চাল আত্মসাতের দায়ে ৮ নং দাওগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মজনু সরকারের ছোট ভাই, ওএমএস ডিলার গুলশান সরকারকে তিন দিনের কারাদন্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমান এ শাস্তি প্রদান করেন।

অপরদিকে ৪৭ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে দাওগাঁও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইফতেখার উদ্দিন মামুন এবং ২১ বস্তা চাল আত্মসাতের অভিযোগে তারাটি ইউনিয়নের দুই ডিলার কথিত আওয়ামী লীগ নেতা ফরিদ ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লবের নামে মামলা দায়ের হয়েছে। উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা সুফি আফজালুর আলম বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেন। তারা তিনজনই পলাতক রয়েছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবিদুর রহমান জানান, হতদরিদ্রদের জন্য বরাদ্দকৃত ১০ টাকা কেজি দরের চাল নিয়মানুযায়ী বিতরণ না করে দাওগাঁও ইউনিয়নের ডিলার গুলশান সরকার চন্দনীআটা গ্রামের বেগম নামের এক নারীর বাড়িতে ১১ বস্তা চাল এবং একই ইউনিয়নের অপর ডিলার মামুন অন্যত্র ৪৭ বস্তা চাল গোপনে লুকিয়ে রাখে। একই অবস্থায় তারাটি ইউনিয়নের বিরাশি গ্রামের ডিলার ফরিদ ও শফিকুল ইসলাম বিপ্লব বাড়ির রান্নাঘর, রান্নাঘরের পেছনের জঙ্গল ও ঘরের বিভিন্ন স্থানে ২১ বস্তা চাল লুকিয়ে রাখে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পৃথক অভিযান চালিয়ে ওইসব চাল উদ্ধার করা হয়। পরে গুলশান সরকারকে জেল-জরিমানা ও বাকিদের নামে বুধবার রাতে থানায় নিয়মিত মামলা হয়।
মুক্তাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস জানান, গুলশানকে জেলে পাঠানো হয়েছে ও বাকিরা পলাতক রয়েছে। তাদেরকে গ্রেফতারে পুলিশের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ