Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

ফেনীতে তাহামিনার পরিবারকে আইনী সহায়তা দিতে চান এডভোকেট এম শাহাজাহান সাজু

ফেনী জেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৩৬ পিএম

ফেনী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বারাহীপুরে গতকাল দুপুরে স্বামীর হাতে খুন হওয়া তাহামিনার পরিবারকে আইনী সহায়তা দিতে চায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বারের সদস্য ও ফেনী জজকোর্টের আইনজীবী এম.শাহজাহান সাজু। তিনি গত বছর এপ্রিল মাসে ঘটে যাওয়া বহুল আলোচিত নুসরাত জাহান রাফি হত্যার মামলার বিচার কার্য্য পরিচালনা করে কাঙ্খিত রায় এনে দিয়ে দেশ বিদেশে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেছেন।
তাহামিনা হত্যাকান্ডের বিষয়ে বিজ্ঞ আইনজীবী এডভোকেট এম শাহজাহান সাজু দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন,গতকালকে ঘটে যাওয়া এই নৃশংস হত্যাকান্ডে আমরা খুবই মর্মাহত হয়েছি। এমন হত্যাকান্ড কারো কাম্য নয়। তিনি বলেন তাহামিনার পরিবার যদি চায় আমি তাদেরকে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই মামলায় পূর্ণ আইনি সহায়তা দিতে প্রস্তুত আছি। সেটা হবে বিনা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে, তারা এক পিচ কাগজের টাকাও আমাকে দিতে হবে না। তিনি আরও বলেন, খুনি টুটুল তার স্ত্রী তাহামিনাকে ঠান্ডা মাথায় খুন করে ফেইসবুক লাইভে সরাসরি সে দায় স্বীকার করেছে। সেক্ষেত্রে আইন অনুযায়ী ঠান্ডা মাথায় খুন করার অপরাধে তার বিরুদ্ধে প্রথমে ৩০২ ধারায় মামল হবে। তাকে কোর্টে নেয়ার পর সে যদি ম্যাজিষ্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় একই স্বীকারোক্তি দেয় তাহলে দন্ডবিধির ৩০২ ধারা মোতাবেক খুনির ফাঁসি হতে পারে।
এদিকে শাহজাহান সাজু বলেন, যেহেতু এই খুনের মামলার আসামী একজন,অন্য কেউ জড়িত নেই সেক্ষেত্রে পুলিশ ইচ্ছে করলে এ মহুর্তে দ্রুত ভিকটিমের পোসমর্টেম রিপোর্ট ও সুরতহাল রিপোর্ট সংগ্রহ করে চার্জসীট দাখিল করে দিলে মামলা দ্রুত বিচারে চলে আসবে। আমরা এ মামলার অতি অল্প সময়ের মধ্যে বিচার নিস্পত্তি করতে পারবো। যেহেতু খুনির স্বীকারোক্তি আছে আইন অনুযায়ী তার সর্বচ্চ শাস্তি মৃত্যুদন্ড হতে পারে।
তিনি বলেন, তাদের দেড় বছরের একটি কন্যা সন্তান আছে। নিয়ম অনুযায়ী সে নানা নানী অথবা দাদা দাদীর কাছে থাকতে পারবে। তবে এই মূহুর্তে দাদা দাদীর কাছে না থাকাই উত্তম। মায়ের খুনি পিতার ফাঁসির রায় হয়ে গেলে দাদা দাদী হয়তো মেয়েটিকে আদর যন্ত করতে চাইবে না। তার প্রতি ভালো আচরণ করবে না। দাদা দাদীর কাছে থাকলে তারা ছেলেকে বাঁচানোর জন্য শিশু মেয়েটিকে লালন পালনের অজুহাতে মুল মামলার ব্যাগাত ঘটাতে খুনি পিতার পক্ষে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করতে পারে। তাই এই মূহুর্তে সে তার নানা নানীর কাছে থাকা দরকার।
এডভোকেট সাজু দেশ তথা ফেনীবাসীর উদ্দ্যেশ্য বলেন আপনারা অধৈর্য হবেন না। এই খুনির বিচার ফেনীর আদালতে হবে, বাংলার মাটিতে হবে। আমরা এই খুনিকে সর্বচ্চ শাস্তির আওতায় আনবো। যাতে এধরনে অপরাধ আর না ঘটে। অপরাধ করলে কঠিন শাস্তি পেতে হয় সেটা আমরা এই মামলা দিয়ে প্রমাণ করব। আসুন আমরা সকলে মিলে সহযোগিতা করলে দেশে আইনের শাসন কায়েম হবে অপরাধ বন্ধ হবে।

প্রসঙ্গত, গতকাল বুধবার দুপুরে ফেনী পৌরসভার বারাহীপুরে ফেইসবুক লাইভে এসে নিজের স্ত্রীকে নির্মমভাবে জবাইয়ের পর কুপিয়ে হত্যা করে ওভায়দুল হক টুটুল। স্ত্রীকে খুন করে সে নিজে ৯৯৯ এ ফোন করে পুলিশকে খবর দেয় লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে টুটুলকে গ্রেফতার করে এবং তার হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত দা ও মোবাইল ফোন জদ্ধ করে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ