পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শে গিয়ে আক্রান্ত চিকিৎসক ডা. ফয়সাল জাহাঙ্গীর পলাশ সুস্থ হয়ে ১২ এপ্রিল বাড়ি ফিরেছেন। বাড়ি ফিরলেও এখন তিনি ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে। টেলিফোন ডা. পলাশ বলেন, ‘আমি এখন সুস্থ। করোনায় আক্রান্ত হওয়া মানুষ সুস্থ হচ্ছে, আমিই তার প্রমাণ। সতর্ক থাকুন, ভয় পাবেন না। একজন চিকিৎসক হিসেবে আবার আমি কাজে ফিরবো। গতকাল এভাবে নিজের কথাগুলো জানান ডা. পলাশ।
করোনায় আক্রান্ত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসার স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, শুরুর দিকে হাসপাতালে একরুমে একা একা থাকতাম। কেউ পাশে ছিল না। ২১ দিনের হাসপাতাল লাইফটা অন্যরকম। থাকতে কষ্ট হতো। বাড়িতে থাকা তিন বছরের মেয়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলে, বন্ধুদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেই সময় কাটতো।
ডা. পলাশ মিরপুরের ডেলটা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কমর্রর। কীভাবে ও কবে আক্রান্ত হলেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে আক্রান্ত হয়েছিলাম। ১৭ মার্চ রাতে টোলারবাগে আক্রান্ত রোগী (পরে মারা গেছেন) হাসপাতালে আসেন। তার আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস ছিল তার। তাকে আইসিইউতে (নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র) নেওয়া হয়। যেহেতু তার অবস্থা খারাপ ছিল, তাই আইইডিসিআরকে জানানো হয়। তারা ১৯ মার্চ বিকালে এসে তার নমুনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। পরের দিন দুপুরে আমাদের জানায় তিনি করোনা পজিটিভ। ২১ মার্চ ভোর রাতে তিনি মারা যান। আর আমিই তাকে রিসিভ করেছিলাম।
ডা. পলাশ বলেন, আমি বাসাতেই আইসোলেশনে চলে যাই। ২২ মার্চ শ্বাসকষ্ট শুরু হলে ভয় পাই। এরপর আইইডিসিআরকে ফোনে জানালে তারা হাসপাতালে ভর্তি হতে বলে। তারাই কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স পাঠায়। হাসপাতালে যাওয়ার পর রাতে কয়েকবার নেবুলাইজ করতে হয়, সারা রাত অক্সিজেন দেওয়া ছিল। পরে ডায়রিয়া ছিল। কিন্তু শ্বাসকষ্ট ধীরে ধীরে কমে যায়। তবে কাশি আর সর্দি ছিল কয়েকদিন।
করোনা পজেটিভ জানার পর কী মনে হয়েছিল জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি আসলে মানসিকভাবে প্রস্তুত ছিলাম। করোনা পজেটিভ শোনার পরে ইজিলি নিয়েছিলাম, ভয় পাইনি। তবে যেদিন শ্বাসকষ্ট শুরু হয় সেদিন ভয় পেয়েছিলাম। মনে হচ্ছিল হয়তো মারা যেতে পারি। ৮ ও ১০ এপ্রিল পরপর দুই টেস্টে নেগেটিভ আসে। এরপর ভালো লেগেছে, নিজেকে রিলিফ মনে হয়েছিল। তিনি বললেন, মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন, মারাও যাচ্ছেন। তবে আমি ভাল হয়েছ্ িমনোবল রাখুন করোনায় আক্রান্ত হলেও মনোবলের জোরই ঘরে ফিরে যাবেন। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।