পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস সঙ্কটে জনগণকে চিকিৎসা দিতে গিয়ে নিজেই আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া দেশের প্রথম চিকিৎসক ডা. মো. মঈন উদ্দিনকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেছেন দেশের সর্বস্তরের মানুষ। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সকল রাজনৈতিক দল ও শ্রেণি-পেশার মানুষ তার অসামান্য অবদানকে স্মরণ করেছেন। শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি জানিয়েছেন সমবেদনা।
ডা. মো. মঈন সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। অথচ সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক হয়েও তিনি পাননি নিজের প্রতিষ্ঠানের আইসিইউ, পাননি সরকারের অ্যাম্বুলেন্স। সিনিয়র এই চিকিৎসক নিজ কর্মস্থলসহ সিলেটে চিকিৎসা না পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিন্দা ও প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে। এই ঘটনায় ওসমানী মেডিকেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জোর দাবি উঠেছে।
মানবিক ডাক্তার হিসেবে পরিচিত করোনা যুদ্ধে শহীদ হওয়া ডা. মঈন ছিলেন ভদ্র ও বিনয়ী। তিনি গরীব মানুষের ফি নিতেন না।
ওমর ফারুক লিখেছেন, ‘‘ইন্না-লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। করোনা যুদ্ধে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী এই বীর সৈনিকের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি। সেই সাথে মহান আল্লাহ যেন তাকে শহীদের মর্যাদা দান করেন সেই প্রার্থনা করছি।’’
এহসান নুর লিখেছেন, ‘‘বলতেই হয় শহীদ। ডাক্তার মঈন স্যারকে জেনে বুঝে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে। বরং যতটা দ্রুত মৃত্যু নিশ্চিত করা যায় সেই কাজ করেছে ওসমানী মেডিক্যালের মহাপরিচালক এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।’’
রেজা তামিম লিখেছেন, ‘‘নিজ কর্মস্থলেই চিকিৎসা পাননি ওসমানী মেডিকেলের ডা. মঈন ভাই। এই জবাব তো প্রথম সেই মেডিকেল কলেজের পরিচালককে দিতে হবে। চিকিৎসক কমিউনিটি আঙ্গুল ঐইদিকে দেখান আগে।’’
মিজানুর রহমান লিখেছেন, ‘‘আল্লাহ তা'য়ালা ভাইকে শহীদ হিসেবে কবুল করে জান্নাতুল ফিরদাউসের মেহমান করে নিন। তার শোকাহত পরিবারকে সবরে জামিল করার তাওফিক দিন। তাঁর সন্তান কে নিয়ে বাবার যে আশা ছিল আপনি তা কবুল করে নিন। আল্লাহুম্মা আমীন।’’
কাজী বেলায়েত হোসেন লিখেছেন, ‘‘এটাকে কেবল মৃত্যু বলবো না, এটা একটা সিস্টেম্যাটিক কিলিং। রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার শিকার হয়েছেন গরীবের চিকিৎসক খ্যাত এই মেধাবী মানুষটি।’’
এবিএস সোহেল লিখেছেন, ‘‘একজন মানুষ ৫০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেছেন তার বড় সন্তানের বয়স কতো যানেন? ১২ বছর হ্যা ১২ বছর।অর্থাৎ তার প্রথম সন্তান যখন হয় তখন তার বয়স ৩৮ বছর। কি একটু হলেও বেমানান লাগে না? এবার তার নামের পাশের ডিগ্রীগুলো দেখুন এফসিপিএস, এমডি। হ্যাঁ এমন ডিগ্রী অর্জন করে আপনাদের জন্য যোগ্য ডাক্তার হতে গিয়ে এমন অনেক ডাক্তার দম্পতির জীবনের আনন্দময় অনেকটা সময় চলে যায় পড়ার টেবিলে।আজ তিনি মারা গেলেন COVID 19 এ আক্রান্ত হয়ে। যানেন তিনি কিভাবে আক্রান্ত হয়েছিলেন? তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন রোগীর সেবা দিতে গিয়ে। কারন তখনো তাকে সুরক্ষা পোষাক দেয়া হয়নি। অসুস্থ হলে তাকে রাষ্ট্র থেকে দেয়া হয়নি সামান্য ঢাকা আনার আধুনিক ব্যবস্থা! এখন বীর বলেন আর যাই বলেন ফিরিয়ে দিতে পারবেন ঐ ১২ আর ৮ বছরের ছেলেদুটোকে তাদের বাবাকে? কি বলবেন তাদেরকে যখন তারা জানবে যে তাদের বাবা আক্রান্ত হয়েছে আপনাদের অদক্ষতায়, মৃত্যুর আগে পেয়েছে আপনাদের অবহেলা! আর বীর বীর কইরেন না ঘেন্না লাগে!’’
লাভলু সেলিম লিখেছেন, ‘‘একজন সিনিয়র চিকিৎসক হয়ে যদি চিকিৎসা না পান, তাহলে সাধারণ জনগণের কি অবস্থা হবে ভাবতে পারছেন?
তারিক খান লিখেছেন, ‘‘দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য জীবন দেওয়াটা হয়তো অন্যায় তাই এগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে...হায়রে কপাল আমাদের মূল্যবান মানুষের কদর আমরা বুঝিনা।’’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।