পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
‘সবাই বলছে কাউকে বলো না। কেন বলব না? আমি তো কোনো দোষ করি নাই। আমি আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছি। লকডাউনে যখন আপনারা বাড়িতে বসে সময় কীভাবে কাটাবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্ত ছিলেন তখন আমি হয়তো কোনো কোভিড-১৯ পজেটিভ ব্যক্তির পাশে দাঁড়িয়েছি। হ্যাঁ আমি কোভিড-১৯ পজেটিভ। এতে আমার কোনো লজ্জা বা ভয় বা আফসোস নাই। বরং আমি খুব গর্বিত। কারণ আমি শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে এসেছি।’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক নারী চিকিৎসক তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব কথা লেখেন।
মানুষের সেবা করার কারণে মারা গেলেও কোনো আফসোস হবে না উল্লেখ করে ওই নারী চিকিৎসক ফেসবুকে আরও লেখেন, এখন যদি মরেও যাই আমার আফসোস থাকবে না। কারণ আমি ডাক্তার হিসেবে যে শপথ নিয়েছিলাম তা পালন করে এসেছি। আমি যত দিন পেরেছি আপনাদের জন্য হাসপাতালে এবং মাঠে আপনাদের সেবা করেছি। যেদিন আমার মনে হলো আমার নিজেরই স্যাম্পল পাঠানো দরকার, আমি সাথে সাথে স্যাম্পল পাঠিয়ে নিজেকে কোয়ারেন্টিনড করেছি। আমার পক্ষে যতদ‚র সম্ভব মানুষ এড়িয়ে চলেছি। নিজের বাড়িতেও ফিরিনি যেহেতু আমারও পরিবার আছে, বাড়িতে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়ি আছেন। তারপরও আজ আমার এলাকার মানুষের কাছে (ময়মনসিংহের যে এলাকায় ভাড়া থাকি) যে ব্যবহার পেয়েছি আমি ও আমার স্বামী তা আমি কোনো দিন ভুলব না। একটা কথা বলে যাই...নগর পুড়লে কী দেবালয় এড়ায়?
ওই নারী চিকিৎসক ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার। তিনি মঙ্গলবার রাত ১০টা ৫১ মিনিটে তার ফেসবুক ওয়ালে এই পোস্টটি শেয়ার করেন। তার এই স্টাটাসটি গতকাল বুধবার দুপুর পৌনে ১টা পর্যন্ত ৬ হাজার ৩০০ মানুষ লাইক করেছেন, কমেন্ট করেছেন ১ হাজার এবং শেয়ার করেছেন ১ হাজার ৪০০ মানুষ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।