Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

তিস্তার পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে

প্রকাশের সময় : ১৭ জুলাই, ২০১৬, ১২:০০ এএম

নীলফামারী জেলা সংবাদদাতা : গত দুই দিনের ভারী বর্ষণ আর উজানের ধেয়ে আসা পানিতে ফুলে ফেঁপে ওঠা তিস্তা নীলফামারীর ডালিয়া পয়েন্টে আজ সকালে বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। এর ফলে তিস্তা দুকুল ছাপিয়ে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত করেছে। সময়ের সাথে সাথে তিস্তা ক্রমেই ভয়ঙ্কর রূপ নিচ্ছে। ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির কারণে এরই মধ্যে চরম আতঙ্ক দেখা দিয়েছে তিস্তা পাড়ের মানুষের মাঝে। ইতিমধ্যে শত শত পরিবার বাড়িঘর ছেড়ে পরিবার পরিজন নিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে গিয়ে ওঠেছেন।
নীলফামারীর ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র জানায়, গতকাল শনিবার রাত হতে তিস্তার পানি হুহু করে বাড়তে থাকে। রাত ৩ টায় তিস্তার বিপদসীমা অতিক্রম করে। যা আজ রোববার সকাল ৯ টায় তিস্তার পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৫২ দশমিক ৫৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপদসীমা ৫২ দশমিক ৪০ সেমি)।
পানির গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তিস্তা ব্যারাজের ৪৪টি স্লুইচ গেট খুলে রাখা হয়েছে। এদিকে তিস্তায় পানি বৃদ্ধির ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল এখন হাটু পানিতে নিমজ্জিত। এদিকে পানি বৃদ্ধির ফলে জেলার ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, ছাতুনামা, ঝাড় সিংহের চর, কিসমত ছাতনাই, উত্তর খড়িবাড়ী, পূর্ব খড়িবাড়ী, দোহল পাড়া, চর খড়িবাড়ী, ভাসানীর চর, টাবুর চর, ছোট খাতা, ভেন্ডাবাড়ী, বাইশ পুকর, ছোট খাতা ও জলঢাকা উপজেলার, গোলমুন্ডা, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী ইউনিয়নের গ্রামের পর গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেকেই নিরাপদ আশ্রয়ে রাতেই উঁচু এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট এলাকার জনপ্রতিনিধিরা।
অপরদিকে জেলার ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের একতার বাজার, চরখড়িবাড়ী, ঝিঞ্জির পাড়া, লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা উপজেলার সানিয়াজান, গুড্ডিমারী ও বাউরা ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার পরিবারের বসত বাড়ী হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে। এর ফলে ওই এলাকার ২০ হাজার পরিবার পানিব ন্দি হয়ে পড়েছে।
তিস্তা জিরো পয়েন্টের সূত্রগুলি জানায়, প্রচণ্ড শব্দ নিয়ে হুহু করে কাদা পানি আছড়ে পড়ছে তিস্তায়। পানিতে এলাকার সমস্ত রাস্তা ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পানি বন্দি মানুষের চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। বিশেষ করে গবাদি পশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন সবচেয়ে বেশী।
এ ব্যাপারে পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নির্বাহী প্রকৌশলী মোস্তাফিজার রহমান জানান, গত দু’দিনের ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে ফুসে উঠেছে তিস্তা নদী। বর্ষা মৌসুমের শুরুতেই তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় অনেক মানুষের ঘরবাড়িতে হাটু পানি ওঠেছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ