বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ত্রানের চাল বরাদ্দ নিয়ে সৃষ্ট বিরোধে বাসায় হামলা ও দারোয়ানদের মারধরের অভিযোগে বগুড়া পৌরসভার ৪ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত এজাহার দিলেও তা’ নথিভুক্ত হয়নি বলে জানিয়েছেন বগুড়া পৌরসভার মেয়র ও প্রবীন বিএনপি নেতা এ্যাড. মাহবুবুর রহমান।
মঙ্গলবার দুপুরে এব্যাপারে জানতে চাইলে বগুড়া সদর থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান ইনকিলাবকে বলেন, মেয়র সাহেবের এজাহার পেয়েছি। যাচাই বাছাই চলছে , অভিযোগে সত্য হলে সেটা নথিভুক্ত করে প্রযোজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে বগুড়া পৌরসবার মেয়র এ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান তার বাসায় হামলার কারন জানাতে গিয়ে বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারনে বগুড়ার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রথম পর্যায়ে ১০ টন চালের একটি উপ বরাদ্দ দেওযা হয় বগুড়া সদরের টিএনওর কাছে।
এই বরাদ্দ বগুড়ার ১,৩ ও ৪ নম্বর ওযার্ডের কাউন্সিলরদের দ্বারা বিতরণ করা হলে অন্যান্য ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা বিক্ষুদ্ধ হয়। এরপর জেলা প্রশাসক বগুড়া পৌরসভার জন্য আরও ২১ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিলে ওই চাল নিয়মানুযায়ি ৬০ শতাংশ ২১ ওয়ার্ডের পুরুষ ও সংরক্ষিত আসনের মহিলা কাউন্সিলরদের এবং বাকি ৪০ শতাংশ মেয়রের মাধ্যমে বিতরণের উদ্যোগ নিলে পুরুষ কাউন্সিলরা তা মানতে অস্বিকার করে ।
বিষযটি মেয়রের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসককে জানানো হলে জেলা প্রশাসক ওই ২১ টন পুরুষ কাউন্সিলরদের দিতে বলেন এবং মেয়রের জন্য পৃথক ভাবে আরও ৫ টন এবং মহিলা কাউন্সিলরদের জন্য আরও ৭ টন মোট ১২টন অতিরিক্ত চাল বরাদ্দের আশ্বাস দেন।
জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে আশ্বস্ত হয়ে মেয়র ২য় দফা বরাদ্দের ২১ টন চাল ২১ জন কাউন্সিলর এবং ১ নং প্যানেল মেয়র শামস উদ্দিন শেখ হেলালের নামে ডিও লেটার দেওযা হয় ।
এরপর ৩য় দফার ১২ টন ( মহিলা কাউন্সিলর ও মেয়রের জন্য জেলা প্রশাসকের আশ্বাস মোতাবেক ) বরাদ্দও পুরুষ কাউন্সিলরদের মাধ্যমে বিতরণের জন্য কোনো কোনো কাউন্সিলর দাবি তুললে পরিস্থিতি ঘোলা হয়ে ওঠে।
ওই চালও হাতিয়ে নিতে ১৩ এপ্রিল ১০ ওয়ার্ড কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আরিফের নেতৃত্বে প্রথমে মেয়রের অফিসে এবং পরে তার জলেশ^রীতলার বাসায় প্রবেশ করে নিচতলায় গেটের দারোয়ান সহ দুজনকে মারপিট করে গেট খুলে দিতে বাধ্য করে। ফ্লাটে প্রবেশের চেষ্টা করে দরজায় লাথি মেরে দরজা ভাঙ্গার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে ।
এই ঘটনার বিবরন দিয়ে পৌর মেয়র বগুড়া জেলা প্রশাসকের কাছে অভিযোগ করেণ এবং বগুড়া সদর থানায় লিখিত এজাহার দেন । এজাহারে তিনি তার অফিস ও বাড়িতে হামলাকারী কাউন্সিলর আরিফুর রহমান আরিফ, মেজবাহুল হামিদ, সৈয়দ সার্জিল আহম্মেদ টিপু ও খোরশেদ আলমের বিচার দাবি করেছেন । একই সাথে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।