Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ট্রাক ভাড়া বৃদ্ধি ও করোনায় যশোর থেকে ঢাকায় সবজি সরবরাহ কমে গেছে

মিজানুর রহমান তোতা | প্রকাশের সময় : ১৪ এপ্রিল, ২০২০, ৩:১৫ পিএম

ট্রাক ভাড়া হঠাৎ বৃদ্ধি ও করোনায় যশোর থেকে ঢাকায় সবজি সরবরাহ একেবারেই কমে গেছে। টমেটোসহ অনেক সবজি মাঠেই নষ্ট হচ্ছে। যশোরের বাজারে একরকম পানির দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। এই সময়ে উচ্ছের কেজি থাকার কথা কমপক্ষে ৩০/৩৫টাকা। সেখানে বিক্রি হচ্ছে ১০/১২টাকায়। লাউ, বেগুন, মিষ্টি কুমড়া, টমেটোসহ সব সবজির মূল্য অর্ধেকেরও নীচে নেমে গেছে। 

করোনাভাইরাস আতঙ্কের আগে বারীনগর, আমবটতলা, চুড়ামনকাঠি ও খাজুরা এলাকা থেকে প্রতিদিন সবজির ট্রাক ঢাকা যেত ৪০/৪৫টি। সেখানে বর্তমানে যাচ্ছে গড়ে ২/৩টি। একথা জানালেন, কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের যশোরের জেলা বাজার কর্মকর্তা মোঃ সুজাত হোসেন খান। তিনি বললেন, আগে বাজারে সবজির সিন্ডিকেট ছিল এখন আর নেই। কিন্তু ট্রাক সিন্ডিকেটের সৃষ্টি হয়েছে। স্বাভাবিক অবস্থায় যশোর থেকে সবজির ট্রাক যেত ১৬/১৭ হাজার টাকায়। এখন সেখানে আদায় করা হচ্ছে ২৫/২৬হাজার টাকা। যার কারণে সবজির সরবরাহের সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাইকারী বাজারের আগের মতো চাহিদা থাকছে না। এতে মাঠ থেকে পচনশীল কৃষিপণ্য সবজি বাজারে তুলছেন চাষিরা ঠিকই কিন্তু বিক্রি হচ্ছে কম । উপযুক্ত মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন চাষিরা। আবার অনেক চাষির সবজি জমিতেই নষ্ট হচ্ছে। সংশ্লিষ্টদের দাবি, জরুরিভিত্তিতে বিষয়টির সুরাহা করা উচিত। সবজির মাঠ, পাইকারী বাজারের দিকে কঠোরভাবে নজর দেওয়া দরকার।
যশোর থেকে কৃষি বিপনন অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানানো হয়েছে বিষয়টির ব্যাপারে কৃষি মন্ত্রীর সাথে কথা বলার জন্য। যশোরের জেলা প্রশাসককেও জেলা বাজার কর্মকর্তা জানিয়েছেন। তার কথা, সরকারের নির্দেশনা আছে সামাজিক নয়, ব্যক্তিক দুরত্ব বজায় রেখে কৃষি পণ্য বিপনন স্বাভাবিক রাখতে হবে। করোনা আতঙ্কে সবজি বিপনন কার্যক্রম অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তার উপর ট্রাক ভাড়া হঠাৎ বৃদ্ধির কারণে রাজধানী ঢাকা সবজি যাচ্ছে না বললেই চলে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যশোরের উপ পরিচালক কৃষিবিদ ড. আখতারুজ্জামান জানান, সবজি চাষিরা দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। বছরের বারোমাসই সব ধরনের সবজিতে ভরপুর থাকে যশোরের বিস্তীর্ণ এলাকা। করোনার মধ্যেও চাষিরা সতর্কতার সাথে সবজি উৎপাদন করছেন। কিন্তু যোগাযোগ বিভ্রাটের কারণে কৃষক তার উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
যশোরের বারীনগরের সবজি চাষি ইসাহাক আলী জানালেন, করোনায় বিরাট ধাক্কা খেলাম। সবজি এখন মাঠ ভরা কিন্তু ক্রেতা নেই. বাজারে তুললে বিক্রি হতে চায় না। খাজুরা এলাকার চাষি আব্দুর রহিম জানালেন, প্রথমদিকে টুকটাক বিক্রি হচ্ছিল এখন কমে যাচ্ছে সবজি বিক্রি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ