পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ক্ষমতাসীনদের আত্মাসাত ও লুটের কারণেই সারাদেশে ত্রাণ নিয়ে হাহাকার চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার সকালে রাজধানীতে ‘ফিউচার অব বাংলাদেশ’ নামক সংগঠনের উদ্যোগে ঘরে ঘরে ত্রাণ সামগ্রি পৌঁছিয়ে দেয়ার এক কর্মসূচির উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি এই অভিযোগ করে। রাজারবাগে ইস্টার্ন পয়েন্টের কাছে একটি বাসার সামনে এই অনুষ্ঠান হয়। ফয়সাল সালামের নেতৃত্বাধীন এই সংগঠনটি সারাদেশের বিভাগীয় পর্য়ায়ে দুঃস্থদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেয়ার কর্মকান্ড গ্রহণ করেছে। পরে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে কয়েকজনে ত্রাণ দেন রিজভী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ফিউচার অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শওকত আজিজ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদ বিন হাসান, কে জি সেলিম, সদস্য নাহিদ রহমান পুতুল, রবিকুল হাবিব প্রমূখ।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজকে সরকারি যে ত্রাণ, এই ত্রাণ আত্মাসাত হয়ে যাচ্ছে। কাদের দ্বারা? এই সরকারি দলের লোকদের দ্বারা। হাহাকার করছে খুলনার রেল স্টেশনের শ্রমিকরা একটু ত্রাণের জন্য। কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের নার্সরা খাবার পাচ্ছে না। অথচ ক্ষমতাসীন দলের লোকজনদের বাড়িতে চাল বোঝাই হয়ে যাচ্ছে। কার চাল? জনগনের চাল। তাদের টাকায় কেনা চাল।
সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরে তিনি বলেন, যখন সকল মহল থেকে বলা হচ্ছে যে, সমন্বিত উদ্যোগের মাধ্যমে এই মহামারী মোকাবিলা করতে হবে। তখন আমরা দেখতে পারছি যে, সরকার একগুয়েমী করছে। একতরফাভাবে কাজ করতে গিয়ে শুধু নিজের দলের লোকজনদের পেট ভরানোর কাজটা গত ১০ বছর ধরে যেভাবে করেছেন এখন সেটাই করছে। যখন মানুষ রাস্তায় মরে পড়ে থাকছে, মানুষ একটু খাবারের জন্য হাহাকার করছে। রেল স্টেশনে, পথে-ঘাটে একটা ত্রাণের আশায় মানুষ দিনের দিন সেখানে গ্রীস্মের প্রখর রোদ্রের মধ্যে অপেক্ষা করছে তারা ত্রাণ পাচ্ছে না। সেখানে ত্রাণ লুটপাট হয়ে যাচ্ছে। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না। আমরা এখনো বলছি যে, জনগনের এই দুর্দশা লাঘব করার জন্য সকলকে একসাথে এগিয়ে এসে কাজ করতে হবে।
রিজভী বলেন, আজকে যারা সরকার আছেন তাদের প্রধান দায়িত্ব এই কাজটা করার। অথচ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেতু মন্ত্রী, তথ্য মন্ত্রী তারা নানা কথাই বলছেন যে, না এাণ চুরি হচ্ছে না, চাল চুরি হচ্ছে না। আমরা ঠিক মতোই দিচ্ছি। প্রতিদিনই আপনারা গণমাধ্যম খুলে দেখবেন-শুধুমাত্র চাল চুরির ঘটনা,শুধুমাত্র ত্রাণ আত্মসাতের ঘটনা। আর ওদিকে রাস্তার ওপর দাঁড়িয়ে আছে একটু ত্রাণের আশায়, দুঃস্থরা হাহাকার করছে।
করোনাভাইরাস সংক্রামণে সরকারের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি এখনো নেই উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আমরা দেখছি, স্বাস্থ্যকর্মী যারা ডাক্তার তাদেরকে ছাটাই করা হচ্ছে। কেনো করা হচ্ছে? বিভিন্ন অজুহাত তুলে এই ছাটাই করা হচ্ছে।অথচ ডাক্তারদের নিরাপত্তার বিধান করছেন না, নার্সদের নিরাপত্তা বিধান করছেন না। তারা খেতে পারছেন না। আপনি আপনার একনায়কতন্ত্রের যে আচরণ, সেই আচরণটা অব্যাহত রেখেছেন। এভাবে বিশ্বব্যাপী এই মহামারীর তান্ডব, যে প্রাদুর্ভাব- এটা মোকাবিলা করা সম্ভব নয়। এখনো সময় আছে, সরকার সমন্বিত উদ্যোগ নেবেন ঐক্যবদ্ধভাবে যাতে এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায় সকলকে সচেতনতার মধ্য দিয়ে, দুঃস্থ মানুষের বাড়িতে গিয়ে যাতে ত্রাণ পৌঁছিয়ে দেয়া যায় সেই ব্যবস্থাটাই গ্রহণ করবেন। ফিউচার অব বাংলাদেশ এর এই উদ্যোগের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন রুহুল কবির রিজভী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।