Inqilab Logo

বুধবার, ২৬ জুন ২০২৪, ১২ আষাঢ় ১৪৩১, ১৯ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বন্দি শিশুরা করোনার উচ্চ ঝুঁকিতে

মুক্তি দেয়ার আহ্বান ইউনিসেফের

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশে বর্তমানে বন্দি লাখ লাখ শিশু কোভিড-১৯ সংক্রমণের মারাত্মক ঝুঁকিতে রয়েছে। অনেককে আটকে রাখা হয়েছে সীমিত ও জনাকীর্ণ পরিসরে অতিরিক্ত মানুষের মধ্যে, যেখানে পুষ্টি, স্বাস্থ্যসেবা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সেবা অপ্রতুল, যা কোভিড-১৯ এর মতো রোগ ছড়িয়ে পড়ার জন্য অনুক‚ল পরিবেশ। এসব কেন্দ্রের যে কোনোটিতে যে কোনো মুহ‚র্তে প্রাদুর্ভাব শুরু হতে পারে। ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক হেনরিয়েটা ফোর গতকাল এক বিবৃতিতে একথা বলেছেন। 

বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘বন্দি শিশুদের অবহেলা, নিপীড়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকি বেশি থাকে, বিশেষ করে মহামারী বা তা মোকাবেলার পদক্ষেপ যদি সেখানকার কর্মী বা সেবামূলক কর্মকান্ডের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, তা আরও বেড়ে যায়’।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বজুড়ে শিশু-কিশোররা শিশুবান্ধব বিচার ব্যবস্থার আওতায় বিচারপূর্ব আটক অবস্থায় রয়েছে, ইমিগ্রেশনে আটক বা অন্য কোনো প্রশাসনিক কারণে আটক রয়েছে, সশস্ত্র সঙ্ঘাতজনিত আটক রয়েছে, জাতীয় নিরাপত্তা বা অ্যাক্টিভিজম অথবা আটক কেন্দ্রে বাবা-মায়ের সঙ্গে রয়েছে। এসব শিশু এবং যারাই আগে থেকে বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ভুগছিল তারা এই ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকিতে বেশি রয়েছে বলে তাদের মুক্তি দেয়া উচিত’।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘আমরা সব দেশের সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোকে জরুরি ভিত্তিতে সব শিশুকে মুক্তি দিতে আহ্বান জানাচ্ছি যাতে তারা নিরাপদে তাদের পরিবার বা উপযুক্ত বিকল্প আশ্রয়ে ফিরে যেতে পারে। এই বিকল্পের মধ্যে অন্যান্য আত্মীয়, অন্য পরিবার বা কমিউনিটিভিত্তিক সেবাকেন্দ্র থাকতে পারে’। অবিলম্বে নতুন করে শিশুদের শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো স্থগিত রাখার আহ্বান জানাচ্ছে ইউনিসেফ।
‘ইউনিসেফ ও অ্যালায়েন্স ফর চাইল্ড প্রটেকশন ইন হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন অন্যান্য শীর্ষস্থানীয় শিশু অধিকার সংস্থাসমূহ, বিশেষজ্ঞ এবং জাতিসংঘ সংস্থাগুলোকে নিয়ে প্রাদুর্ভাবের সময় বন্দি শিশুদের সুরক্ষায় কর্তৃপক্ষগুলো কী কী পদক্ষেপ নিতে পারে সে বিষয়ে গাইডেন্স (নির্দেশনা) প্রকাশ করেছে। শিশুদের মুক্তি দেওয়ার প্রস্তুতিমূলক কর্মকান্ডে কর্তৃপক্ষগুলোকে সহায়তা করতে প্রস্তুত রয়েছে ইউনিসেফ। তাদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ খুঁজে বের করার কাজেও সহায়তা করা হবে।
ইউনিসেফের নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে শিশুর সুরক্ষা, নিরাপত্তা ও কল্যাণ নিশ্চিতে তাদের অধিকারসমূহ সমুন্নত রাখতে হবে, এমনকি বিশেষভাবে আজকেও, যখন বিশ্ব এই সঙ্কট মোকাবেলা করছে। ভয়ানক এই মহামারীর মধ্যে বন্দি শিশুদের অধিকার রক্ষার সর্বোত্তম পথ হচ্ছে তাদের নিরাপদে মুক্তি প্রদান’।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ