পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে খাদ্যবান্ধব (ওএমএস) কর্মসূচির চাল চুরির ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে সরকার। এছাড়া খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল আত্মসাৎকারীদের ডিলারশিপ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুম। গতকাল সোমবার খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে। কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন অতিরিক্ত সচিব মো. তাহমিদুল ইসলাম ও যুগ্মসচিব মো. হাবিবুর রহমান হোছাইনী। এ কমিটি করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে কমিটিকে খাদ্য কর্মস‚চি পরিচালনার জন্য প্রণীত নীতিমালা পর্যালোচনা ও মাঠ পর্যায়ের বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে বস্তুনিষ্ঠ ও সুনির্দিষ্ট সুপারিশসহ প্রতিবেদন দাখিল করবে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দেশের হতদরিদ্র মানুষের জন্য খাদ্য চাহিদা পূরণ এবং বাজার মূল স্থিতিশীল রাখতে খাদ্য অধিদফতরের ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনা করা হয়ে থাকে। সা¤প্রতিক সময়ে দেশব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে কর্মহীন মানুষের খাদ্য চাহিদা মেটানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ১০ টাকা কেজি দরে বিশেষ ওএমএস শুরু করা হয়।
ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি পরিচালনার জন্য যথাক্রমে ২০১৫ সালে প্রণীত ওএমএস নীতিমালা ও ২০১৭ সালে প্রণীত খাদ্যবান্ধব নীতিমালা রয়েছে। বিশেষ ওএমএস পরিচালনার জন্য আরও কিছু সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করা হযেছে। বর্ণিত নীতিমালাসমূহে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির খাদ্যশস্য বিক্রি, বিতরণ ও তদারকি বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো ও নির্দেশাবলী রয়েছে।
কিন্তু তা সত্তে¡ও মাত্র দু’দিন ৫ ও ৭ এপ্রিল বিশেষ ওএমএস বিক্রির মধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ওএমএস ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচিসহ খাদ্য বিভাগের বিপুল পরিমাণ চাল চুরির ঘটনায় বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে। আবার কোথাও কোথাও স্থানীয় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় অবৈধ ব্যবসায়ী এবং ডিলারদের আটক করে মামলা দায়ের করেছে। একইসঙ্গে কীভাবে এতো বিপুল সংখ্যক চাল আত্মসাতের ঘটনা ঘটলো- সেই বিষয়ে বিস্তারিত অনুসন্ধান করে, এ বিষয়ে খাদ্য অধিদফতরের কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকলে বা কর্তব্যে অবহেলা থাকলে তা চিহ্নিত করে প্রয়োজনীয় বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ মন্ত্রণালয়ে জরুরিভিত্তিতে রিপোর্ট পাঠানোর জন্য খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
খোলাবাজারে বিক্রির (ওএমএস) চাল আত্মসাৎকারীদের ডিলারশিপ বাতিল করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন খাদ্য সচিব। একইসঙ্গে প্রয়োজনে কোনো এলাকার সব ডিলারশিপ বাতিল করে নতুন ডিলার নিয়োগ দেওয়ারও নির্দেশনা দিয়ে একটি চিঠি দিয়েছেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।