পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব থেকে সামাজিক দুরত্ব রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নিচ্ছে পুলিশ। মানুষকে ঘরে থাকার আহ্বান জানানো হলেও অনেকেই তা মানছেন না। কারণে অকারণে বাসা থেকে বের হচ্ছেন কেউ কেউ। এ অবস্থায় মাঝে মাঝে কঠোর অবস্থানে যাচ্ছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়কে রিকশা কমাতে নানা কৌশল অবলম্বন কওে রপুলিশ।
তবে রিকশা চালকরা বলছেন, পেটের তাগিদে তারা সড়কে বের হতে বাধ্য হচ্ছেন। কোথাও কোন খাদ্যসামগ্রী তারা পাচ্ছেন না। মাঝে মাঝে পেলেও তা দুই-তিন দিনের বেশি যায় না। ফলে বাধ্য হয়ে রাস্তায় নামছেন তারা।
গতকাল সকালে আসাদগেট এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ সেখান থেকে রিকশা আটক করছে। পান্থপথ মোড়ে গিয়ে দেখা যায় বেশ কয়েকটি রিকশা আটকে রেখেছে পুলিশ। রিকশাগুলোকে সড়কে উল্টে রাখতে দেখা গেছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, করোনাভাইরাসের প্রদুর্ভাব রোধে সবাইকে নিজ বাসায় অবস্থানের জন্য বলা হলেও অনেকে তা মানছেন না। তাই মানুষকে ঘরে রাখতে, বাধ্য হয়েই তারা নানা অভিযান পরিচালনা করছেন। এভাবে রিকশা আটক করে রাখলেও নিদিষ্ট সময় পর ছেড়ে দেয়া হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তা জানান।
আসলাম উদ্দিন নামে একজন রিকশাচালক বলেন, মোহাম্মদপুরের একটি ছোট বাসা ভাড়া করে থাকি। আমার স্ত্রী অন্যের বাসা বাড়িতে কাজ করতো। ছেলেও ছোট একটি চাকরি করতো। তাদের বিদায় করে দেওয়া হয়েছে। এখন তাদের কোনও কাজ নেই। বাসায় কোনও খাবার নেই। এ কারণে বাধ্য হয়েই রাস্তায় বের হয়েছি। রিকশা চালিয়ে কিছু টাকা পেলে সেগুলো দিয়ে রাতে চাল-ডাল নেবো। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে এখানে আসার পরই পুলিশ রিকশাটা নিয়ে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।