Inqilab Logo

শুক্রবার ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ কার্তিক ১৪৩১, ২৮ রবিউস সানী ১৪৪৬ হিজরি

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে চাল বিতরণের ভূয়া তালিকা তৈরীর অভিযোগ

নোয়াখালী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৯:০৩ পিএম

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরহাজারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডে মৎস্য অধিদপ্তর থেকে জেলেদের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরণের তালিকায় অন্তর্ভুক্তির জন্য জেলেদের থেকে অর্থ আদায় ও মূল জেলেদের বাদ দিয়ে ভূয়া তালিকা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল খায়ের সবুজের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও জেলেদের নাম ব্যবহার করে ভূয়া স্লিপ দিয়ে অন্য ব্যক্তিরকে চাল দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে।

সোমবার বিকালে বিষয়টি তদন্তের জন্য ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাছ ধরার নিষিদ্ধ মৌসুমে মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ অধিদপ্তর থেকে জেলেদের মাঝে প্রতি মাসে ৪০ কেজি করে দুই মাসে ৮০ কেজি চাল বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচীতে চরহাজারী ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের জন্য ৬ মেট্রিকটন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। ওয়ার্ডটিতে ১০৫জন জেলের মধ্যে ৭৫জন জেলেকে এ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়। অভিযোগ আছে স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ ও তার সহযোগি সাইফুদ্দিন রানা তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ওই ৭৫জন জেলে থেকে জন প্রতি ২০০টাকা করে নিয়ে তাদের স্লিপ প্রদান করেন। এছাড়াও মূল জেলেদের বাদ দিয়ে টাকার বিনিময়ে অন্য লোককে চাল দেওয়ার অভিযোগ আছে এই ইউপি সদস্যদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হলে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল হুদা চাল বিতরণ স্থগিত করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করেন। পরে তিনি সহকারী কমিশনার (ভূমি) কে বিষয়টি তদন্তের নির্দেশ প্রদান করেন।

চরহাজারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুরুল হুদা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ গোপনে জেলেদের তালিকা তৈরি করে সাইফুদ্দিন রানার মাধ্যমে প্রতি জেলে থেকে টাকা নিয়েছে এমন অভিযোগের সত্যতা পেয়ে চাল বিতরণ স্থগিত করা হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল খায়ের সবুজ তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি এ ঘটনার সাথে কোন ভাবেই জড়িত না।

কোম্পানীগঞ্জ সহকারী কমিশনার (ভূমি) সুপ্রভাত চাকমা বলেন, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। স্থানীয় জেলেদের থেকে তথ্য নেওয়া হয়েছে। পরিদর্শনকালে ইউপি সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান আবুল খায়েরের স্বাক্ষর ও সিল যুক্ত একটি স্লিপ এবং এক জেলে থেকে রানা টাকা নেওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ পাওয়া গেছে। ভিডিও ফুটেজে টাকা গ্রহণের বিষয়টি একটি সমিতির বলে রানা দাবী করছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ জানান, ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্তের জন্য সহকারী কমিশনার ভূমিকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আগামী ২-৩দিনের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া যাবে। অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ