Inqilab Logo

সোমবার ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো: প্রধানমন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৭:২৮ পিএম

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহামারীর কারণে বৃহত্তর জনস্বাস্থ্যের কথা বিবেচনা করে এবার পয়লা বৈশাখের বহিরাঙ্গণের সকল অনুষ্ঠানের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। তাই এবার আমরা ঘরে বসেই এবারের নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করবো।

আজ রাত সাড়ে সাতটায় বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। শেখ হাসিনা বলেন, বাঙালির সর্বজনীন উৎসব বাংলা নববর্ষ। প্রতিটি বাঙালি আনন্দ-উল্লাসের মধ্য দিয়ে উদযাপন করে থাকে এই উৎসব। কিন্তু দেশে করোনাভাইরাস ভয়াল থাবা বসাতে শুরু করেছে। তাই জনসমাগম এড়িয়ে টেলিভিশনে পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান উদযাপন করবো আমরা। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীর উদ্বোধন অনুষ্ঠান এবং স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানের মত পয়লা বৈশাখের অনুষ্ঠান রেডিও, টেলিভিশন এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সম্প্রচার করা হবে।
কবিগুরুর কালজয়ী গান ‘এসো হে বৈশাখ, এসো এসো/মুছে যাক গøানি, ঘুচে যাক জরা/অগ্নি¯œানে শুচি হোক ধরা’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, অতীতের সকল জঞ্জাল-গøানি ধুয়ে-মুছে আমরা সামনে দৃপ্ত-পায়ে এগিয়ে যাবো; গড়বো আলোকোজ্জ্বল ভবিষ্যত। করোনাভাইরাসের যে গভীর আঁধার আমাদের বিশ্বকে গ্রাস করেছে, সে আঁধার ভেদ করে বেরিয়ে আসতে হবে নতুন দিনের সূর্যালোকে।
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সমগ্র বাংলাদেশে এবং প্রবাসে বাঙালিরা বাংলা নববর্ষ আনন্দঘন পরিবেশে উদযাপন করে থাকেন। রাজধানীতে রমনা পার্ক, চারুকলা চত্বর, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানসহ নগরীর নানা স্থান মানুষের ভিড়ে মুখরিত থাকে এদিনটি। গ্রামীণ মেলা, হালখাতাসহ নানা অনুষ্ঠানে গোটা দেশ মেতে উঠে।
এবার সবাইকে অনুরোধ করবো কাঁচা আম, জাম, পেয়ারা, তরমুজ-সহ নানা মওসুমী ফল সংগ্রহ করে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বাড়িতে বসেই নববর্ষের আনন্দ উপভোগ করুন। আপনারা বিনা কারণে ঘরের বাইরে যাবেন না। অযথা কোথাও ভিড় করবেন না। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনাভাইরাস সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা করুন, পরিবারের সদস্যদের রক্ষা করুন।



 

Show all comments
  • Mohammed Shah Alam Khan ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ১০:০৬ পিএম says : 0
    বাংলা নববর্ষ এটা আমরা প্রবাসীরা ঐ দিন নিজেদের ঘরে বসে পান্তাভাত ইলিশ মাছ দিয়ে উৎসব শুরু করি। আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন সেটা ১লা বৈশাখ বা এর পরেই হউক না কেন সেদিন সকল প্রবাসী বাঙালী একত্র হয়ে এই উৎসব পালন করে থাকি। এবার সেই ১লা বৈশাখ উৎযাপন করতে পারবো কিনা জানি না। কারন প্রতিবছর আমার ৪ মেয়ে এই দিন কাজের দিন হলেও আমার সাথে মিলিত হয় আর এবার আমি লম্বা ৫ মাশ দেশে থেকে গত ১৮ই মার্চ ২০২০ আটোয়া ফিরেছি কিন্তু অদ্যাবদি ওরা আমার পাশে এমনকি আমার বাসায় ঢুকতে পারেনি কারন দেশের আইনে এটা বলে না। ওরা আমার বাসার বাহিরে থেকেই আমার সাথে কথা বলে চলেগেছে। এভাবেই এখানে চলছে দিনের পর দিন, আমি কোয়ারেন্টাইন শেষ করেছি ঠিকই কিন্তু সেই ঘরেই আবদ্ধ হয়ে রয়েছি কারন আমি বয়স্ক লোক আমার আক্রান্ত হবার সম্ভবনা বেশী। কাজেই এবার বৈশাখের সেই আমেজ আমাদেরকে ধরা দিবেনা এটাই মহা সত্য। তবে নেত্রী হাসিনার বৈশাখের উপর বাণী আশার আলো জোগাচ্ছে। এখন যদি আমাদের ফেলে আসা স্বজনেরা ওনার কথা শুনেন তাহলে অবশ্যই বাঙালীরা করোনাকে জয় করে নতুন দিনের সূর্যলোকে বেরিয়ে আসতে পারবে ইনশ’আল্লাহ। আল্লাহ্‌ আমাকে সহ সবাইকে দেশের আইন মেনে চলার ক্ষমতা দান করুন। আমিন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ