পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার
করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবেলায় সমন্বিত উদ্যোগ এবং জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণার দাবি জানিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলো। সোমবার স্কাইপিতে সর্বদলীয় পরামর্শক সভায় এই দাবি জানানো হয়। সভায় আওয়ামী লীগ ছাড়া বিএনপি, সিপিবি, গণফোরাম, জেএসডি, নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, কল্যাণ পার্টিসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের শীর্ষ নেতারা স্কাইপের মাধ্যমে অংশগ্রহণ করেন। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন, গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, বাসদের খালেকুজ্জামান, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের প্রধান টিপু বিশ্বাস প্রমূখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য দেন।
স্কাইপিতে আরো যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন গণফোরামের অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় মুক্তি কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হাকিম, বাম ঐক্যজোটের আহবায়ক নাসির উদ্দিন আহমেদ নাসু, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির মোশরেফা মিশু, সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের আহবায়ক হামিদুল হক, ওয়ার্কার্স পার্টির (মাকর্সবাদী) সাধারণ সম্পাদক ইকবাল কবির জাহিদ, গণসংহতি আন্দোলন প্রধান জোনায়েদ সাকি, ন্যাপের ভারপ্রাপ্ত সভাপাতি এম এ সবুর।
সভার সূচনা বক্তব্যে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ করোনাভাইরাস সংক্রামণকে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করে তা মোকাবিলায় সমন্বিত জাতীয় উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমরা শুরু থেকেই সকল রাজনৈতিক দল, ছাত্র-যুবকসহ সামাজিক শক্তি, সাংস্কৃতিক সংগঠন, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, বিশেষজ্ঞদের ঐক্যবদ্ধ করে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণের জন্য। সকলের আকাক্সক্ষার অংশ হিসেবেই সমন্বিত উদ্যোগের লক্ষ্যে আজকের এই সভা।
গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেন, জাতীয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে আমাদের এই করোনাভাইরাস সংক্রামণ মোকাবিলা করতে হবে। এককভাবে এটা সম্ভব না। সম্মিলিতভাবে করতে হলে মতবিনিয়ম করা, ঐক্যমত গঠন করা এবং সারা জাতিকে সম্পৃক্ত করা প্রয়োজন। এখানে কোনো সংকীর্ণ চিন্তা না করে জাতীয় ঐক্যমত সৃষ্টি করতে হবে। যারা ঝুঁকির মধ্যে আছেন তাদের প্রাথমিকভাবে চিকিৎসা দিতে হবে। সকলকে নিয়ে এটা করা সম্ভব। এককভাবে কোনো দল বা কোনো সংগঠন পারবে না। আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে সকল শক্তি নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমরা বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ব্যাপারে অত্যন্ত সজাগ থেকে সচেতনভাবে কাজ করছি, ভেতরের সমস্যাগুলো তুলে ধরেছি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে সরকার সেগুলোকে কখনোই গুরুত্ব দেয়নি। আজকে যে ত্রাণ দেয়া হচ্ছে-এটা খুবই অপ্রতুল। ৪০ হাজার লোকের মধ্যে মাত্র ৩‘শ লোকের মধ্যে এবং সেটাও দলীয়করণ করা হয়েছে। এগুলো থেকে উর্ধেব উঠতে না পারলে এই করোনাভাইরাস মোকাবিলা কোনোভাবে সম্ভব না।
তিনি বলেন, জাতীয় ও বৈশ্বিক মহাদুর্যোগ মোকাবিলায় যেকোনো উদ্যোগে শামীল হতে আমরা প্রস্তুত আছি। এই দুর্যোগ পরিস্থিতিতে দম্ভ, অহংকার ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরিহার করে ঐক্যমত প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করতে হবে সরকারকেই। কারণ পুরো দায়িত্বটার সরকারের।
জেএসডির সভাপতি আসম আবদুর রব বলেন, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য জাতীয় ঐক্যের ভিত্তিতে জাতীয় দুর্যোগ কমিটি গঠন করতে হবে। সকল শ্রেনীর মানুষকে নিয়ে, সকল সামাজিক শক্তিসহ সব পেশার মানুষকে নিয়ে এই কমিটি করতে হবে। সরকারের একার পক্ষে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব হবে বলে আমি মনে করি না। একই সঙ্গে রাষ্ট্রীয়ভাবে জাতীয় দুর্যোগ ঘোষণা করতে হবে।
সিপিবির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, এই মহাদুর্যোগ একার পক্ষে নয়, ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস দরকার।
বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজের সঞ্চালনায় এই পরামর্শ সভায় সিপিবির আবদুল্লাহ কাফী রতন, রুহিন হোসেন প্রিন্স, বিপ্লবী ওয়াকার্স পার্টির আকবর খান, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।