Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রাণ আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ : সোশ্যাল মিডিয়ার প্রতিক্রিয়া

সোশ্যাল মিডিয়া ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৫:২৪ পিএম

মহামারী কোভিড-১৯-এর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে সারা দেশে চলছে লকডাউন। এতে কর্মহীন হয়ে পড়েছে দেশের খেটে-খাওয়া মানুষ। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে বিতরণ করা হচ্ছে ত্রাণ। কিন্তু এই বৈশ্বিক মহামারীকালেও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকার দলীয় কিছু নেতারা খাদ্যাভাবে থাকা মানুষদের জন্য দেয়া ত্রাণ আত্মসাৎ করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ সরকার ও প্রশাসনের বিভিন্ন মহল থেকে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ত্রাণ আত্মসাতকারীদের অনেককেই গ্রেফতার করা হয়েছে। অব্যহত রয়েছে অভিযান।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিব্র ক্ষোভ, নিন্দা ও তিরস্কার জানিয়েছে নেটিজেনরা। তারা ত্রাণ আত্মসাতকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির প্রদানের জোর দাবি জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ নিজ বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় বলেছেন, ‘যারা দেশের দুর্যোগের সময়ে অসহায় মানুষের ত্রাণ আত্মসাৎ করে তাদের মানুষ বলা যায় না। এরা মানুষ রুপী জানোয়ার। ’

সাংবাদিক ও গবেষক মেহেদী হাসান পলাশ তার ফেইসবুক ওয়ালে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ বিতরণে অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের আদেশের চিঠি শেয়ার করে ক্যাপশনে লিখেন, ‘আশা করি ত্রাণ চোরদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে প্রশাসন।’

আশরাফুল আলম খোকনের আহ্বান, ‘অনিয়ম ঘটে না, পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই। দেখার বিষয় হচ্ছে, বিচার হয় কিনা। যারাই এসব ত্রাণ চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের কাউকেই ছাড়ছেন না: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার নির্দেশেই যেখানেই অনিয়মের খবর পাচ্ছে, সেখানেই চলছে অভিযান ও গ্রেফতার। কোনো দলীয় পরিচয় দেখা হচ্ছে না। কাউকেই ছাড়া হচ্ছে না। অপবাদ দিয়ে কোনো দলকে ঘায়েল করার অপচেষ্টা না করে, আসুন চাল চোর ধরি এবং সোচ্চার হই।’

‘সরকারের উচিত ত্রাণ আত্মসাৎকারীদের জন্য ক্রসফায়ার / ফাঁসির আইন পাস করা।’ - আবুল কালামের মন্তব্য। Abul Kalam

ধ্রুপদী আগারওয়াল লিখেন, ‘করোনার দূর্যোগে কর্মজীবি মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। ঘরে ঘরে ক্ষুধার হাহাকার, সেই ত্রাণের চালও চুরি করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে আমরা লজ্জিত। চোরদের কোন ছাড় নয়, দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি চাই।’

মিরাজুল ইসলাম লিখেন, ‘সরকার যদি দাফনের জন্য সাদা কাপড় বিতরণ করে। তাহলে ত্রাণ চোররা সেটা লুটে নিয়ে পাঞ্জাবি বানাবে।’

নিক্ষিলেশ গায়েন মনে করেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বর তথা জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে যেকেনো ধরনের বিতরণ কর্মসূচি বন্ধ করা উচিত। এক্ষেত্রে সেনাবাহিনীকে দায়িত্ব দেওয়া যথার্থ হবে।’



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনা

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ