Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

প্রাণঘাতী করোনায় বিরুপ প্রভাব-হজ এজেন্সিগুলো বিপর্যয়ের মুখে

# রমজানে তারাবিহ স্থগিত ঘোষণা সউদীর # প্রণোদনাসহ সুদমুক্ত ঋণের দাবি হাবের

শামসুল ইসলাম | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০২০, ৪:৪৬ পিএম

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরূপ প্রভাবে হজ এজেন্সিগুলো আর্থিকভাবে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। করোনার কারণে ওমরাহ বন্ধ থাকা এবং আসন্ন হজ অনুষ্ঠিত না হলে ওমরাহ ও হজ এজেন্সিগুলো কোটি কোটি টাকা ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ক্ষতিগ্রস্ত হজ এজেন্সি ও ট্রাভেলস এজেন্সিগুলোকে নগদ প্রণোদনা দেয়া জরুরি হয়ে পড়েছে। অর্থমন্ত্রীর কাছে ক্ষতিগ্রস্ত ওমরাহ এজেন্সি ও হজ এজেন্সিগুলোর অনুকূলে নগদ প্রণোদনা ও সুদমুক্ত ঋণ দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছে হাব।
এদিকে, হজযাত্রী নিবন্ধন কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্ধারিত তারিখ আগামী ১৬ এপ্রিল শেষ হচ্ছে। ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন হজযাত্রীর মধ্যে এ যাবত সরকারি ব্যবস্থাপনায় ৩ হাজার ৪০০ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ৪৬ হাজার নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। কিন্ত পাসপোর্ট অফিস বন্ধ এবং গ্রামাঞ্চলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো বন্ধ থাকায় হজযাত্রীরা নিবন্ধন কার্যক্রমে অংশ নিতে পারছে না। করোনা মহামারীর কারণে পাসপোর্ট অফিস বন্ধ থাকায় হাজার হাজার হজযাত্রী পাসপোর্ট এখনো হাতে পায়নি। তারা বিশেষ ব্যবস্থায় হজযাত্রীদের পাসপোর্ট সরবরাহ নিশ্চিত এবং স্থানীয় ব্যাংকগুলোতে হজযাত্রীর নিবন্ধনের টাকা হজ অফিসে প্রেরণের সুযোগ সৃষ্টি এবং নিবন্ধনের সময় আগামী ত্রিশ রমজান পর্যন্ত বর্ধিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের দরুণ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি ওমরাহ বন্ধ ঘোষণা করে সউদী সরকার। এতে ওমরাহ এজেন্সিগুলো প্রায় একশ’ কোটি টাকার ক্ষতির সম্মুখীন হয়।
সউদী আরবসহ গোটা বিশ্বে করোনাভাইরাস সংক্রমণ অব্যাহত থাকায় আসন্ন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত না হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রাণঘাতী করোনা মহামারীর পরিবর্তন না হলে আসন্ন পবিত্র মাহে রমজানে মক্কা-মদিনাসহ গোটা সউদীর মসজিদগুলোতে তারাবিহ নামাজ স্থগিত ঘোষণা করেছে সউদী ইসলামিক বিষয়ক মন্ত্রী ড. আব্দুল লতিফ আল-শেখ। সউদী মন্ত্রী জানান, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে মসজিদে তারাবিহ নামাজ স্থগিত থাকবে তবে ঘরে বসে তারাবিহ আদায় করতে পারবে। এতে ওমরাহ এজেন্সিগুলো ওমরাযাত্রী পাঠাতে না পারায় প্রচুর আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে। ওমরাহ ও হজ বন্ধের ঘটনায় হজ এজেন্সিগুলোর সাথে সম্পৃক্ত প্রায় ২০ হাজার জনবল বেকার হবার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
এ মহাসঙ্কটকালে বিপুল আর্থিক ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হজ এজেন্সিস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (হাব) এর সভাপতি এম শাহাদাত হোসাইন তসলিম সরকারের কাছে বিশেষ অর্থনৈতিক প্রণোদনা চেয়েছেন।
হাবের পক্ষ থেকে হজ ও ওমরাহ এজেন্সিগুলোর ক্ষতি পূরণের জন্য নগদ প্রণোদনা প্রদান, তাদের জন্য ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ওয়ার্কিং ক্যাপিটাল ঋণের ব্যবস্থা করা, ট্রাভেল এজেন্ট ও ট্যুর অপারেটদের প্রয়োজনীয় নগদ প্রণোদনার ব্যবস্থা করার জন্য অর্থ মন্ত্রীর কাছে লিখিত প্রস্তাব দেয়া হয়েছে।
হাব সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন তসলিম বলেন, হাবের সদস্যরা ট্রাভেল ও ট্যুর অপারেশনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। ফলে করোনাভাইরাসের প্রভাবে তারা বিপুল অঙ্কের অর্থনৈতিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। হাব সভাপতি জনস্বার্থে অনতিবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ওমরাহ এজেন্সি ও হজ এজেন্সিগুলোকে আর্থিন প্রণোদনা প্রদাণ ও সুদমুক্ত ঋণ বরাদ্দের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশু হস্তক্ষেপ কামান করেন। তিনি ধর্ম মন্ত্রণালয়ে হজ এজেন্সিগুলোর আটকে থাকা বিভিন্ন খাতের বকেয়া পাওনা প্রায় একশ’ কোটি টাকা দ্রুত পরিশোধের জোর দাবি জানান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ