বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
খুচরা বাজারে একালাফে পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি ১৫ টাকা বেড়েছে।৩৫ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সীমান্তের স্থল বন্দর বন্দ থাকায় ভারত থেকে পেঁয়াজ আসছে না। যে কারনে দাম বেড়েছে। করোনা আতঙ্কে হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা মানুষ হয়ে পড়েছে কর্মহীন। আর এই মুহূর্তে বৃদ্ধি পেল পেঁয়াজের দাম। দাম বেড়ে যাওয়া বিপাকে পড়েছে নিম্ন ও মধ্য আয়ের এসব মানুষ।
সোমবার মহানগরীর রেলস্টেশন রোডস্থ কদমতলা বড় বাজার মোকামে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। আর খুচরা বাজারে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ মানভেদে বিক্রি হয়েছে ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে। অথচ দুইদিন আগে খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি বিক্রি হয়েছে ৩৫ টাকা।
ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, করোনাভাইরাসের কারনে ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি নেই। একারণে খুলনার মোকামে ভারতীয় (এলসি) পেঁয়াজ নেই। ফলে দামের প্রভাব পড়েছে দেশি পেঁয়াজের উপর। তাদের মতে চাহিদা মেটাতে খুলনায় প্রতিদিন ২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি প্রয়োজন। অথচ সেখানে রবিবার খুলনার বাজারে দেশি পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে মাত্র ৬ ট্রাক। ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি না থাকায় বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের চাহিদা। পাশাপাশি বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ভোক্তারা বেশি করে পেঁয়াজ ক্রয় করছেন। ফলে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে বলে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়িরা মন্তব্য করেছেন।
খুচরা ব্যবসায়ী আব্দুল বারিক বলেন, পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধির কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, করোনাভাইরাস মোকাবেলায় প্রায় দুই সপ্তাহ বর্ডার বন্ধ রয়েছে। ফলে খুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানী নেই। এমনকি খুলনার বিভিন্ন মোকামে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই বললেই চলে। ফলে দেশি পেঁয়াজের দাম বাড়ছে। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতি যদি এইভাবে থাকে তাহলে পেঁয়াজের বাজার আরো উর্ধ্বমুখি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
খুচরা ব্যবসায়ী হানজালা স্টোরের স্বত্বাধিকারী মোঃ জয়নাল আবেদীন বলেন, গতবছর ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি বন্ধ থাকায় পেঁয়াজের বাজার অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এ কারণে ভোক্তারা আগেভাগে পেঁয়াজ বেশি করে কিনছে। ফলে পেঁয়াজের দাম হু-হু করে বৃদ্ধি পাচ্ছে।
মহানগরীর রেলস্টেশন রোডস্থ বড় বাজার এলাকার আমদানিকারক মোঃ মিলন ফরাজী বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবেলায় বর্ডার বন্ধ থাকায় গত দুই সপ্তাহ ধরে খুলনায় ভারতীয় পেঁয়াজের আমদানি নেই। ফলে চাহিদা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের। আর এ কারণেই পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভোক্তাদের চাহিদা মেটাতে খুলনায় প্রতিদিন ২০ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি প্রয়োজন। অথচ সেখানে রবিবার খুলনায় ৬ ট্রাক দেশি পেঁয়াজ আনলোড করা হয়েছে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে দেশি পেঁয়াজের দাম অনেক নেমে আসবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।