বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
করোনাভাইরাস মহামারীতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাস, মাস্তানি থামছে না। দলবেঁধে মেডিকেল সেন্টারে হানা দিয়ে চিকিৎসকদের সুরক্ষা সরঞ্জাম লুটের পর এবার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) কর্মরত নিরাপত্তা প্রহরীকে বেধড়ক মারধর করেছেন সোনার ছেলেরা। এই মাস্তানির মূল হোতা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা মো. নাজিম।
রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেইট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। করোনা আতঙ্কের মধ্যে চলাচলে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও শনিবার নাজিমের ছোট ভাই মহিউদ্দিন এবং তার বন্ধুরা মোটরসাইকেল নিয়ে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সময় পুলিশ বাঁধা দেয়।
এ সময় দায়িত্বরত প্রহরী পুলিশকে মহিউদ্দিনের পরিচয় জানিয়ে তাকে ক্যাম্পাসে প্রবেশের সুযোগ করে না দেওয়ায় রোববার বিকেলে ২ নম্বর গেইট এলাকায় দায়িত্বরত অন্য এক প্রহরীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ছাত্রলীগের সাবেক নেতা নাজিম।
নিরাপত্তা দফতরের সুপারভাইজার বেলায়াত বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করলে নাজিম তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে ঘটনাস্থলেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন বেলায়াত। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনার পর থেকে নাজিম পলাতক রয়েছেন।
পরে তার বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে পুলিশের একটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দফতরে সামনে দুটি দোকানের পিছন থেকে বিপুল পরিমাণ নিমার্ণ সামগ্রী উদ্ধার করা হয়। এই দুই দোকানে প্রতিনিয়ত আড্ডা দিতেন ছাত্রলীগ নেতা নাজিম।
বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আব্দুর রহিম বলেন, এক প্রহরীকে মারধরের ঘটনায় নাজিমের বাসাসহ বেশ কয়েকটি জায়গায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় তার বাসা থেকে বাংলাদেশ পুলিশের নাম সম্বলিত একটি মোটরসাইকেল, কিরিচ এবং বেশ কিছু বৈদ্যুতিক পাখা উদ্ধার করা হয়।
প্রহরীকে মারধরের ঘটনায় নাজিমকে দ্রুত গ্রেফতার না করলে কর্মচারীরা দায়িত্ব পালন করবেন না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্মচারী ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. নুর মোহাম্মদ।
ছাত্রলীগের ণুনধর এ নেতার বিরুদ্ধে মাদকের ব্যবসা, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, চুরিসহ নানা অপকর্মে লিপ্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।