পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেছেন, করোনাভাইরাসের কারণে কর্মহীন দরিদ্র মানুষের জন্য সরকার চাল বিতরণ পর্যাপ্ত নয়। এমন অবস্থায় যোগ হয়েছে ক্ষমতাসীনদের চাল চুরির মহোৎসব। দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর চেয়ে চাল চোরের সংখ্যা বেশি। অবিলম্বে ত্রাণের চাল বিতরণের দায়িত্ব সেনাবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেয়ার দাবি জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল রোববার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ভিডিও কনফারেন্সে রিজভী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, করোনায় যখন প্রতিটি রাষ্ট্র থমকে গেছে তখন বাংলাদেশে চলছে দরিদ্র মানুষের মুখের গ্রাস কেড়ে নেয়ার মচ্ছব। তারা দেশের এতো উন্নয়ন করেছে, বিশেষ করে বিদ্যুতের উন্নয়নে দেশ নাকি আলোয় ঝলমল করছে।
রিজভী বলেন, বিদ্যুতের অভাবে করোনার কীট উৎপাদন করতে পারছে না গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র। উপরন্তু গত দুই সপ্তাহ ধরে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের চাল চুরির খবর প্রকাশিত হলেও এ পর্যন্ত কারো দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির খবর পাইনি। যার কারণে এ লুটেরা গোষ্ঠী বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। এদের লাগাম এখনই টেনে ধরুন। না হলে জনগণ রুখে দাঁড়াতে বাধ্য হবে।
তিনি বলেন, সরকারি হিসাবে দেশের খাদ্য গুদামগুলোতে ১৭.৫১ লাখ টন চাল মজুদ আছে। এই চাল দিয়ে ৩ থেকে ৪ কোটি মানুষকে ৬ মাস অনায়াসে খাওয়ানো সম্ভব। অথচ মানুষ অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে। ক্ষুধার জ্বালায় রাস্তায় পড়ে থাকছে। কে বাঁচবে কে বাঁচবে না-তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। অনিশ্চিত জীবন জানার পরও কী করে আওয়ামী লীগের লোকজন ত্রাণের মালামাল চুরি করে খায়?
ব্র্যাকের সাম্প্রতিক জরিপের উদ্ধৃতি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, দেশে চরম দারিদ্র্য অবস্থার আগের তুলনায় ৬০ শতাংশ বেড়েছে। প্রায় ১৪ ভাগ মানুষের ঘরে খাবার নেই। ২৯ শতাংশ মানুষের ঘরে আছে মাত্র ১ থেকে ৩ দিনের খাবার। দেশ ‘উত্তম’ আয়ের নাকি ‘মধ্যম’ আয়ের, দেশের অবস্থা এখন ‘মিরপুর’ নাকি ‘সিঙ্গাপুর’ এখন এইসব কাগুজে বিতর্কের সময় নয়। এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, প্রায় তিন কোটি মানুষের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেয়া। অথচ এর পরিবর্তে জনগণ দেখছে ভিন্ন চিত্র। কথায় বলে ‘কারো ঘর পোড়ে, কেউ আলু পোড়া খায়..’।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।