পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
লকডাউন পরিস্থিতিতে ঢাকা থেকে উত্তরাঞ্চলগামী পথঘাট এখন চরম নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়েছে। শনিবার রাতেই এ মহাসড়কে টাঙ্গাইলে একজন এবং বগুড়ায় আরেকজন ছিনতাইকারিদের ছুরিকাঘাতে প্রাণ হারিয়েছে। টাঙ্গাইলের কালিয়াকৈর থানা এলাকায় নিহত যুবকের নাম রাশেদ মিয়া (৩২ )। তিনি গাজীপুরে একটি ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তা।
শনিবার রাতে তার কাছে খবর আসে বগুড়ার সোনাতলা উপজেলার পাকুল্লা ইউনিয়নের করমজা গ্রামে বসবাসরত তার বাবা রমজান আলী মারা গেছেন। খবর পেয়ে তিনি গাজীপুর থেকে চন্দ্রা পর্যন্ত বিভিন্নভাবে আসলেও চন্দ্রা থেকে গাড়ি না পেয়ে হেঁটেই কালিয়াকৈর পর্যন্ত আসেন। এখানেই পড়েন ছিনতাইকারিদের কবলে। মোবাইল ফোন ও মানিব্যাগ কেড়ে নেয়ার সময় বাধা পেয়ে ছিনতাইকারিরা তাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। রাতেই খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানার এস আই মনিরুজ্জামান রাশেদের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য গাজীপুর হাসপাতালে পাঠায়।
এছাড়া রাশেদের কাছে পাওয়া পাকুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার রহমান শান্তর মোবাইল নম্বরে ফোন করে তার মারা যাবার খবর জানিয়ে দেন এস আই মনিরুজ্জামান। খবর জানাজানি হলে ইউনিয়নজুড়ে শোকাবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। রোববার সকালে নিহত ছেলেকে ছাড়াই দাফন করা হয় বাবার লাশ। বিকেলে চেয়ারম্যান শান্ত ইনকিলাবকে জানান, তখনও রাশেদের লাশ পাকুল্লায় এসে পৌঁছেনি। তবে বাবার কবরের পাশেই ছেলের কবর খোঁড়া হয়েছে, লাশ আসলে জানাজার পর দাফন করা হবে।
নিহত রাশেদের বাবা রমজান আলী বিএনপির একজন স্থানীয় নেতা ছিলেন। তার ও তার ছেলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন, বিএনপি নেতা ও জিয়া শিশু কিশোর সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন চৌধুরী। তিনি রাশেদ হত্যায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার ও বিচার এবং সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জোর দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে অপর এক ঘটনায় বগুড়া সদরের তিনমাথা রেলগেইট এলাকা থেকে রোববার ভোরে ছুরিকাঘাতে নিহত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে শজিমেক মর্গে পাঠিয়েছে। উদ্ধারকারি পুলিশ সদস্যরা জানায়, নাম পরিচয়বিহীন এ যুবকটি হয়তো ভেঙে ভেঙে নিজ গন্তব্যে যাবার সময় উল্লেখিত স্থানে ছিনতাইকারিদের কবলে পড়ে তাদের ছুরিকাঘাতে মারা গেছে। তবে এ ঘটনায় পরিষ্কার হয়ে গেছে কর্মহীন, ভবঘুরে ও মাস্তান সন্ত্রাসীরা লকডাউন পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সড়কপথকে অনিরাপদ করে তুলেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।