পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নাগরিক চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়ে জনপ্রশাসনের জারিকৃত প্রজ্ঞাপন সংশোধনের আহ্বান জানিয়েছেন ‘হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পীস ফর বাংলাদেশ’র চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ। গতকাল রোববার সংস্থার পক্ষে দেয়া এক বিবৃতিতে তিনি এই আহ্বান জানান।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গত ১০ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন উপ-সচিব (বিধি শাখা) একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেন। প্রজ্ঞাপনে রুলস অব বিজনেস’র জনপ্রশাসন চ্যাপ্টারের ৩৭ নম্বর ক্রমিক সূত্রে যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তাতে প্রথমত: ঘরে অবস্থান, সন্ধ্যা ৬টার পর বের না হওয়া, হলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, এক এলাকা থেকে অন্য এলাকায় যাতায়াত নিষিদ্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা এবং দ্বিতীয়ত: ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা, কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে অবস্থানের জন্য নির্দেশনা রয়েছে।
জনপ্রশাসন চ্যাপ্টার-৩৭ নম্বর ক্রমিকে অফিস সময় ও সরকারি ছুটি নির্ধারণের ক্ষমতা দেয়া রয়েছে। সে অনুসারে জনপ্রশাসন দ্বিতীয় নির্দেশনা জারি করতে পারে। প্রথমত: নির্দেশনাগুলো জনপ্রশাসনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য প্রয়োগ করতে পারলেও অন্য নাগরিকদের ওপর প্রয়োগ করলে আইনি চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হতে পারে।
কারণ সংবিধানের আর্টিকেল ৩১ অনুসারে সকল নির্দেশনাই একমাত্র অনুসারেই হতে হবে। সাধারণ নাগরিকরা জনপ্রশাসনের সার্ভিস রুলসের আওতায় নন। এ কারণে জনপ্রশাসনের জারি করা প্রথম নির্দেশনার যেকোনো একটি কোনো নাগরিক ভঙ্গ করলে কোনো শাস্তির সুযোগ না থাকায় করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে মানুষের ঘরে থাকা ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ অন্যতম উপায় হিসেবে স্বীকৃত। কিন্তু বিভিন্ন আইনি দুর্বলতার কারণে সেটি পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যদিকে রুলস অব বিসনেজ-১৯৯৬ এর স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চ্যাপ্টারে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে ১৪ নম্বর ক্রমিকে সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ করা এমনকি ‘ কোয়ারেন্টিন’ এবং ‘আইসোলেশন’র ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। পরবর্তীতে সংক্রামক রোগ ( প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ) আইন- সংসদে পাস করা হয়। আইনের ৩ ধারায় উক্ত আইনকে সকল আইনের ওপর প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। এমনকি ৫ ধারায় স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণে কর্মকৌশল প্রণয়ন এবং গণজমায়েত, বাজার, স্টেশন ইত্যাদি বন্ধে ক্ষমতা দেয়া হয়েছে। আইনানুসারে তিনি অন্য অফিসারদেরকে এসব ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষমতা হস্তান্তর করতে পারবেন।
এই আইনের ২৪-২৬ ধারায় বিভিন্ন মেয়াদে ২-৬ মাসের শাস্তি এবং ২৫ হাজার থেকে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধানও রয়েছে। আইনের ৬ ধারায় সুনির্দিষ্ট উপায়ে উপদেষ্টা কমিটি গঠন ও তাদের সুপারিশে যেকোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করা যায় বলে উল্লেখ আছে। সংক্রামক আইনের ৫(২) ধারায় স্বাস্থ্য বিভাগের মহাপরিচালককে দায়িত্ব পালন ও কার্যসম্পাদনের ক্ষমতা দেয়া হয়েছে।
বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা করোনাকে মহামারী ঘোষণার পর করোনা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণে সরকারের পক্ষ থেকে অনেক পদক্ষেপ গ্রহণ করে নিয়ন্ত্রণ করার অব্যাহত প্রচেষ্টা চলছে। কিন্তু আইনি দুর্বলতার কারণে ঘরে থাকা ও চলাচল নিয়ন্ত্রণ পুরোপুরি সম্ভব হচ্ছে না। সুতরাং সরকারের কাছে অনুরোধ গত ১০ এপ্রিল জনপ্রশাসনের জারিকৃত প্রজ্ঞাপনের আইনি দুর্বলতা সংশোধনীর মাধ্যমে দূর করে করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ঘোষণা ‘সংক্রামক আইন’ অনুসারে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে নির্দেশনা জারির ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।
প্রসঙ্গত : সংক্রামক রোগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন-২০১৮’র অকার্যকরিতা নিয়ে গতকাল রোববার প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এতে বিধি প্রণয়ন না করা, ঘরে অবস্থান এবং জন চলাচলের ওপর কার্যকর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে না পারাসহ করোনা সংক্রামণ রোধে গৃহিত পদক্ষেপের নানা আইনি দুর্বলতা উল্লেখ করা হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।