পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বহিরাগত প্রবেশে বৃহত্তর খুলনাঞ্চলে বাড়ছে আতঙ্ক। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রতিটি প্রবেশদ্বারে বসানো হয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর চেকপোস্ট। কিন্তু চেকপোস্ট উপেক্ষা করে রাতের আঁধারে ট্রাকযোগে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, শরিয়তপুরসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে শত শত মানুষ ঢুকছে এ অঞ্চলে। এর ফলে সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
খুলনা সাতক্ষীরা বাগেরহাটসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রতিবছর ঢাকা, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে যান কয়েক হাজার নারী-পুরুষ। কর্মসংস্থানের অপ্রতুলতার কারণে এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাজের সন্ধানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। ডিসেম্বরের শুরুতে কাজে যোগ দিয়ে এপ্রিলের শেষের দিকে ফিরতে শুরু করেন তারা। তবে এবার করোনা আতঙ্কে অনেক শ্রমিক আগেই ফিরতে শুরু করেছেন। এলাকা লকডাউন থাকায় যারা ফিরতে পারেননি, তাদের কেউ কেউ এখন লুকিয়ে মালবাহী ট্রাকের ছাদে অথবা অন্য উপায়ে এলাকায় ফিরছেন।
খুলনায় শনিবার ভোরে এ রকম মালবাহী তিনটি ট্রাকসহ ৬০ শ্রমিককে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, প্রশাসনের পক্ষ থেকে করোনা প্রতিরোধে খুলনা জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এ মুহূর্তে বাইরে থেকে কাউকে এলাকায় ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। একই সঙ্গে কারও এলাকার বাইরে যাওয়ারও অনুমতি নেই। এ অবস্থায় শনিবার ভোরে তিনটি ট্রাকে করে মানিকগঞ্জ থেকে কয়রায় ফিরেছেন ৬০ শ্রমিক। তারা সবাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। তাদের আটক করে এক স্থানে রাখা হয়। পরে ইউএনও ঘটনাস্থলে পৌঁছে কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতের শর্তে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের কাছে তাদের হস্তান্তর করেন। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিন ট্রাকচালককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে গত শুক্রবার ভোরেও সাতক্ষীরা-যশোর সড়কের মাধবকাটি বাজারে স্থানীয় জনতা পলিথিনে ঢাকা ৪ ট্রাক ও একটি পরিবহন ভর্তি প্রায় দুই শতাধিক মানুষকে সেখানে অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তারা সবাই ইটভাটা শ্রমিক বলে জানা গেছে।
স্থানীয়রা জানান, গত এক সপ্তাহে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, মাদারীপুর, কুমিল্লাসহ করোনা আক্রান্ত জেলা থেকে হাজার শ্রমিক এলাকায় ফিরেছেন। গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও বিভিন্ন কৌশলে তারা মালবাহী ট্রাক, অ্যাম্বুলেন্স অথবা ছোটখাটো যানবাহনে গাদাগাদি করে বাড়ি ফিরেছেন। ফলে এলাকায় করোনাভাইরাসের ঝুঁকি বাড়ছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।