Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

গোদাগাড়ীতে কৃষকদের বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ

গোদাগাড়ী (রাজশাহী) উপজেলা সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৯:১৭ পিএম

রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ‘২০১৯-২০ অর্থবছরে খরিপ-১/২০২০-২১ মৌসুমে প্রণোদনা কর্মসূচী’র আওতায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে রাসায়নিক সার ও বীজ বিতরণ করা হয়েছে।

রবিবার সকাল ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এক হাজার চারশত ১০ জন কৃষকের মাঝে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণ করা হয়।
দেশে করোনা ভাইরাস উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনা করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব মোঃ নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত করা হয় এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে মাত্র ১৫ জন কৃষকের উপস্থিতিতে প্রণোদনা কার্যক্রম শুরু করা হয়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর প্রণোদনা কর্মসূচী আওতায় কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে উফশী আউশ ও পেঁয়াজ বীজসহ জনপ্রতি ৫ কেজি বীজ, এমওপি সার ১০ কেজি এবং ডিএপি সার ২০ কেজি করে বিতরণ করা হচ্ছে। ২০১১-১২ অর্থবছর থেকে এ পর্যন্ত কৃষি প্রণোদনা ও পুনর্বাসনের আওতায় গোদাগাড়ী উপজেলায় মোট ৪৪ হাজার ৫শত ৪৯ জন কৃষককে ৫ কোটি ১১ লক্ষ ১৮ হাজার ৮৮ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) নাজমুল ইসলাম সরকারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম,উপজেলা বরেন্দ্র বহুমুখী অফিসার জিল্লুল বারী,উপজেলা পল্লী উন্নয়ন অফিসার রাইসুল ইসলাম,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার শামসুল ইসলাম,উপজেলা সমাজসেবা অফিসার রাসেদুজ্জামান, উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার কৃষিবিদ লুৎফন নাহার, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মতিয়র রহমান, সরকারী বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাবৃন্দ এবং স্থানীয় রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ।

এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দেশের করোনা ভাইরাসজনিত রোগের বর্তমান পরিস্থিতিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ৩১ দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন। কোনো কৃষি জমি পতিত না রেখে দেশের খাদ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য আমাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আমরা সেই লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি।

চলমান সেচ, সার, বালাইনাশক সরবরাহ অব্যাহত রাখা, শ্রমিক সংকট কাটিয়ে ওঠার জন্য কৃষির যান্ত্রীকিকরণ, পুকুরপাড় ও রাস্তার পাশে সবজি চাষ, বসতবাড়ির আঙ্গিনায় ও আশেপাশে সম্ভাবনা স্থানে পেয়ারা, লেবু, পেঁপে ও অন্যান্য ফল চাষ করতে আমরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।

আগামীতে যেন দেশে খাদ্য সংকট না হয় সেজন্য সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সঠিক সময়ে বীজতলা তৈরি, রোপণ, সেচসহ অন্যান্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বিভিন্ন কৌশল নিয়ে আমরা কৃষি বিভাগ সবসময় কৃষকের পাশে আছি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ