Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

রাতের আঁধার নামার আগেই নিস্তব্ধ রাজধানী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১১ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বেশি করোনাভাইরাসের রোগী ধরা পড়েছে। এটা নিশ্চয় দুঃসংবাদ। এমন সংবাদে ঢাকা মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। সন্ধ্যা ছয়টার পর বাসা থেকে কেউ বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানানো হয়েছে। পুলিশের এমন ঘোষণার পর পাল্টে গেছে পুরো চিত্র। সন্ধ্যার পর রাজধানীর ঢাকায় রাজপথসহ অলি-গলি একদম ফাঁকা হয়ে যায়। কোথাও কাউকে ঘুরাফেরা করতে দেখা যায়নি। রাতের আধাঁর আসার আগেই রাজধানীজুড়ে নেমেছে নিরবতা। গতকাল বিকেল থেকে সন্ধ্যার পর পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন দৃশ্য দেখা গেছে।

রাজধানীর মতিঝিল, পল্টন, ফকিরাপুল, বাসাবো, মালিবাগ, পান্থপথ, কাওরান বাজার, মগবাজার, ফার্মগেট, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, তেজগাঁও শিল্পা অঞ্চল এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ওইসব এলাকার দোকানপাঠ বন্ধ রয়েছে। নেই মানুষের আনাগোনা। সবাই বাসায় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি ওইসব এলাকার অলি-গলিতেও বন্ধ রয়েছে দোকান-পাট। তবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপতা থাকায় দোকানগুলোও বন্ধ রাখা হয়েছে জানিয়েছেন অনেকেই।

পশ্চিম তেজতুরি বাজারের নিরাপত্তা কর্মী আব্দুল মতিন জানান, তার পাড়ায় সকালে দুটি দোকান খোলা হয়েছিল। কিন্তু দুপুর দুইটায় দোকানগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। তবে দিনের বেলা জরুরি প্রয়োজনে বাসা থেকে কেউ বের হলেও সন্ধ্যার পর থেকে কেউ বাসা থেকে বের হননি। আর কেউ বের হলেও তাকে বুঝিয়ে আবার বাসায় ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বলে জানান তিনি।

একই অবস্থা রাজধানীর পুরান ঢাকা, উত্তরা, গুলশান, ধানমিন্ড, মিরপুর এলাকায়ও। ওইসব এলাকায়ও দিনের বেলা জরুরি প্রয়োজনে মানুষ বের হলেও সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে সবার বাসায় ফিরে গেছেন। পুরান ঢাকার বংশাল থানার বাসিন্দা সাদেক মিয়া জানান, তাদের এলাকার বাসিন্দারা গতকাল অতি জরুরি ছাড়া কেউ বাসা থেকে বের হননি। সবাই বাসায় অবস্থান করেছেন। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর তাদের এলাকায় একদম নিরবতা নেমে আসে। বাসা থেকে কেউ বের হননি।

উত্তরা থেকে রাজন মিয়া জানান, গতকাল সকাল থেকে সেই এলাকায় মানুষের আনাগোনা বা কোনো গাড়ি চলাচল করেছে না। এছাড়াও সেই এলাকার প্রতিটি বাসিন্দা বাসায় অবস্থান করেছেন। আর সন্ধ্যার পর এলাকা একদম নিরব, নিস্তব্ধ রয়েছে বলে জানান তিনি।

ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের ডিসি মো. মাসুদুর রহমান জানান, ঢাকা মহানগরীর স্বীকৃত কাঁচা বাজার ও সুপার শপসমূহ প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া ও মহল্লায় অবস্থিত নিত্যপণ্যের দোকানগুলো প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়াও সন্ধ্যার পর সবাইকে বাসায় অবস্থান করতে বলা হয়েছে। কেউ বের হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য গতকাল বিকেল থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় পুলিশ অবস্থান দিয়েছে এবং টহল দিয়েছে।

এদিকে, পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাব সদস্যরা রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করেছেন। র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার সহকারী পরিচালক সুজয় সরকার জানান, গতকাল বিকেলে রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালানো হয়েছে। এ সময় মোটরসাইকেল ও পাইভেটকার চালকদের জরিমানা করা হয়েছে। এরপর থেকে ওই এলাকায় আরো কেউ বের হননি।



 

Show all comments
  • Azad Abul Kalam ১২ এপ্রিল, ২০২০, ৬:২৯ এএম says : 0
    Good
    Total Reply(0) Reply
  • জাকির হোসেন ১২ এপ্রিল, ২০২০, ১:৫৬ পিএম says : 0
    ঘরে থাকুন,,ভাল থাকুন, ভাল রাখুন
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ