পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারীতে বিপর্যন্ত বিশ্ব। করোনার সংক্রমণ ঠেকানোর একটি অন্যতম সুরক্ষার নাম ‘মাস্ক’। হাত থেকে মুখে সংক্রমণ ঠেকাতে এই মাস্ক ব্যবহারের সুফল পাওয়া যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হাঁচি বা কাশি থেকে ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে এই মাস্ক। আর হাত থেকে মুখের সংক্রমণের বিরুদ্ধেও সুরক্ষা দেয় এটি।
এদিকে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশেও প্রতিদিন বাড়ছে করোনার ভয়াবহতা। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে দেশে ৩০ জন মারা গেছে। পাশাপাশি করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে ৪৮২ জন। এরই ধারাবাহিকতায় দেশে বৈশ্বিক মহামারী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে সব ধরনের কর ছাড় দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। কর ছাড় পাওয়া পণ্যের তালিকায় পিপিই (পারসোনাল প্রটেকটিভ ইক্যুইপমেন্ট), জীবাণুনাশক হ্যান্ড স্যানিটাইজারের কাঁচামাল, করোনাভাইরাস পরীক্ষার কিট ও রি-এজেন্ট, সার্জিক্যাল মাস্কসহ ১৭টি পণ্য রয়েছে। সম্প্রতি এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা রহমতুল মুনিম স্বাক্ষরিত এসআরওতে করোনা মোকাবেলা ও স্থানীয়ভাবে নিরাপত্তা সামগ্রী উৎপাদনকে উৎসাহিত করতে এ ছাড় দেওয়া হয়েছে। কারণ হিসেবে বলা হয়েছে, দেশে এসব সরঞ্জাম ও উপকরণের অভাব রয়েছে। মানুষ বাজারে জীবাণুনাশক পাচ্ছে না। কোম্পানিগুলো কাঁচামালের অভাবের কথাও বলছে। যদিও এই কর ছাড় নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। কারণ তৈরিকৃত মাস্ক আমদানিতে সব ধরনের কর ছাড় দেওয়া হলেও এই মাস্ক তৈরির কাঁচামাল আমদানীতে ভ্যাট ও ট্যাক্স আগের মতোই দিতে হবে। যা ব্যবসায়ীদের বিপাকে ফেলেছে। কারণ তৈরি মাস্ক আমদানি করলে অতিরিক্ত দাম দিতে হচ্ছে ব্যবসায়ীদের। যার সুফল পাচ্ছে যে দেশ থেকে আমদানি করা হচ্ছে সেই দেশ। অথচ করোনা মোকাবেলায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সার্জিক্যাল মাস্ক তৈরির কাঁচামাল এনে দেশে তৈরি করলে সুলভ মূল্যে জনগণকে মাস্ক সরবরাহ করতে পারতো ব্যবসায়ীসহ দেশের এই দুর্যোগকালীন মানবতার সেবায় চিকিৎসক-নার্স ও জনগনের সুরক্ষায় এগিয়ে আসা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইতোমধ্যে করোনা মোকাবেলায় অত্যন্ত প্রয়োজনীয় যন্ত্র ভেন্টিলেটর তৈরিতে মিলিটারি ইনিস্টিটিউট অব সাইন্স অ্যান্ড টেকনলজি (এমআইএসটি), ওয়ালটন, মিনিস্টার, ওরিয়নসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এগিয়ে এসেছে। এরই ধারাবাহিকতায় দেশের এই দুর্যোগকালে এভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান কাঁচামাল এনে চিকিৎসক-নার্সসহ জনগণের করোনা সুরক্ষায় বিনামূল্যে মাস্ক সরবরাহ করতে পারতো। কিন্তু এক্ষেত্রে এখন বাধা হিসেবে দেখা দিয়েছে মাস্ক কাঁচামাল আমদানিতে ভ্যাট-ট্যাক্স।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগকালে দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর করোনা সুরক্ষা সামগ্রী তৈরিতে উৎসাহ যুগিয়ে চলেছেন। বলেছেন, এতে করে বাংলাদেশের সক্ষমতা বাড়বে। ভবিষ্যতে এগুলো খুব একটা আমদানির প্রয়োজন হবে না।
বিষয়টি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ইনকিলাবকে বলেন, করোনা সুরক্ষা সামগ্রী আমদানিতে সব ধরনের কর ছাড় দেওয়া হয়েছে। যা মাস্ক তৈরির কাঁচামাল আমদানীর ক্ষেত্রেও প্রজোয্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিশ্বসেরা এই অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা মোকাবেলায় মাস্ক অত্যন্ত প্রয়োজনীয় সুরক্ষার নাম। তাই অবশ্যই এর কাঁচামাল আমদানিতে অন্য সব করোনা পণ্যের মতোই সুযোগ থাকবে।
যদিও বিষয়টি সম্পর্কে এনবিআর সদস্য সৈয়দ গোলাম কিবরিয়া ইনকিলাবকে বলেন, প্রজ্ঞাপনে নির্দিষ্ট করে বলে দেওয়া হয়েছে কোন কোন করোনা পণ্য আমদানিতে কর ছাড় থাকবে। তিনি বলেন, মাস্কের কাঁচামাল আমদানিতে অবশ্যই ভ্যাট ও ট্যাক্স দিতে হবে। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সব ধরণের করোনা পণ্য আমদানীতে কর ছাড়ের কথা বলেছেন উল্লেখ করলে তিনি বলেন, এ রকম কিছু আমি জানিনা।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।