পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বৃহস্পতিবার রাতে সারাদেশে অন্য ধরনের পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়েছে। যথাযোগ্য ধর্মীয় মর্যাদায় প্রতিবছর মসজিদভিত্তিক পবিত্র শবে বরাত পালিত হয়ে থাকে। কিন্তু প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে এবারই প্রথম শুধু ইমাম, খতীব, মুয়াজ্জিন ছাড়া কোনো মুসল্লি শবে বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করতে মসজিদে যাননি। নিজ নিজ বাসা-বাড়িতেই রাতভর শবে বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করেছেন মুসল্লিরা।
হিজরি বর্ষের শাবান মাসের ১৪ তারিখে দিবাগত রাতটিকে মুসলমানগণ সৌভাগ্যের রজনী হিসেবে পালন করে থাকেন।
দিনটির যোহর নামাজ থেকেই বিভিন্ন মসজিদ থেকে মুয়াজ্জিনরা দফায় দফায় মাইকে ঘোষণা দেন করোনাভাইরাস মহামারী চলাকালে আপনারা শবে বরাতের এবাদতের জন্য রাতে মসজিদে আসবেন না। যারা রোজা রাখবেন তাদের জন্য রাত সোয়া ৪টায় সাহরির শেষ সময়। এ সময়ের আগেই সাহরি খেয়ে নিবেন।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন থেকে পূর্বে ঘোষণা দেয়া হয়েছে করোনাভাইরাস বিস্তার রোধে মুসল্লিরা শবে বরাতে মসজিদে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন। নিজ নিজ বাসা বাড়িতেই শবে বরাতের ইবাদত-বন্দেগি করবেন। করোনাভাইরাসের কারণে এ বছর কবরস্থান ও মাজারে জনসমাগম না করার আহ্বান জানায় ইসলামিক ফাউন্ডেশন (ইফা)।
করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা মসজিদে না গিয়ে মহান আল্লাহর রহমত কামনায় নিজ নিজ বাসস্থানে নফল নামাজ আদায়, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির আযকার ও দোয়ার মাধ্যমে রাতটি অতিবাহিত করেন। মসজিদ ও কবরাস্থানের সামনে বিকলাঙ্গ ও ভিক্ষুকদের আনাগোনা চোখে পড়েনি।
দিবসটি উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেন। বাণীতে তারা উভয়েই করোনাভাইরাসের কারণে ঘরে বসেই ইবাদত-বন্দেগি করার জন্য দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।