Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রোগী বাড়ছে কোয়ারেন্টিনে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ এপ্রিল, ২০২০, ১১:৫০ পিএম

দেশের বিভিন্ন স্থানে দিন দিন বেড়েই চলছে হোম কোয়ারেন্টিনে রোগীর সংখ্যা। অনেককেই নেয়া হয় আইসোলেশনে। রোগীর নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয় ঢাকায়। সংবাদদাতাদের তথ্যে ডেস্ক রিপোর্ট-
যশোর ব্যুরো জানায়, যশোরে সর্বশেষ করোনাভাইরাস পরিস্থিতি হাসপাতাল আইসোলেশনে ৮, হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে ১৬ ও হোম কোয়ারেন্টিনে ২৬৩৪ জন। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, করোনাভাইরাস সন্দেহভাজন মোট ৬৮ জনের তাদের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে আইইডিসিআরে। এর মধ্যে রিপোর্ট পাওয়া গেছে মোট ২৮ জনের। যাদের করোনা নেই। জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ শফিউল আরিফ জানান, সরকারি সিদ্ধান্ অনুযায়ী ভারত প্রত্যাগত সবার ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হচ্ছে। এ পর্যন্ত কোয়ার্টোইনে রয়েছে ৬২ জন। এর মধ্যে ১৬ জনকে বুধবার রাতে বেনাপোল থেকে যশোর ২৫ কেড হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে আনা হয়েছে। এদের বেশিরভাগই ভারতে ক্যান্সারের চিকিৎসা শেষে ফিরেছেন।
বরিশাল ব্যুরো জানায়, শুক্রবার বিকেলের পূর্ববর্তি ৪৮ ঘন্টায় নতুন করে আরো ১৯৩ জন যূক্ত হবার মধ্যে দিয়ে দক্ষিণাঞ্চলে হোম কোয়ারিন্টিনের সংখ্যা ৩ হাজার ৫১৩এ উন্নীত হয়েছে। এসময় সুস্থাবস্থায় ২৩ জন চৌদ্দ দিনের হোম কোয়ারেন্টিন শেষ করেছেন। ফলে মোট কোয়ারেন্টিন শেষ করার সংখ্যা ৩ হাজার ৪০’এ উন্নীত হয়েছে বলে বিভাগীয় স্বাস্থ্য দপ্তর জানিয়েছে। অপরদিকে শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৯ জন আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন ছিল।

খুলনা ব্যুরো জানায়, এবার করোনাভাইরাস রোধে ও সতর্কতায় খুলনাকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বুধবার রাতে খুলনা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ হেলাল হোসেন জানিয়েছেন। দেশে ধীরে ধীরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাই বাড়তি সতর্কতার অংশ হিসেবে পরবর্তী ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত খুলনা জেলা ও মহানগরকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

নোয়াখালী ব্যুরো জানায়, করোনাভাইরাস উপসর্গ থাকা সন্দেহে চট্টগ্রামে প্রেরিত ২১ জনের নমুনা পরীক্ষার পর নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে। নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসে স্থাপিত বিশেষ কন্ট্রোল রুম এ তথ্য জানান। এছাড়া গত মঙ্গলবার আরও ২০ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিকাল অ্যান্ড এনফেকসাস ডিজিস (বিআইটিআইজি)-তে প্রেরণ করা হয়েছে। নোয়াখালীতে বর্তমানে ১০জন হোমকোয়ারে রয়েছে এছাড়া ৩জন সোনাইমুড়ি হাসপাতাল কোয়ারেন্টিনে রয়েছে।

আমতলী (বরগুনা) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে দেশের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত ব্যবস্থা বন্ধ করে দেয় সরকার। সেই নিষেধকে উপেক্ষা করে লকডাউন পেরিয়ে ঢাকার নারায়ণগঞ্জের কাঠপট্টি থেকে রাতের আধারে শিশুসহ ১০৯ জন একটি বালুবাহী কার্গোতে করে আমতলীর গাজীপুর খেয়াঘাট এসে পৌঁছেছেন।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা সংবাদদাতা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নারায়াণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ফিরে আসা ১৩৬ জনের মধ্যে ৬ জনকে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। বাকী ১৩০ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে।

গফরগাঁও উপজেলা সংবাদদাতা জানান, গফরগাঁও পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের এক বীরমুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী (৬০) গত বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল হাসপাতালে পরীক্ষা পর করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা সংবাদদাতা জানান, ঝালকাঠিতে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়ায় ২৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে আইইডিসিআরে পাঠিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। জ্বর, সর্দি. কাশিতে আক্রান্ত এসব ব্যক্তিরা হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন।
কুড়িগ্রাম জেলা সংবাদদাতা জানান, কুড়িগ্রামে গত বৃহস্পতিবার ১৪ জনের নমুনা সংগ্রহ করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এনিয়ে জেলায় ৩৭ জনের নমুনা প্রেরণ করা হল। বৃহস্পতিবার ১২ জনের রিপোর্ট স্বাস্থ্য বিভাগের হাতে এসেছে।

মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, মাদারীপুরের শিবচরে করোনায়ভাইরাসে নতুন করে দুই নারী আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রন্ত দুই নারী, দুই শিশুসহ আরো দুই জনকে গতকাল শুক্রবার ভোরে মাদারীপুর সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়।
নরসিংদী থেকে স্টাফ রিপোর্টার জানান, স্তব্ধতার কাল কফিনে ঢাকা পরে গেছে গোটা নরসিংদী জেলা। শহর বন্দর গ্রাম সকল স্থানেই করোনাভাইরাস এর অজানা আতঙ্ক তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সাধারণ মানুষকে। হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে সাড়ে তিন শত মানুষকে।

সৈয়দপুর (নীলফামারী) উপজেলা সংবাদদাতা জানান, নীলফামারীর সৈয়দপুরের এক যুবক (৩৮) করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে। তার বাড়ি সৈয়দপুর উপজেলার ৫ নম্বর খাতামধুপুর ইউনিয়নের খালিশা বকশীপাড়ার।

সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতা জানান, সাতক্ষীরায় ৯১ জনের মধ্যে ৮ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রেরণ করেছে আইইসিডিআর। বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত সিভিল সার্জন অফিসে পৌঁছানো রিপোর্টগুলোর সবই নেগেটিভ। এছাড়া, সাতক্ষীরায় ১৩ জন প্রাতিষ্ঠানিক করেন্টাইনে ও ৩,২০২ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছেন। মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের আইসোলেশনে এক মহিলাসহ দুইজন ভর্তি রয়েছেন।
টাঙ্গাইল জেলা সংবাদদাতা জানান, টাঙ্গাইলের ১২টি উপজেলায় গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন ১১১ জনসহ ৩০৪ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। ১৪ জনকে ছারপত্র দেয়া হয়েছে। জেলায় মোট ২০৯৩ জনকে হোম কোয়ারেন্টিনের আওতায় আনা হয়। মেয়াদ শেষ হওয়ায় ১৭৮৯ জনকে ছাড়পত্র দেয়া হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ