পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনার ধকলে পড়েছে দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্য। বৃদ্ধি পাচ্ছে মন্দাদশা। দিন দিন হচ্ছে আরও নাজুক। চট্টগ্রাম ও মংলায় উভয় বন্দর দিয়েই আমদানি-রফতানিতে চরম ভাটার টান। ফেব্রুয়ারি ও মার্চের তুলনায় চলতি এপ্রিলে আমদানি-রফতানির দ্বিমুখী মন্দার ধারায় আরও অবনতির আভাস দিয়েছে পোর্ট-কাস্টমস ও শিপিংমহল।
তবে মাহে রমজানে অধিক প্রয়োজনীয় সবধরনের নিত্য ও ভোগ্যপণ্য আগেই প্রচুর আমদানি হয়ে মজুদ এখনও পর্যাপ্ত। অনেক ক্ষেত্রে চাহিদার চেয়ে মজুদ বেশি। তাছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে এসব পণ্য এবার তুলনামূলক কম মূল্যেই সংগ্রহ করা হয়। এরফলে রোজার বাজারে মূল্যবৃদ্ধির কোনো যৌক্তিক কারণ নেই বলে জানান চিটাগাং চেম্বারসহ আমদানিকারক ও ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ।
এদিকে দেশের মোট ৯০ শতাংশ আমদানি-রফতানি পণ্যপ্রবাহের হৃদপিন্ড চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেইনার জট স্থিতিশীল রয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো. ওমর ফারুক ইনকিলাবকে জানান, গতকাল বন্দরের ইয়ার্ডগুলোতে আমদানি কন্টেইনার ছিল ৪৪ হাজার ৮৩৬ টিইইউএস। ধারণক্ষমতা ৪৯ হাজার একশ’। ছুটির সময় বিশেষ ব্যবস্থায় বন্দর থেকে মজুদ আমদানি পণ্যবাহী কন্টেইনার খালাস ডেলিভিারি পরিবহনের ক্ষেত্রে কর্তৃপক্ষ শতভাগ স্টোররেন্ট ছাড় সুবিধা ঘোষণায় ডেলিভারি বৃদ্ধির দিকে।
গতকাল বন্দরে ৩ হাজার ৪৩৪ টিইইউএস কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের বিপরীতে এক হাজার ২২ ইউনিট কন্টেইনার ডেলিভারি হয়। বন্দরে এখন আমদানি কন্টেইনার ভর্তি ৭টি জাহাজে এবং খোলা সাধারণ কার্গোবাহী ৮ জাহাজ মিলে জেটি-বার্থে ১৫ জাহাজে কাজ অব্যাহত থাকে। তাছাড়া বহির্নোঙরে বিভিন্ন মাদার ভেসেলে শিল্প কাঁচামালসহ পণ্য লাইটারিং কাজ আংশিক চলছে।
করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে দেশে পণ্যসামগ্রীর আমদানি হ্রাসের দিকে। গত ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে গেল মার্চ মাসে পণ্য আমদানি হ্রাসের ৯ শতাংশ। অন্যদিকে মার্চে বিদেশে পণ্য রফতানি পরিস্থিতি আরও নাজুক। মার্চে রফতানি হ্রাস পেয়েছে ২৩ ভাগ।
কাস্টমস সূত্রে আরও জানা যায়, মার্চে বাণিজ্যিক ও রফতানিমুখী, দেশীয় শিল্পের কাঁচাল আমদানি হয় ৪২ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয় ৪৬ হাজার ৯১২ কোটি টাকার। এ ক্ষেত্রে হ্রাস ৯ ভাগ। আর গত জানুয়ারির তুলনায় আমদানি হ্রাস পায় ১৮ শতাংশ।
রফতানি পরিস্থিতি চরম নাজুক অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। গেল মার্চ মাসে দেশের প্রধান রফতানি খাত গার্মেন্ট, টেক্সটাইল, নিটওয়্যার পণ্যসামগ্রীর একের পর এক ক্রয়াদেশ স্থগিত ও বাতিল হতে থাকে। যা চলতি সপ্তাহ পর্যন্ত ৯২ কোটি পিসেরও বেশি পোশাক সামগ্রীর স্থগিত বা বাতিল বাবদ রফতানি মূল্য দাঁড়ায় কমপক্ষে ২৯০ কোটি ডলার। এসব গার্মেন্ট পণ্য চট্টগ্রাম বন্দর দিয়েই রফতানির সিডিউল ছিল।
কাস্টমস ও এনবিআর’র হিসাবে গত মার্চ মাসে পণ্যসামগ্রী রফতানি হয়েছে ২০ হাজার ৮০২ কোটি টাকার। ফেব্রুয়ারি মাসে রফতানি হয় ২৭ হাজার ২২৫ কোটি টাকার। সেই তুলনায় রফতানি হ্রাসে হার ২৩ দশমিক ৬০ শতাংশ। টন।
এদিকে মংলা বন্দরে আমদানি-রফতানিতেও পড়েছে করোনার ধকল। জাহাজের আসা-যাওয়া কমেছে। শিপিং সূত্রে জানা গেছে, গত জানুয়ারি মাসে মংলা বন্দরে ১২ লাখ ৯৬ হাজার মেট্রিক টন আমদানি ও ১৪ হাজার ২৩৬ টন রফতানি পণ্য শিপমেন্ট হয়েছে। কিন্তু ফেব্রুয়ারি মাসে আমদানি হয় ৯ লাখ ৫১ হাজার ৫শ’ টন এবং রফতানি ১১ হাজার ৫৩৯ টন। মার্চে ১০ লাখ ৮৪ হাজার ৬৪৪ টন আমদানি, ৭ হাজার ৬২১ টন রফতানি হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ২৫ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।