পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া নগরীতে কেউ ঢুকতে বা বের হতে পারবে না। প্রত্যেককে ঘরে থাকতে হবে। এ জন্য গত সোমবার থেকে খুলনা নগরীর বিভিন্ন প্রবেশ পথে নিরাপত্তা চৌকি বসানো হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি অপরাধমূলক কর্মকান্ড প্রতিরোধে কেএমপির ৮ থানা এলাকায় গোয়েন্দা তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে। করোনা প্রতিরোধে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ২৪ ঘণ্টা মাঠে কাজ করছে। কিন্তু মানছে ক’জন।
গত মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের বিভিন্ন প্রবেশদ্বার দিয়ে মানুষকে অবাধে নগরীতে প্রবেশ এবং বিভিন্ন ঘাট থেকে শত শত মানুষ পারাপার হতে দেখা গেছে। নগরীর প্রবেশপথ রূপসা ফেরীঘাট, কাছারী ঘাট, রেলীগেট ঘাট, জেলখানা ঘাটসহ অসংখ্য প্রবেশপথ দিয়ে মানুষ প্রবেশ করেছে নগরীতে এবং নগরী থেকে মানুষ বের হয়েছে। এছাড়া সড়ক পথেও মানুষ কম চলাচল করেনি। কয়েকজনের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখা গেছে এমন ছবি এবং ভিডিও।
নিয়মিত ঘাট দিয়ে চলাচলকারীরা জানান, খুলনার কালিবাড়ি ঘাটে আগে ৪০টি নৌকা চলতো। কিন্তু নিষেধাজ্ঞার পর এখন তিনটি নৌকা চলছে। আগে একটি নৌকায় ১৮ জন যাত্রী নেওয়া হতো। এখন ৪০-৫০ জন নেওয়া হয়। অনেকের মুখে মাস্ক নেই। এটা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ চলাচল। আগে জনপ্রতি ভাড়া নেওয়া হতো দুই টাকা। এখন নেওয়া হচ্ছে ৫ টাকা।
এ দৃশ্য দেখে অনেকেই বলছেন, শহরে প্রবেশ ও বের হওয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হলেও কেউ কেউ এ নিষেধ মানছেন না। রূপসা ও ভৈরব নদের ঘাটগুলো থেকে অন্য দিনের মতো মানুষ শহরে প্রবেশ করছেন ও বের হচ্ছেন। নির্দেশনা জারির আগে যে অবস্থা ছিলো, এখনো তেমনই আছে। অনেকেই নিষেধাজ্ঞার কথা জানেনও না। আবার অনেকে জেনেও নিষেধাজ্ঞা মানছেন না।
নগরীর শেখপাড়া বাজার এলাকার মো. শাফিন জানান, কোনো কারণ ছাড়াই মানুষ বাইরে ঘোরাঘুরি করে। এদের বিরুদ্ধে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তা না হলে করোনাভাইরাস কোনোভাবেই প্রতিহত করা যাবে না।
রূপসা ফেরীঘাট এলাকার মো. আবুজার জানান, প্রত্যেকেই জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে। বাইরে এসে আড্ডা দিচ্ছে। আত্মীয় স্বজনদের বাড়ি বেড়াতে যাচ্ছে। প্রশাসনের তৎপরতায় ভেবেছিলাম এবার বুঝি সকলে বাসায় থাকবে। কিন্তু না। তা হলো না। সকাল থেকে দেখছি নদীতে বেশ নৌকা চলছে। মানুষ পারাপার হচ্ছে। বিনা বাধায়। আমাদের জন্য লাঠি পেটাই দরকার।
এ বিষয়ে কেএমপির এডিসি (মিডিয়া) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, যাতে শহরে কেউ প্রবেশ ও শহর থেকে কেউ বাইরে যেতে না পারে সেজন্য খুলনা শহরের ১৬টি প্রবেশদ্বারে পুলিশ চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সুতরাং যত্রতত্র পারাপারের বিষয়টি ঠিক নয়। নির্দেশ অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।