পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা দুর্যোগের কবলে পড়ে অচলদশায় ঠেকেছে বন্দরনগরীর প্রাণ আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা। স্বাভাবিক কর্মচাঞ্চল্য হারিয়ে জনশূন্য বিশাল এই এলাকা এখন নিথর স্তব্ধ ভূতপুরীর রূপ নিয়েছে। ব্যবসায়ী-শিল্পোদ্যোক্তাদের মাঝে শুধুই হাহাকার। আগ্রাবাদের চারদিকে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে মহামন্দার যেন সিডর বয়ে চলেছে। গতকাল আগ্রাবাদ ঘুরেফিরে অচেনা নগরাঞ্চল মনে হলো। আমদানি-রফতানি, বৈদেশিক বাণিজ্য, লেনদেন, শিপিং, ব্যংক-বীমা প্রায় অচল।
দেশের প্রথম ও একমাত্র ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টার, শতাধিক বছরের প্রাইম চেম্বার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রি, দেশের দ্বিতীয় চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ ও তাকে ঘিরে শেয়ার বাজারের বিস্তৃতি, ৭০ বছরের প্রাচীন আন্তর্জাতিক চা নিলাম বাজার ও চায়ের ব্রোকারস হাউজসমূহ, শিপব্রেকিং ও জাহাজনির্মাণ শিল্প, জ্বালানি তেল, বিনিয়োগ, বৈদেশিক কর্মসংস্থান, জনশক্তি খাত থেকে শুরু করে হাজারো ব্যবসা-বাণিজ্য এবং রফতানিমুখী ও ভারী শিল্প প্রতিষ্ঠানের হেড অফিসগুলো ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
লোকসান গুনছে প্রতিদিন শত শত কোটি টাকা। লাখো শ্রমিক-কর্মচারীর আয়-রোজগার বন্ধের মুখোমুখি। টানা ছুটির সঙ্গে দেশজুড়ে শাটডাউন আর চট্টগ্রাম মহানগরীতে লকডাউন পরিস্থিতির মুখে আগ্রাবাদজুড়ে নেমে এসেছে অনিবার্য অর্থনৈতিক বিপর্যয়।
এ প্রসঙ্গে চিটাগাং চেম্বার সভাপতি মাহবুবুল আলম ইনকিলাবকে জানান, চেম্বার ওয়ার্লড ট্রেড সেন্টারের কার্যক্রম বন্ধ। চট্টগ্রাম নগরীতে লকডাউন অবস্থায় সবকিছুই এখন অচল। কাশ ফ্লো প্রায় বন্ধ হয়ে গেছে। কীভাবে অর্থনৈতিক কর্মকান্ড আর চালু থাকে? চারদিকে ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের চোখে অন্ধকার ও হতাশা বিরাজ করছে।
একটি বেসরকারি শিপিং প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা রুবায়েত সালিম বলেন, চট্টগ্রাম বন্দরে শুধুই চিকিৎসা, নিত্যপণ্য, খাদ্যসামগ্রী ও সেবাখাতের আমদানি পণ্য খালাস ও আংশিক ডেলিভারি পরিবহন কাজ হচ্ছে। এরজন্য আমরা আপদকালীন পরিস্থিস্থিতে বাসায় বসে কাজগুলো তাদারক করছি। জাহাজনির্মাণ শিল্প প্রতষ্ঠানের উদ্যোক্তা প্রকৌশলী জয়নাল আবেদীন মারুফ জানান, শিপবিল্ড ইয়ার্ডে সবধরনের কাজকর্ম বন্ধ। রফতানি অর্ডার অনিশ্চিত হওয়ার মুখোমুখি পড়েছি।
একই চরম সঙ্কটে পড়েছে আগ্রাবাদে অবস্থিত দেশের মূল শিপিং খাত তথা শিপিং এজেন্ট, কোম্পানি, মেইল লাইন অপারেটরের প্রতিষ্ঠান বা প্রতিনিধি, সিঅ্যন্ডএফ এজেন্টস, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স, পরিবহন এজেন্টস, বেসরকারি আইসিডি (অফডক) প্রতিষ্ঠান, শিল্প কাঁচামাল ও ভোগ্যপণ্য আমদানিকারক, কনসাইনি, ইন্ডেন্টার, সাপ্লাইয়ার, রফতানিমুখী গার্মেন্টসহ, হিমায়িত খাদ্যপণ্যসহ সকল খাত উপখাত। এর সঙ্গে জীবনধারণে জড়িত লাখো মানুষের বাড়িঘরে বিরাজ করছে অনিশ্চয়তা আর হতাশা।
বন্দরনগরীর দেওয়ানহাট, চৌমুহনী, ডবলমুরিং, মনসুরাবাদ, মোগলটুলি থেকে শুরু করে শেখ মুজিব রোড হয়ে বৃহত্তর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকাটির বিস্তৃতি হালিশহরের একাংশ এবং চট্টগ্রাম বন্দর ভবন ও কাস্টম হাউজ ঘিরে সল্টগোলা, বিমানবন্দর সড়ক পর্যন্ত। যা বন্দরনগরীর ‘নাভি’ হিসেবে প্রায় শতবছর যাবৎ অর্থনীতির কর্মকান্ডের প্রাণপ্রবাহ। করোনা সংক্রমণ বৈশি^ক দুর্যোগ পরিস্থিতিতে সমগ্র আগ্রাবাদ থমকে গেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।