পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্তকৃত) আবদুল মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এ এম জুলফিকার হায়াত গতকাল মঙ্গলবার মাজেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আদালতের আদেশের পরপরই মাজেদকে প্রিজনভ্যানে করে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, গত সোমবার রাতে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) গাবতলী এলাকায় বিশেষ ডিউটি ও নিয়মিত টহল পরিচালনা করছিলেন। রাত আনুমানিক পৌনে ৪টা দিকে গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে দিয়ে রিকশা যোগে যাওয়ার সময় ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন সিটিটিসি সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি অসংলগ্ন কথা বলতে থাকেন। এক পর্যায়ে নিজের নাম ঠিকানা প্রকাশা করেন। সে সময় তিনি স্বীকার করেন যে, তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ। তিনি আরও স্বীকার করেন যে, গ্রেফতার এড়াতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আত্মগোপনে ছিলেন। তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল দুপুরে সিএমএম আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
মাজেদকে গ্রেফতারের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহুরুল হক আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন। প্রতিবেদনে বলা হয়, গত সোমবার রাতে রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি (মাজেদ)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি স্বীকার করেন, তার নাম মাজেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত খুনি।
খুনি মাজেদের দন্ডাদেশ কার্যকর হবে-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার আত্মস্বীকৃত খুনি মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদের দন্ডাদেশ কার্যকরের প্রত্যাশা করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক ভিডিও বার্তায় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা আশা করি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী দ্রুত তার মৃত্যুদন্ডাদেশ কার্যকর করতে পারবো। যারা যারা তাকে গ্রেফতারের কাজে সম্পৃক্ত ছিলেন আমি সবাইকে ধন্যবাদ দিচ্ছি। আমি মনে করি মুজিব বর্ষে এটা একটা শ্রেষ্ঠ কাজ হিসেবে দেশবাসীকে উপহার দিতে পেরেছি। আমরা দীর্ঘদিন যে সমস্ত দন্ডপ্রাপ্ত বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের দন্ডাদেশ কার্যকর করার জন্য অপেক্ষায় ছিলাম তাদেরই একজন ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদ আমাদের পুলিশের কাছে ধরা পড়েছে। এরপর তাকে আমরা আদালতে সোপর্দ করেছি। আদালত থেকে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।