বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের সৌন্দর্য রক্ষায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এই নির্দেশনা বাস্তবায়ন করে সৈকতের সৌন্দর্য ফেরাতে লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগর লতাসহ জীব বৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্যোগ গ্রহন করতে যাচ্ছে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ।
এ লক্ষ্যে এক সমন্বয় সভা সোমবার (৭ এপ্রিল) কউক সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান লেঃ কর্নেল (অবঃ) ফোরকান আহমদ।
তিনি বলেন, কক্সবাজারের জীব বৈচিত্র্য বিশেষ করে বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতা রক্ষা করার জন্য প্রধানমন্ত্রী কার্যালয় হতে বিশেষ নির্দেশনা রয়েছে। ওই নির্দেশনা বাস্তবায়ন এবং কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এ সমন্বয় সভা আয়োজন করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি জানান, জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য সী-বীচে ওয়াটার বাইক বন্ধ করার প্রয়োজন। তাছাড়া তিনি লাল কাকড়া সংরক্ষনের জন্য কবিতা চত্বর হতে ডায়াবেটিক পয়েন্ট পর্যন্ত ঘেরা দেয়ার অনুরোধ জানান।
পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি জানান, মাদারবনিয়া, উত্তর সোনারপাড়া এবং দরিয়ানগর এলাকায় কচ্ছপ প্রজনন করে থাকে। ওই এলাকাকে কচ্ছপ জোনসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জোন হিসেবে প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে।
এছাড়া ইনানী ও শুটকি পল্লীতে লাল কাকড়া উৎপাদন করে বীচে ছেড়ে দেয়ার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বন বিভাগের প্রতিনিধি বলেন, ইতোমধ্যে ৭০ হেক্টর জমিতে ৬০ হাজার ঝাউগাছ লাগানোর পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। খুব শীঘ্রই এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান বলেন, বিজিবি রেস্ট হাউজ হতে কলাতলী বীচ পর্যন্ত সাগর লতা রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। তাছাড়া জীব বৈচিত্র্য রক্ষার জন্য দরিয়ানগর ও পেচারদ্বীপ এলাকায় বৃহৎ আকারে আলাদা জোন করা হবে।
সভায় কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, জেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, কক্সবাজার পৌরসভা, পরিবেশ অধিদপ্তর, ট্যুরিস্ট পুলিশ, বন বিভাগ, পর্যটন কর্পোরেশনসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তর/সংস্থার সমন্বয়ে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের নির্দেশনার আলোকে আন্তরিকতার সাথে এগিয়ে আসেন।
বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকত কক্সবাজারের লাল কাকড়া, কচ্ছপ, ডলফিন, সাগরলতাসহ জীব বৈচিত্র্য রক্ষা করতে সম্মিলিতভাবে কাজ করার বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
সভায় মোহাম্মদ আনোয়ার উল ইসলাম, সদস্য (প্রকৗশল), কউক; আবু জাফর রাশেদ, সচিব (উপ সচিব), কউক; বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের প্রতিনিধি, ট্যুরিস্ট পুলিশের প্রতিনিধি, কক্সবাজার পৌরসভার প্রতিনিধি, বন বিভাগের প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য এক সময় কক্সবাজার সৈকতে লাল কাঁকড়া, সাগরলতা, কচ্ছপ ও ডলফিনের বিচরণ সবই ছিল। সাম্প্রতিক সময়ে লাখ লাখ পর্যটকের পদভারে বিলুপ্ত হয়েছে লাল কাঁকড়া, কোলাহলপূর্ণ সাগর উপকূল থেকে অনেক আগেই পালিয়েছিল ডলফিন। ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যেতে বসছিল সৈকত রক্ষার জাল স্বরূপ সাগরলতা। একইবাবে কমে গেছে কচ্ছপের আনাগুনাও।
সম্প্রতি করোনা সংকটকালে সৈকত কোলাহল মুক্ত হলে কক্সবাজার সাগর উপকূলে ডলফিন দলের নৃত্য দেখেছে সারা বিশ্বের মানুষ।
-
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।