Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ত্রাণ বিতরণে থাকবেন এনজিও-সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও

ডিএনসিসি-ডিএসসিসির সমন্বয় সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, করোনাভাইরাস জনিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের সম্পৃক্ততাও জরুরি। ঢাকা মহানগরে অবস্থিত বিভিন্ন বস্তিতে এনজিওগুলো নানারকম সেবামূলক কাজে সম্পৃক্ত রয়েছে। অনেক প্রতিষ্ঠান করোনা সঙ্কট মোকাবিলায় কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক কোন ব্যবস্থাপনা নেই। এখানে ঢাকা মহানগরে বসবাসরত নিম্ন আয়ের মানুষের কঠিন সমস্যা মোকাবিলার জন্য একটি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন।
গতকাল ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রমে বিষয়ে আয়োজিত সভায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে কাউন্সিলরদের নেতৃত্বে সাব কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়। এ কমিটিতে সরকারের পাশাপাশি এনজিও এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা থাকবেন। করোনা প্রতিরোধে সর্বস্তরের জনসাধারণের সম্পৃক্ততা বাড়াতে ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে ১০টি করে সাব-কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, এ জাতীয় সঙ্কট মোকাবিলায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে আপৎকালীন একটি রূপরেখা এবং সেটআপ আছে। বর্তমানে ঢাকা মহানগরের জন্য একটি অ্যাকশন প্ল্যান করা জরুরি।
সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এনজিও ব্যুরো বিষয়ক মহাপরিচালক কে এম আব্দুস সালাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তারা ও ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী তাকসিম এ খান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ব্রাক, ওয়াটার এইড, ডিএসকে, সাজেদা ফাউন্ডেশন, শক্তি ফাউন্ডেশন এবং ওয়াশ প্রোগ্রামের সঙ্গে যুক্ত এনজিওগুলো ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা।
সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়- ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ড কাউন্সিলরের তত্ত্বাবধানে ১০টি করে সাব-কমিটি গঠন করা হবে। প্রতিটি কমিটিতে অন্তত একজন এনজিও প্রতিনিধি থাকবে। কমিটিগুলোর কার্যক্রম যথাযথভাবে সম্পন্ন হচ্ছে কিনা তা প্রয়োজনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মন্ত্রীকে অবহিত করা হবে। সভায় আরো সিদ্ধান্ত হয়, দরিদ্র ও ছিন্নমূল জনগোষ্ঠীকে চাল, ডালসহ প্রয়োজনে নগদ অর্থও দেয়া হবে।



 

Show all comments
  • রায়হান সিদ্দিকী, সাহিত্যিক। ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৬:৫৭ এএম says : 0
    বিচ্ছিন্নভাবে ত্রাণ সহায়তা নয়,বরং সকলে সরকারের ত্রাণ তহবিলে জমা দিয়ে জেলা প্রশাসক, সহকারী জেলা প্রশাসক, ম্যাজিস্ট্রেটগণসহ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণের সাহায্যে প্রতিটি পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থার খোঁজ নিয়ে তালিকা তৈরি করে সেভাবেই সহায়তা দিন, জাতি উপকৃত হবে। তা অতি জরুরীও! পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী দিতে হবে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ শামীম খান ৭ এপ্রিল, ২০২০, ৭:৪৫ এএম says : 0
    ১.পাঠক বা জনগন যাই বলি না কেন,সবাই আমরা সঠিক তথ্য এবং তার সমাপ্তি জান্তে যাচাই।যা অনেক ক্ষেত্রে চাপিয়ে যাওয়া হয় বা এড়িয়ে যাওয়া হয় বা গপন করা হয়।যার কারনে পাঠক পত্রিকার প্রতি/সংবাদের প্রতি আস্থা হারাচ্ছে।ধরুন আপনাদের পত্রিকায় লিখেছেন করোনায় সন্দেহ ভাজন ১৪ জনের মৃত্যূ।কিন্তু এদের নমুনা টেস্টের পর কি ধরা পড়ল তা আপনারা আর প্রত্রিকায় তথ্য দিবেন।যাতে করে পাঠক শুরু পেল শেষ পেল না;মূল বা কাংক্ষিত বিষয় অজানা রয়ে গেল। ২.আপনারা খবরে অনেক অনিয়ম বা অব্যবস্থাপনার তথ্য নিয়ে আসেন;কিন্তু ঘাটতি আপনারা দেখেন;কিন্তু তা উল্লেখ না করে চাপিয়ে জান।যার কারনে দেশ ও জাতি ক্ষতি গ্রস্ত হয় এবং অনিয়ম সংশোধনে সংবাদের কোন ভূমিকা থাকে না। মূলতঃসঠিক তথ্য জানাই জনগনের কাম্য।ধন্যবাদ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ