পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশের সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় পাঁচটি প্যাকেজে আর্থিক সহায়তা ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ প্যাকেজকে স্বাগত জানিয়েছেন অর্থনীতি বিশ্লেষক, গবেষক ও এই খাত সংশ্লিষ্টরা। পাশাপাশি সঠিক প্রক্রিয়ায় কঠোর তদারকির মাধ্যমে এ প্যাকেজ বাস্তবায়নের তাগিদ দিয়ে তারা বলেছেন, না হলে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্তরা এ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। সঠিক তদারকি ছাড়া বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।
পাঁচটি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা দেয়া হয়েছে, যা জিডিপির ২.৫২ শতাংশ। এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক অর্থ উপদেষ্টা এ বি মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি সফিকুল ইসলাম।
মির্জ্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী যেসব প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন এটি বাস্তবসম্মত। এই উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। তবে আশঙ্কা রয়েছে এটি বাস্তবায়ন নিয়ে। কারণ, এসব তহবিলের অর্থ কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে ঋণ হিসেবে দেবে বিতরণের জন্য। বলা হয়েছে, ব্যাংকার-গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতেই ঋণ বিতরণ করবে ব্যাংকগুলো। এখন ব্যাংক কাদের ঋণ দেবে, এটা দেখার বিষয়। যাদের ঋণ দেবে তারা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত কি না? এই বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি’ বলেন তিনি। সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই প্যাকেজে বড় শিল্পের জন্যই বেশি বরাদ্দ রয়েছে। তবে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য যে ২০ হাজার কোটি টাকার তহবিল রয়েছে। কিন্তু এ তহবিলের ঋণ বাস্তবায়নের জন্য বাণিজ্যিক ব্যাংককে দায়িত্ব দেয়া হচ্ছে। এখন তারা কীভাবে তা পালন করবে, এটাই দেখার বিষয়। কারণ, বড় শিল্প সবসময় বড় অংকের ঋণ নেয়। ব্যাংকগুলোও ওসব ঋণ দিতে বেশি আগ্রহ দেখায়। ফলে সবসময় ছোট প্রতিষ্ঠানগুলো বঞ্চিত হয়। তাই ছোট উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীরা যেন ঋণ পান, এ বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে।
এসএমই ফাউন্ডেশনের এমডি মো. সফিকুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্রণোদনা তহবিল থেকে ঋণ প্রদান করবে ব্যাংকগুলো। আমরা চাই, ব্যাংকগুলো সহজে সঠিক নিয়মে প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তাদের এই ঋণ প্রদান করবে। বাংলাদেশ ব্যাংক যেন এ বিষয়ে একটি সহজ নীতিমালা করে। এটাই আমাদের প্রত্যাশা। যাতে এ মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্তরা সহজে ঋণ পান। কারণ, অতীতে আমরা দেখেছি, ক্ষতিগ্রস্ত এসএমই উদ্যোক্তারা ব্যাংকে গিয়ে সহজে ঋণ পায় না। এতে তাদের অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।