পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি দিয়ে কার্যত লকডাউন ঘোষণার পর যেখানে সড়কে যানবাহন ও মানুষের দেখা পাওয়ার কথা না, সেখানে রীতিমত যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। সড়কে ধীর গতিতে চলাচল করছে রিকশা, ভ্যান, প্রাইভেটকার, মোটরসাইকেল থেকে শুরু করে সব ধরনের যান। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর প্রগতি সরণির মেরুল বাড্ডা ইউলুপের সামনে, বিমানবন্দর সড়ক, মালিবাগ, পল্টন ও যাত্রাবাড়ি এলাকায় দেখা যায় এমনই চিত্র। তবে সেনাবাহিনী ও পুলিশের টহল দেয়ার পাশাপাশি চেকপোস্ট বসিয়ে যানবাহন তল্লাশি করতেও দেখা গেছে।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর এর সংক্রমণ রোধে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় সরকার। গত ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত দেশব্যাপী সাধারণ ছুটি ঘোষণার মাধ্যমে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। পরবর্তীতে ৩ এপ্রিল এ সময় ১১ এপ্রিল পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়।
গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, মূল সড়কে মানুষ কিছুটা কম দেখা গেলেও অলিগলিতে মানুষের চলাচল স্বাভাবিক। খোলা রয়েছে গলির চায়ের দোকান। চলে বিক্রি আর আড্ডা। লকডাউন চলাকালে শুধু খাদ্যসামগ্রী ও ওষুধের দোকান খোলা থাকার অনুমতি থাকলেও কোথাও কোথাও মোবাইল ফোন বিক্রির দোকান, গিফট শপ খোলা থাকতে দেখা গেছে। চলাচল করছে ব্যাটারিচালিত ইজিবাইক। সব মিলিয়ে রাজধানীর অনেক এলাকায় এই লকডাউনের প্রভাব অনেক কম।
স্থানীয়দের মতে, সকালে সব এলাকায় মানুষের আনাগোনা অনেক থাকত। তবে বর্তমানে সেটি কিছুটা কম। তবে দুপুর গড়িয়ে বিকাল হতেই লোকারণ্যে পরিণত হয় সব এলাকা। স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, র্যাব, পুলিশ বা সেনাবাহিনীর গাড়ি দেখলে মুহূর্তের মধ্যে রাস্তা ফাঁকা হয়ে যায়। আইনশৃঙ্খলাবাহিনী স্থান ত্যাগ করলে আবারও পুরো সড়কে পরিণত হয় লোকারণ্যে।
মালিবাগের স্থানীয় বাসিন্দা আব্দুল হামিদ বলেন, এই এলাকার অবস্থা এমন যে মানুষ হয়ত জানেই না, দেশে বা পুরো পৃথিবীতে কিছু একটা চলছে। এখানকার বেশিরভাগ মানুষ অসচেতন। তারা সারাদিন রাস্তায় আড্ডা দিচ্ছে, একে অন্যকে বলছে, এই দেশে এতজন মারা গেছে, ওইদেশে ততজন মারা গেছে। কিন্তু তাদেরও যে ঝুঁকি আছে, তারা তা মানতে নারাজ।
চৌধুরীপাড়ার বাসিন্দা শাহরিয়ার হোসেন সায়েম ও সায়্যিদা হোসেন মারিয়া দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, অতি জরুরি প্রয়োজন ছাড়া রাস্তায় বের হতে মানা। কিন্তু আমরা বাসা থেকে সারাদিন যাদেরকে রাস্তায় দেখি, তাদের কারো কোন প্রয়োজন দেখি না। সবাই ঘুরেফেরে আড্ডা দেয়, চা খায়, সিগারেট খায়। সব স্বাভাবিক। বড় ঝুঁকির মধ্যে আমরা আছি রাস্তার লোকজনকে দেখলে কিন্তু তা মনে হয় না। আমাদের মধ্যে সচেতনতার খুব বেশি অভাব বলে তারা মন্তব্য করেন। তারা আরো বলেন, এ এলাকায় মানুষের আনাগোনা তুলনামূলক বেশি। সড়কের মুখে মুখে কিশোর, যুবকদের আড্ডা দেয়ার চিত্র আগের মতোই দেখা যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।