পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সাভার উপজেলায় অনেক কারখানা রোববার সকালে খুলে দেয়া হলেও পরবর্তীতে বন্ধ ঘোষণা করা হয় প্রায় সব শিল্প কারখানাই। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে কারখানাগুলোতে শিল্প পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
রোববার সকাল থেকেই সাভার-আশুলিয়ার সড়কগুলোতে দেখা যায় শিল্প শ্রমিকদের ঢল। এ সময় গণপরিবহনের অভাবে অনেকেই বিপাকে পড়েন, পায়ে হেঁটেই পৌছান কর্মস্থলে। তবে ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য বিজিএমইএর নির্দেশনার কারনে প্রায় সব কারখানাই পুনরায় বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক কারখানার ফটক থেকেই বাড়ি ফিরে যান।
ঢাকা রফতানী প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের (ডিইপিজেড) মহা ব্যবস্থাপক আবদুস সোবহান জানান, সাভার ইপিজেড এর বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও আজ বেশকিছু কারখানা খুলে দেয়া হয়েছে। সেসব কারখানায় পার্সোনাল প্রটেকশন ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) তৈরি হচ্ছে। তবে প্রয়োজনে এসব প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেয়া হতে পারে বলে জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে সারা দেশে যখন অবরুদ্ধ অবস্থা চলছে, সেই সময়ে কারখানা খোলার ঘোষণায় বিভিন্ন জেলা থেকে পায়ে হেঁটে ঢাকার পথ ধরেন হাজার হাজার পোশাক শ্রমিক।
এ পরিস্থিতিতে শনিবার রাতে তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক অডিও বার্তায় গার্মেন্ট মালিকদের প্রতি কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে আগামী ১১ এপ্রিল পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার জন্য সব কারখানা মালিক ভাই-বোনদের বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি।’
এদিকে কারখানা বন্ধ রাখার আহ্বানের পরও অনেক কারখানাই খোলা রাখে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা যথারিতি সকালে কর্মস্থলেও যোগদান করে। অনেকে কাজ বন্ধ রাখায় পরে বাধ্য হয়ে কর্তৃপক্ষ কারখানা ছুটি ঘোষণা করেন।
গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রর সাভার-আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, কিছু কারখানা জরুরি শিপমেন্টের কথা বলে খোলা রাখছে। শ্রমিকরা বাধ্য হয়ে ক্ষোভ নিয়ে কাজে যোগদান করেছে। তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষ খোলা রেখে ঠিক করেনি। যেখানে সরকার করোনাভাইরাস থেকে মুক্ত থাকতে বিভিন্ন সর্তকর্তামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। সেখানে এ কারখানাগুলো গাদাগাদি হয়ে শ্রমিকরা কাজ করছে। ফলে শ্রমিকদের মাঝে ভাইরাস যে ছড়াবেনা তার কি নিশ্চয়তা আছে- বলেন তিনি।
আশুলিয়ার জিরাব পুকুরপাড় এলাকার অ্যালায়েন্স নীট কম্পোজিট লিমিটেড কারখানার শ্রমিক রিপন মোহন্ত জানায়, পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে। কিন্তু পূনরায় ১১ তারিখ পর্যন্ত কারখানা বন্ধ রাখার খবর শুনে তারা কাজে যোগদান না করে বসে থাকে। পরে কর্তৃপক্ষ সকাল সাড়ে ১০টায় বাধ্য হয়ে কারখানা ছুটি ঘোষণা করলে শ্রমিকরা যে যার মতো চলে যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।