পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারত সরকার ঘোষিত লকডাউনে কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া ১’শ ৪১ বাংলাদেশি বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশে ফিরেছেন বিশেষ ব্যবস্থাপনায়। শুক্র, শনি ও রোববার ৩ দিনে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে তারা ফিরে এসেছেন বাংলাদেশে।
শুক্রবার ফেরত আসা ৮১ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ পাওয়া না গেলেও শনিবার সকালে ফেরত আসা ৩৫ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা পাওয়া যায়। ফলে বেনাপোলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইশোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করে।
আইসোলেশনে থাকা পাঁচ যাত্রী হলেন- যশোরের স্বপ্না রানী পাল, মাগুরার বনমালী সিকদার, গোপালগঞ্জের সৌরভ মন্ডল, বর্না বিশ্বাস ও খুলনার দিদারুল ইসলাম। ভারত থেকে যারাই দেশে ফিরে আসছে তাদেরকে বিশেষ সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হচ্ছে। প্রত্যেকের হাতে লাল সীল দেয়া হচেছ ১৪ দিন হোম কোয়ারাইনটিনে থাকার জন্য।
রোববার ভারত থেকে ফিরে এসেছেন ২৫ বাংলাদেশী। তাদের কারো দেহে করোনার লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনে দায়িত্বরত স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. হাবিবুর রহমান জানান, শুক্রবার কলকাতা থেকে ফেরা ৮১ বাংলাদেশির ব্যাপারে বিশেষ ব্যবস্থায় এদিন দেশে ফেরা যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্ষেত্রে অধিক কড়াকড়ি ও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়। তবে তাদের কারও দেহে উচ্চ তাপমাত্রা বা করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।
চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে ভারত থেকে ৩৫ জন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারী যাত্রী দেশে প্রবেশ করেন। তাদের মধ্যে ৫ যাত্রীর শরীরে উচ্চ তাপমাত্রা পাওয়ায় তাদের বাসায় না পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থায় শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। অবশ্য রোববার ২৫ জন যারা দেশে ফিরে এসেছেন তারা সবাই সন্দেহমুক্ত।
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি আহসান হাবীব জানান, দুদিনে আসা ১৪১ জনের মধ্যে ৫ জনের শরীরে তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতে পূর্ণাঙ্গ ঠিকানা ও মোবাইল নম্বর রাখা হয়েছে। তাদের প্রতি নজর রাখার জন্য স্ব-স্ব জেলায় পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে ।
দু’দেশের দূতাবাস ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মধ্যে আলাপ-আলোচনার পর কলকাতায় আটকে পড়া বাংলাদেশিদের দেশে ফেরার অনুমতি দেয় ভারত। সে হিসেবে গত তিন দিনে ১৪১ জন দেশে ফিরেছেন। মোদি সরকার লকডাউন ঘোষণার পর ২৬ মার্চ থেকে বেনাপোল দিয়ে বন্ধ হয়ে যায় যাত্রী পারাপার। এতে ওপারে আটকে থাকা বাংলাদেশিরা পড়েন চরম দুর্ভোগে। এখনো ভারতে আড়াই হাজার বাংলাদেশি বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে আছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।