Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ত্রান সভায় হট্টগোল!

প্রধান নির্বাহীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা দাবি

ময়মনসিংহ ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৪:২১ পিএম

করোনা মোকাবেলায় ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের ত্রান সভায় হট্টগোল ও বিশৃংখলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ভুন্ডুল হয়ে যায় সভাটি। এনিয়ে মিশ্রপ্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে-বাইরে।
শনিবার রাত ৯টায় এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ জেলা পরিষদের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলন করে প্রধান নির্বাহী শারমিনা নাসরিনের বিরুদ্ধে অন্যায় আচরণের অভিযোগ তুলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহনের দাবি জানিয়েছেন।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পরিষদ সদস্য মো: একরাম হোসেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব বরাবরে লেখা একটি অভিযোগপত্র সাংবাদিকদের পড়ে শুনান। এ সময় জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মমতাজ উদ্দিন মন্তার সভাপতিত্বে পরিষদের ১৮ জন্য সদস্য উপস্থিত ছিলেন।
সদস্যদের অভিযোগ, শনিবার বিকেল ৩টায় জেলা পরিষদে ত্রান সংক্রান্ত একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় ৫ শতাধিক পরিবারে ত্রাণ বিতরণের জন্য অর্থ বরাদ্ধ চাওয়া হয় এবং ইতিমধ্যে বিতরণকৃত নিন্মমানের মাক্স ক্রয়ের কঠোর সমালোচনা করেন সদস্যরা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধান নির্বাহী অন্যায় আচরণ করে সকল স্টাফদের নিয়ে সভাস্থল ত্যাগ করেন।
নান্দাইল থেকে নির্বাচিত সদস্য আবু বক্কর সিদ্দিক বাহার বলেন, প্রধান নির্বাহী শারমিনা নাসরিন প্রায় সময়ই সদস্যদের সাথে খারাপ আচরণ করেন। তাঁর জেদী আচরনে শৃংখলা ভেঙ্গে পড়েছে জেলা পরিষদের।
প্যানেল চেয়ারম্যান-১ মমতাজ উদ্দিন মন্তা বলেন, শারমিনা নাসরিনের অন্যায় আচরন মেনে নেবার মত নয়। তিনি র্দীঘদিন বিদেশে কাজ করেছেন। জনগনের জন্য তাঁর কাজ করার মানসিকতা কম।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী শারমিনা নাসরিন। তিনি জানান, সদস্যদের অশালীন ও অসৌজন্যমূলক আচরনে আমি মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ হয়ে সভা ত্যাগ করেছি। আইন না মেনে সদস্যদের কথা মত কাজ না করায় তারা আমার সাথে অন্যায় আচরণ করেছে। আমি নিয়মের বাইরে কোন কাজ করতে পারব না। শারমিনা নাসরিন আরো দাবি করেন, করোনা সচেতনতায় ইতিমধ্যে চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে ২১ হাজার মাক্স, ১২ হাজার ডেটল সাবান ও এক লাখ লিফলেট বিতরণ করা হয়েছে। এগুলো সবই তারা করেছেন। আমি শুধু নোট রেখেছি। এর মধ্যে ১১ হাজার মাক্স চেয়ারম্যান নিজে কিনেছেন এবং ১০ হাজার মাক্স টেইর্লাস থেকে তৈরী করে আনিয়েছেন প্যানেল চেয়ারম্যান-১। ফলে মানের বিষয়ে তারাই ভালো বলতে পারবেন।
এবিষয়ে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমি বিপাকে। তবে প্রধান নির্বাহী একজন সৎ মানুষ। তিনি নিয়ম মেনে সকল কাজ করতে চান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ