পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সার্বিক অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাই চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় রাজস্ব আয় সম্ভব হবে না বলে আশঙ্কা করছেন তিনি। শেখ হাসিনা বলেন, এ অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরও বেড়ে যাওয়া এবং প্রবৃদ্ধিও কম হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আজ রোববার প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘মন্দা প্রলম্বিত হলে বিশ্ব প্রবৃদ্ধি ১ দশমকি ৫ শতাংশে নেমে আসবে। বিশ্বব্যাপী বিপুল জনগোষ্ঠি কর্মহীন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মন্দা প্রলম্বিত হলে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর একটা মহামন্দার শঙ্কা করা হচ্ছে।’
বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কী ধরনের প্রভাব পড়বে তা এখনো নির্দিষ্ট করে বলার সময় আসেনি। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অর্থনীতির প্রভাব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমদানি ব্যয় ও রফতানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় এবার ৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে। অর্থবছরের পর এ হ্রাসের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘চলমান মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন, অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা এবং ব্যাংক সুদের হার হ্রাসের বাস্তবায়ন বিলম্বের কারণে বেসরকারি বিনিয়োগ প্রক্কলিত মাত্রায় অর্জন সম্ভব নয়। পর্যটন, হোটেল রেস্তরাঁ ও এভিয়েশন সেক্টরে বিরূপ প্রভাব পড়বে।’
‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো শেয়ারবাজারেও বিরূপ প্রভাব পড়ছে। বিশ্বব্যাপী জ্বালানী তেলের চাহিদা কমার কারণে এর মূল্য ৫০ শতাংশের অধিক হ্রাস পেয়েছে। বিরূপ প্রভাব পড়বে প্রবাসী আয়ের উপর। বাংলাদেশের ক্ষতি পরিমাণ ৩ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে বলে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক প্রাক্কলন করেছে। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষাপটে মনে হচ্ছে এ ক্ষতির পরিমাণ আরও বেশি হতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘ ছুটি বা কার্যত লকডাউনের ফলে ক্ষুদ্র বা মাঝারি শিল্পের উৎপাদন বন্ধ, পরিবহন সেবা ব্যহত হওয়ায় স্বল্প আয়ের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা হ্রাস পেতে পারে। ’
‘চলতি অর্থবছরে রাজস্ব আয়ের হার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম হবে। ফলে অর্থবছর শেষে বাজেট ঘাটতির পরিমাণ আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। বিগত তিন বছর ধারাবাহিকভাবে ৭ শতাংশের অধিক প্রবৃদ্ধি অর্জন এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জনের প্রধান চালিকা শক্তি ছিল অভ্যান্তরীণ চাহিদা ও সহায়ক রাজস্ব কার্যক্রম। এবার সামষ্টিক অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাবের ফলে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হ্রাস পেতে পারে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।