Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ০৭ নভেম্বর ২০২৪, ২২ কার্তিক ১৪৩১, ০৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

লকডাউনেও ঢাকামুখী গার্মেন্টশ্রমিকদের ঢল, ফেইসবুকে ক্ষোভ-সমালোচনা

আবদুল মোমিন: | প্রকাশের সময় : ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:০১ এএম

করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে যখন দেশব্যাপী লকডাউন চলছে তখন ঢাকামুখী গার্মেন্ট শ্রমিকদের ঢল নামায় ব্যাপক ক্ষোভ ও সমালোচনার জন্ম দিয়েছে দেশের সচেতন নাগরিকদের মাঝে। শনিবার ঢাকামুখী জনশ্রোতের কিছু ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এই সমালোচনা শুরু হয়। এনিয়ে সরকারের উদাসীনতার কঠোর সমালোচনা করেছেন নেটিজেনরা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, সরকারি ছুটি বাড়িয়ে ৪ তারিখ থেকে ৯ তারিখ পর্যন্ত করা হলেও গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও কারখানার শ্রমিকের জন্য ছুটি বাড়েনি। এ জন্য রোববার কর্মস্থলে যোগ দিতে দক্ষিণাঞ্চলের হাজার হাজার শ্রমজীবী মানুষ করোনা আতঙ্ক নিয়েই কর্মস্থলে ছুটছেন। শনিবার দুপুরের পর থেকে কর্মমুখী মানুষের ঢল নামে। করোনা আতঙ্ক মাথায় নিয়েই সবাই ছুটছেন রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন এলাকায়।

বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট মেহেদী হাসান পলাশ লিখেছেন, ‘‘দেশে লকডাউন বলে কি কোন বস্তু আছে? যদি থেকে থাকে তাহলে এভাবে মানুষ ঢাকামুখী হচ্ছে কি করে? আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কোথায়? সরকারি ইঙ্গিত না থাকলে লকডাউন এর মধ্যে কিভাবে রাজপথ ধরে এত লোক আসতে পারছে?’’

ইস্রাফিল ফরাজি লিখেছেন, ‘‘সরকার যদি এই সকল শিল্পখাত নিয়ন্ত্রণ করতে না পারেন তাহলে এই লোক দেখানো লকডাউন বন্ধ করুন। এই তামাশা মানুষ আর দেখতে চায় না। সবাই যার যার কাজে চলে যাক, করোনা টেস্ট বন্ধ করে দিন, উপসর্গ নিয়ে মানুষমারা যাক। কোন জবাবদিহি থাকবে না।এক দিকে গণপরিবহণ বন্ধ অপরদিকে খুলে দিয়েছে গার্মেন্টস কারখানাগুলো। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই পোশাকশ্রমিকরা পা হেটে ও ট্রাকে করে ঢাকায় ফিরছেন এর একটাই কারন কাজে যোগদান না করলে বেতন মিলবে না।’’

মো. আব্দুর রহমান লিখেছেন, ‘‘গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ৫০০০ কোটি টাকা প্রণোদনা বাজেট থাকা সত্ত্বেও এমন ভয়াবহ পরিস্থিতিতে গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরি চালু করা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নয় কি? জরুরি ভিত্তিতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে হোম কোয়ারান্টাইনে থাকাটা অত্যাবশ্যকীয় নতুবা গোটা দেশবাসিকে এর চরম খেসারত দিতে হতে পারে.....। ঢাকাগামী মানুষের উপচে পড়া ভীড় দেখে মনে হচ্ছে জীবনের চেয়েও জীবিকার মূল্য বেশি।’’

শাহেদুর রহমান সজিব লিখেছেন, ‘‘প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে কারখানা গুলা খুলবে আর মানুষ গুলা তাদের, চাকুরী বাচাতে ছুটে আসছে এই খানে দোষ মালিক গুলার। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ।।আর উপর মহলের নির্দেশনায় ও ভুল আছে।’’

তন্ময় হাওলাদার লিখেছেন, ‘‘গার্মেন্টস মালিকরা শ্রমিকদের মানুষ মনে করে না। বর্তমানে গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। তারা কিভাবে কর্মস্থলে যোগদান করবে এ বিষয়গুলো আসলে চিন্তা করা উচিত। আমি মনে করি এই পোশাক কারখানাগুলো বন্ধ করা উচিত। বর্তমান এই পরিস্থিতিতে আরো বেশি দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।আশা করছি সরকার এ বিষয়ে নজর দিবেন এবং খুব শিগগিরই কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’’

হোসাইন মোহাম্মাদ লিখেছেন, ‘‘নামাজ পড়তে নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে আর গার্মেন্টস কারখানা সব খুলে রেখেছে,, রাস্তায় হাজার হাজার মানুষের ঢল নেমেছে,, ভয়াবহ রকমের বিপদ আসন্ন।’’



 

Show all comments
  • mannan abdul ৪ এপ্রিল, ২০২০, ১১:০২ পিএম says : 0
    এতদিন পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রিতই ছিল । অথচ আজ সবই বেস্তে যেতে শুরু হল। কি দরকার আর লকডঊন করিয়ে । সব কিছুই ব্যর্থ হতে চলেছে ।
    Total Reply(0) Reply
  • Farzana Rimi ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
    আসলে এরা চাচ্ছে দেশ থেকে গরীব নিচিহ্ন করতে,,, তামাশা, আর নাট্যশালা খুলে বসেছে সরকার!সরকারের অাদেশ অমান্য করার সাহস কি করে হয়!
    Total Reply(0) Reply
  • Asraful Alam ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
    যে উগান্ডা দেশ নিয়ে আমরা বিভিন্ন কথায় মশকরা করি সেই উগান্ডার শাসন ব্যবস্থা, সরকারের পরিকল্পনা এবং আপদকালীন সিদ্ধান্ত নেওয়ার সক্ষমতা আমাদের দেশের চেয়ে অনেক ভালো। এরকম সমন্বয়হীনতা, মাথা মোটা সিদ্ধান্ত এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালনকারীদের পাগলের মতো প্রলাপ বর্তমানে আর কোথাও নেই। আমরা বড়ই অভাগা জাতি।
    Total Reply(0) Reply
  • Prince Das ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫০ এএম says : 0
    Government can't avoid their responsibility for this. How they allowed garments owners to open the factories on such a vital moment where the whole country is locked down by their order. lakh lakh peoples came back Dhaka together and now nothing will work. God knows what will happen next . fearing countless death in this pandemic.
    Total Reply(0) Reply
  • Omar Faruque ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
    গণপরিবহন বন্ধ করে গার্মেন্টস কল কারখানা খোলা রেখে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার কথা বলা হাস্যকর তামাশা।
    Total Reply(0) Reply
  • Farhad Alom ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫১ এএম says : 0
    মহাসড়কে হাজার হাজার মানুষের নীরব হেঁটে চলার দৃশ্য যেন হাজারো বছর আগে বনী ইজরায়েলের সেই ঐতিহাসিক এক্সোডাসের দৃশ্য। কাল থেকে কালান্তরে অসহায় বনী আদমের দল একটু মুক্তির আশায় পথ চলে। অন্যদিকে তাদের রক্ত আর ঘামে বানানো প্রাসাদে অশ্লীল ফুর্তিতে মত্ত থাকে নমরুদ ফেরাউনের দল।
    Total Reply(0) Reply
  • Sheikh Mohammad Monir ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
    কেন ভাই পোশাক কারখানার মানুষ গুলো কি মানুষের কাতারে পরেনা? ওরা কি মানুষ না, ওদের কি জীবনের কোনো মূল্য নেই? পোশাক কারখানার শ্রমিক শুধু এক জন শ্রমিক না তারাও একটি যোদ্ধা। কেন না তাদের শ্রমেই এই দেশ চলে, একটা পরিবার চলে। আশা করি প্রশাসন বিষটি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে।
    Total Reply(0) Reply
  • Mirza Abdullah Al Mamun ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫২ এএম says : 0
    খুবই অন্যায় এবং অমানবিক কাজ করেছেন শিল্প মালিকগন। একজন শ্রমিক আক্রান্ত হলে হাজার হাজার জনে ছড়িয়ে পরবেন। খুবই ভয়াবহ ব্যাপার!
    Total Reply(0) Reply
  • Asif Iqbal Itp ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
    চাকুরী হারনোর ভয়ে বকেয়া বেতন পাওয়ার আশায় জীবিকা নির্বাহের তাগিতে গার্মেন্টস শ্রমিকরা কাজে নিয়োজিত হচ্ছে সাধারন কর্মজিবি মানুষ । আমি মনে করি এ সময়ে প্রশাসনের উচিত গার্মেন্টস কতৃপহ্মের সাথে কথা বলে প্রয়োজনিয় পদহ্মেপ গ্রহন করা। তা না হলে পরিবর্তিতে কোন পদহ্মেপ কাজ হবে না। অবিলম্বে তাদের ২ বা ১ মাসের বেতন কার্যকর করা। যারা শ্রমিকদের দিয়ে কোটি টাকা আয় করছে তারা কি পারে না বিনা শ্রমে ২ মাসের বেতন দিতে । এমন সময়ে সরকারের প্রয়োজন সিদ্ধান্ত। মুখে বাসায় বসে থাকার কথা বলে মানুষ এর প্রয়োজন টা বাস্তবায়ন করা উচিত বলে মনে করি।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashanur Rahman ৫ এপ্রিল, ২০২০, ১২:৫৩ এএম says : 0
    পৃথিবী ব্যাপি করোনা ভাইরাস যে ভাবে প্রভাব বিস্তার করছে, আমার মনে হয় না দেশের সবচেয়ে কর্মমুখি এই শিল্প চালু করা ঠিক হবে? কারন আল্লাহ না করুক যদি কোন ভাবে করোনা ভাইরাস শিল্পগুলোর মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে তাহলে দেশে হাজার হাজার শ্রমিকের জীবন ঝুকির মধ্যে পড়বে। শিল্পকলকারখানা বন্ধ থাকলে দেশের আয়ের অনেক প্রভাব পড়বে পাশাপাশি দেশের হাজার হাজার শ্রমিকদের জীবন ধারনের অনেক অসুবিধা হবে। তার পরও করোনা যদি দেশে ব্যাপক আকার ধারন করে তাহলে মনে দেশের অর্থনৈতিক ভাবে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হব, পাশাপাশি বিদেশি বায়ার গুলো দীর্ঘ সময় ধরে তাদের অর্ডার বাতিল করতে পারে। তার জন্য দেশের কর্মকর্তারা যে সিন্ধান্ত নিক সেটা যেন দেশের স্বার্থ রক্ষায় হয়।
    Total Reply(0) Reply
  • রনি ৫ এপ্রিল, ২০২০, ৯:৫৯ এএম says : 0
    সবাইকে ছুটি দেয়া হয়েছে বাসায় থাকার জন্য আর আমজনতা দেশের বাড়ি গেছে আনন্দ করতে,হায়রে! পাবলিক?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: করোনাভাইরাস

৪ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ