পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
করোনা মহামারী সঙ্কটে অচল স্তব্ধ বন্দরনগরী চট্টগ্রামের প্রাণকেন্দ্র চাক্তাই খাতুনগঞ্জ সওদাগরী পাড়া। জনশূণ্য অবস্থায় দেশের প্রধান এই আমদানি নিত্যপণ্যের ইন্ডেন্ট ও পাইকারি বাজার দিনমান শুধুই খাঁ খাঁ করছে। গতকাল ঘুরেফিরে খাতুনগঞ্জকে অচেনা ভুতুড়ে পল্লীই মনে হয়।
টানা ছুটি শাটডাউনে শুরু হতেই আমদানিকারক, ব্যবসায়ী-দোকানী, গোডাউন মালিক, ব্রোকার, কর্মচারী এবং মালামাল বহনকারী কুলি-মজুর-শ্রমিক সবাই যার যার বাড়িঘরে চলে গেছেন। কী অবস্থা তা দেখতেও আর আসেন না কেউ।
অথচ স্বাভাবিক অবস্থায় নিত্যপ্রয়োজনীয়, খাদ্য ও ভোগ্যপণ্যের প্রধান পাইকারি, ইন্ডেন্টিং বাজার চাক্তাই খাতুনগঞ্জে। দৈনিক ১২শ’ কোটি থেকে ২ হাজার ৬শ’ কোটি টাকা লেনদেন হয়। এখানে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ৫০টি শাখা থাকে রাত অবধি জমজমাট। দিনেরাতে হাজারো ক্রেতা-বিক্রেতা ও শ্রমিকের হাঁকডাক, পদভারে গমগম করে। এখন সবকিছুই নিথর। যার বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব এখনই পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। কেননা পবিত্র শবে বরাত ও মাহে রমজানের আগেই খাতুনগঞ্জ চাক্তাই রূপ নিয়েছে মরুর জনপদে।
খাতুনগঞ্জ ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাষ্ট্রিজ অ্যাসোশিয়েশন নেতা সৈয়দ মো. ছগীর আহমেদ বলেন, এ মুহূর্তে বাড়িঘরে বসেই কাঁদছেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক-কর্মচারীরা। চোখে অন্ধকার। প্রচুর মালামাল আমদানি হয়েছে। কিন্তু ক্রেতা নেই। সেই পরিবেশ-পরিস্থিতিও নেই। ১২ বর্গ কিলোমিটার বিশাল এলাকা নিয়ে ১০ থেকে ১২ হাজার ব্যবসা-বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানে সম্পূর্ণ অচল। যা অতীতে কখনও ঘটেনি। কীভাবে সংসার চালবে এর উপর নির্ভর লাখো পরিবার?
তিনি জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরভিত্তিক আমদানি নিত্যপণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার খাতুনগঞ্জ এবং এর সঙ্গে যুক্ত কোরবাণীগঞ্জ, চাক্তাই, আছদগঞ্জ, রাজাখালী, বক্সিরহাট, টেরিবাজার, বদরপাতি। রোজায় অধিক চাহিদা থাকে চাল, ডাল, ছোলা, চিনি, পেঁয়াজ-রসুন, ভোজ্যতেল, আদা, মরিচ, মসলা, আটা-ময়দাসহ সবধরনের নিত্য ও ভোগ্যপণ্য এখন প্রচুর পরিমাণে স্টক পড়ে আছে। আড়ত, গোডাউন খালি নেই। বিক্রয় বন্ধ। তাই বিনষ্ট হওয়ার উপক্রম। আবার বন্দরে জাহাজে জাহাজে প্রতিদিন আরও মালামাল খালাস হচ্ছে। বন্দরে আগের মজুদও জটে আটকে আছে। অথচ ট্রাক-লরি, কাভার্ডভ্যানসহ সারা দেশে ডেলিভারি পরিবহন ব্যবস্থা অচল।
ব্যাংকার সাইমুল আবেদীন জুয়েল জানান, খাতুনগঞ্জ, কোরবাণীগঞ্জ, চাক্তাই, আছদগঞ্জ এলাকায় বাণিজ্যিক ব্যাংকসমূহ প্রেস্টিজ শাখা হিসেবেই সবসময় গুরুত্ব পেয়ে থাকে। করোনা দুর্যোগে বেশ কিছুদিন যাবৎ ব্যাংকে ব্যাংকে অর্থ লেনদেন হাতবদল নেই বলা চলে। কেননা খাতুনগঞ্জেজুড়েই তো এখন ব্যবসা-বাণিজ্যে লালবাতি জ¦লছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।